নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে ৯৫ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন বাংলাদেশের ওপেনার লিটন দাস। দেড় বছর পর এমন চোখজুড়ানো শতকের দেখা পেলেন তিনি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটা তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ২০১৮ সালে এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে সেই অসাধারণ সেঞ্চুরির পর এই প্রথম পেলেন শতকের স্বাদ।
বরাবরের মতোই রোববার লিটনের ব্যাটিং ছিল দৃষ্টিনন্দন। কবজির মোচড়ে খেলেছেন স্টাইলিশ সব শট। মাঠের প্রায় সব প্রান্তেই পাঠিয়েছেন বল। প্রায় নিখুঁত ছিল তার শট নির্বাচনও। যে বল যেখানে মারার দরকার ছিল সেটা সেখানেই মেরেছেন। দুর্দান্ত নিয়নন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে মনোসংযোগও ছিল অটুট। লিটনের ব্যাটিংয়ের ধরনটা সব সময়ই আগ্রাসী। যদিও এই আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের কারণে ক্যারিয়ারের শুরুতে ধারাবাহিকতায় সমস্যা ছিল। তবে দিন যতই গড়াচ্ছে যেন পরিণত হয়ে উঠছেন লিটন দাস। কাল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামার আগেওয়ানডেতে সর্বশেষ ছয় ইনিংসে একবারও দুই অংকের নিচে আউট হননি লিটন। হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন দুটি, এর মধ্যে একটি ছিল অপরাজিত ৯৪ রানের ইনিংস। বিশ্বকাপে গত বছরের জুনে টনটনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাঁচে ব্যাট করতে নেমে ৬৯ বলে ৯৪ রানের ঝড়ো ইনিংসটি খেলেছিলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। বল পাননি বলে ওই ম্যাচে সেঞ্চুরিটা করা হয়নি। তবে এবার ওপেনিংয়ে নেমে নিজের সহজাত ভঙ্গিমায় সেই আক্ষেপ দূর করলেন লিটন। খেললেন দারুণ এক ইনিংস। আগ্রাসী ভঙ্গিতে ব্যাট করে সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাউন্ডারির মারে শুরু করেন প্রথম ওভার। এরপর দারুণ টাইমিংয়ে নান্দনিক সব শট খেলে ছুটতে থাকলেন লিটন দাস। বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খেলে হাঁকালেন দুর্দান্ত শতক।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিংয়ে তামিম ইকবালের সঙ্গে ৬০ রানের জুটি গড়েন লিটন। এরপর ম্যাচে একের পর এক জুটিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। উদ্বোধনী জুটিতে তামিম যখন প্রান্ত বদলাতে ভুগেছেন, তখন লিটন সেখানে ছিলেন দারুণ সাবলীল। মনে হয়েছে, তার খেলা দেখে মনে হয়েছে ব্যাটিংয়ের চেয়ে অনায়াস কাজ বুঝি আর নেই!
৪৫ বলে ছুঁয়ে ফেলেন ফিফটি। থিতু হওয়ার পর উইকেট ছুঁড়ে আসার নজির তিনি অনেকবারই দেখিয়েছেন। কিন্তু রোববার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ছিলেন ব্যতিক্রম। এগিয়ে গেছেন সমান গতিতে। সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে অস্থির হননি, ছটফট করেননি। ৯৫ বলে তুলে নেন সেঞ্চুরি। আর এই সেঞ্চুরিতে তার ৯ চারের মারের সঙ্গে ছিল ১টি ছক্কা। দীর্ঘ দেড় বছর পর সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে যেন আরো অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিলেন লিটন। ডনাল্ড টিরিপানোর এক ওভারে মারেন তিনটি বাউন্ডারি। অভিষিক্তি অফ স্পিনার ওয়েসলি মাধেভেরেকে বিশাল ছক্কা মেরেছেন স্লগ সুইপে। তবে এই ছক্কার শটেই টান লাগে তার পায়ে। ফলে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ফিজিওর সঙ্গে মাঠ ছাড়েন লিটন। ততক্ষণে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে ফেলেন। ছাড়িয়ে যান এশিয়া কাপে করা ১২১ রানের ইনিংস। মাঠ ছাড়ার সময় ১৩ চার ও ২ ছয়ের মারে লিটনের নামের পাশে ছিল ১০৫ বলে ১২৬ রান। দারুণ এক ইনিংস। যা দীর্ঘদিন মনে রাখবেন সিলেটের তথা দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।