নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সারাদেশই স্থবির হয়ে পড়েছে। এই সময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামও ছুঁয়েছে আকাশকে। বৃহস্পতিবার থেকে লম্বা সময়ের জন্য বন্ধ থাকবে সরকারি, বেসরকারি সব অফিস। সীমিত থাকবে মানুষের চলাচল। এই পরিস্থিতি উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্তরা সামলে নিলেও সমস্যায় পড়তে পারেন দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ। এসব মানুষের কষ্ট বুঝে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার লিটন দাস ও তার স্ত্রী সঞ্চিতা দাস।
চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ ও মশলা দিয়ে আলাদা করা পলিথিনের বেশ কয়েকটি প্যাকেটের স্তূপের একটি ছবি বুধবার নিজের ফেসবুকে দিয়েছেন সঞ্চিতা। তাতে তিনি লিখেছেন, বাড়িতে আবদ্ধ থাকার এই সময়েও খেটেখাওয়া মানুষদের কথা ভেবে ঝুঁকি নিয়ে এই উদ্যোগ নিয়েছেন তারা, ‘এর বেশি কিছু করার সামর্থ্য নেই এই মুহ‚র্তে। আপাতত আমাদের কেউ সাহায্য করার নেই (এসব প্যাকেট তৈরি করতে)। শেষ মুহ‚র্তে যা পেরেছি আমরা কিনেছি। কিছুটা ঝুঁকি ছিল কারণ এখন হোম কোরেন্টিনের সময়। আপনার ছোট্ট সাহায্য হয় বাকিদের জন্য আশীর্বাদ হবে।’
লিটন অবশ্য ক্রিকেটারদের সম্মিলিত একটা সাহায্য তহবিলেও দান করেছেন। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশের ২৭ ক্রিকেটার মিলে এক মাসের বেতনের অর্ধেক টানা দান করেছেন। বিসিবির চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটার হিসেবে লিটন মাসে পান ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। সেই তহবিলে তিনি তাই দিচ্ছেন ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা।
দুপুরেই নিজের পেজে পোস্ট করে দানের বিষয় নিশ্চিত করেন লিটন, ‘আপনারা সবাই জানেন করোনাভাইরাসের সংক্রমণে চারদিকে ক্রমেই ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯ রোগ। এই রোগ প্রতিরোধে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে পুরো বিশ্ব। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে যার যার জায়গা থেকে।’
এরআগে লিটনসহ জাতীয় দলের মোট ২৭ জন খেলোয়াড় তাদের বেতনের অর্ধেক দিয়েছেন করোনা প্রতিরোধে। এ প্রসঙ্গে লিটন বলেন, ‘আমাদের তহবিলে জমা পড়েছে প্রায় ৩০ লাখ টাকার মতো। কর কেটে থাকবে ২৬ লাখ টাকা। করোনার বিরুদ্ধে জিততে হলে আমাদের এই উদ্যোগ হয়তো যথেষ্ট নয়। কিন্তু যাদের সামর্থ্য আছে সবাই যদি এক সঙ্গে এগিয়ে আসেন।’
স্বামী লিটন দাসের এই মহানুভবতায় মুগ্ধ তার স্ত্রী সঞ্চিতা। তিনি অলাদাভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন লিটনকে,‘লিটন দাস এই সংকটে তোমার সাহায্য কখনো ভুলব না, ধন্যবাদ।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।