নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের একমাত্র টেস্ট চার দিনেই ইনিংস ব্যবধানে জিম্বাবেুয়েকে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
আবার যে ব্যাট করতে হবে না আগের দিনই অনুমান করতে পেরেছিলেন মুশফিকুর রহিম। তার অনুমান সত্যি হলো নাঈম হাসান ও তাইজুল ইসলামের স্পিনে। ইনিংস ব্যবধানে জিতে ব্যর্থতার বলয় ভাঙল বাংলাদেশ। চতুর্থ দিন জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংস টিকল কেবল দুই সেশন।
প্রথম ইনিংসে একটুর জন্য হয়নি। দ্বিতীয় ইনিংসে ঠিকই পেলেন নাঈম। অভিজ্ঞতার ঝুলি নিয়ে বল হাতে তরুণ এই অফ স্পিনারকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে গেছেন তাইজুলও। সময়োপযোগী ব্রেক থ্রু এনে দলের বড় জয় তরান্বিত করেছেন তিনিও।
ইনিংস ও ১০৬ রানের জয়
নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে কেবল দ্বিতীয়বারের মতো ইনিংস ব্যবধানে জিতল বাংলাদেশ। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে মিরপুরেই ইনিংস ও ১৮৪ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছিল তারা। ওই জয়ের পর থেকে অবশ্য কেবল হারছিল বাংলাদেশ। ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙা জয় এলো আরেকটি ইনিংস ব্যবধানের জয়ে।
দ্বিতীয় ইনিংসে সফরকারীদের ১৮৯ রানে গুটিয়ে দিয়ে ইনিংস ও ১০৬ রানে জিতেছে মুমিনুল হকের দল।
চার্ল্টন টিশুমাকে এলবিডব্লিউ করে দলকে জয় এনে দেন তাইজুল ইসলাম। আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর রিভিউ নেন টিশুমা। পাল্টায়নি সিদ্ধান্ত। ৪৫০ দিন পর টেস্টে প্রথম জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
৭৮ রানে ৪ উইকেট নেন তাইজুল। ম্যাচে ৯ উইকেট পাওয়া নাঈম দ্বিতীয় ইনিংসে ৮২ রানে নিয়েছেন ৫টি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ২৬৫
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৫৬০/৬ ইনিংস ঘোষণা
জিম্বাবুয়ে ২য় ইনিংস: (আগের দিন ৯/২) ৫৭.৩ ওভারে ১৮৯ (কাসুজা ১০, টেইলর ১৯, আরভিন ৪৩, রাজা ৩৭, মারুমা ৪১, চাকাভা ১৮, এনডিলোভু ৪, টিশুমা ৩, নিয়াউচি ৭*; নাঈম ২৪-৬-৮২-৫, তাইজুল ২৪.৩-৭-৭৮-৪, আবু জায়েদ ৪-৩-৪-০, ইবাদত ৫-১-১৬-০)
ফল: বাংলাদেশ ইনিংস ও ১০৬ রানে জয়ী।
নাঈম-তাইজুলে বড় জয়ের অপেক্ষা
লাঞ্চ থেকে ফিরে কিছুটা লড়াইয়ের আভাস দিচ্ছিলেন রেজিস চাকাভা ও টাইমাইসেন মারুমা জুটি। তবে তামিম ইকবালের দারুণ ক্যাচে চাকাভাকে ফিরিয়ে সেই লড়াই থামালেন তাইজুল ইসলাম।
মিড অনের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারতে চাইলেন তাইজুলকে। মারে জোর ছিল বেশ, কিন্তু ওপরে তুলতে পারেননি যথেষ্ট। মিড অনে লাফিয়ে মাথার ওপর থেকে দারুণ দক্ষতায় বল মুঠোয় জমান তামিম। ১৮ রানে থামলেন চাকাভা। ভাঙল ৪৪ রানের জুটি।
সেই রেশ কাটতে না কাটতেই মারুমাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে বড় জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন নাঈম হাসান। টেস্টে তরুণ এই স্পিন অলরাউন্ডারের এটি দ্বিতীয় পাঁচ উইকেট।
লং অফ দিয়ে নাঈমকে ওড়াতে চেয়েছিলেন মারুমা। টাইমিং করতে পারেননি। মিড অফ থেকে সরে গিয়ে ক্যাচ মুঠোয় জমান তামিম ইকবাল। ৫২ বলে পাঁচ চারে ৪১ রান করেন মারুমা।
৫১ ওভারে জিম্বাবুয়ের রান ৯ উইকেটে ১৮১। ক্রিজে চার্ল্টন টিশুমার সঙ্গী ভিক্টর নিয়াউচি। বড় জয় থেকে আর মাত্র এক উইকেট দূরে বাংলাদেশ। সেই জয়ের স্বাদটিও আসছে ৪৫০ দিন বাদে!
মুশফিকের দুর্দান্ত ক্যাচ
লাঞ্চের পর উইকেটের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হলো না। তাইজুল ইসলামের বলে দুর্দান্ত এক ক্যাচে সিকান্দার রাজাকে ফেরালেন মুশফিকুর রহিম।
শর্ট বল পুল করেছিলেন রাজা। ফাঁকি দিতে পারেননি মিডউইকেটে থাকা মুশফিককে। অনেকটা লাফিয়ে মুঠোয় জমালেন ক্যাচ।
৭১ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৩৭ রান করেন রাজা। ৩৬ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ১২৬/৬। ক্রিজে টাইমাইসেন মারুমার সঙ্গী রেজিস চাকাভা। বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের শেষ জুটি এটাই।
জয়ের সুবাস নিয়ে লাঞ্চে বাংলাদেশ
সকাল থেকেই আকাশ মেঘে ঢাকা। শুরু থেকেই জ্বলছে ফ্লাড লাইট। তাতে জিম্বাবুয়ের ইনিংসের আঁধার কাটেনি। আলো ঝলমলে পারফরম্যান্সে জয়ের পথে আরও এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসান নিয়েছেন একটি করে উইকেট। দ্রুত এগোনো জুটি ভেঙেছে মুমিনুল হকের দুর্দান্ত রান আউটে। বাংলাদেশ অধিনায়কের সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট হয়ে ফিরে গেছেন জিম্বাবুয়ের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক।
লাঞ্চে যাওয়ার সময় ৩২ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ১১৪/৫। সিকান্দার রাজা ৩৩ ও টাইমাইসেন মারুমা ৩ রানে ব্যাট করছেন। ইনিংস ব্যবধানে হার এড়াতে এখনও ১৮১ রান চাই তাদের।
চালকের আসনে বাংলাদেশ
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে বড় সংগ্রহ করে চালকের আসনে স্বাগতিক বাংলাদেশ। মঙ্গলবার চতুর্থ দিনের খেলার শুরুতে তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসান দলকে সাফল্য এনে দেন।
মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম উইকেটটি তুলে নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম এবং দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন নাঈম হাসান।
আজকের ষষ্ঠ এবং নিজের তৃতীয় ওভারে এ সাফল্য পান তাইজুল। আগের দিনের অপরাজিত থাকা কেভিন কাসুজাকে মোহাম্মদ মিঠুনের ক্যাচে পরিণত করেন তাইজুল। ৩৪ বলে ১০ রান করে ফিরেন কাসুজা। অন্যদিকে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠার আগে টেলরকে বিদায় করেন নাঈম। ব্রেন্ডন টেলর ৪৭ বলে ১৭ রান করেন।
এর আগে, সোমবার শেষ বিকেলের কয়েক ওভার জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিং করানোর লক্ষ্যে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের তৃতীয় সেশনে মাত্র ৫ ওভারের জন্য ব্যাট করে দুই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।
জয়ের সুবাস
বোলারদের ওপর অগাধ আস্থা মুশফিকুর রহিমের। ডাবল সেঞ্চুরি করা এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান আত্মবিশ্বাসী, আর ব্যাটিংয়ে নামতে হবে না তাদের। বাকিটা সারতে পারবেন বোলাররা।
জিততে আর ৮ উইকেট চাই বাংলাদেশের। স্বাগতিকদের আবার ব্যাট করাতে জিম্বাবুয়ের চাই আরও ২৮৬ রান।
২ উইকেটে ৯ রানে তৃতীয় দিন শেষ করে জিম্বাবুয়ে। কাসুজা ৮ ও টেইলর ১ রানে ব্যাট করছেন।
তৃতীয় দিন শেষে সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস : ২৬৫
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস : ৫৬০/৬ ইনিংস ঘোষণা
জিম্বাবুয়ে ২য় ইনিংস : ৪ ওভারে ৯/২ (মাসভাউরে ০, কাসুজা ৮*, টিরিপানো ০, টেইলর ১*; নাঈম ৩-০-৪-২, তাইজুল ২-০-৫-০)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।