নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এবার দেশের মাটিতে ক্রিকেট ফেরাতে মরিয়া পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ঘরের মাঠে একের পর এক সিরিজ খেলতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। এরই ধারাবাহিকতায় পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) পুরো আসর হোমগ্রাউন্ডে আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিসিবি।
আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে এবারের পিএসএল। আর পর্দা নামবে আসছে ২২ মার্চ। পাকিস্তানের চারটি শহরে অনুষ্ঠিত হবে পঞ্চম আসরের সব ম্যাচ। ভেন্যু হিসেবে লাহোর, করাচি, রাওয়ালপিন্ডি ও মুলতান বেছে নিয়েছে পিসিবি। এবার মোট ৩৪টি ম্যাচ হবে।
ফাইনালসহ লাহোর আন্তর্জাতিক গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে হবে ১৪টি ম্যাচ। করাচি জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৯টি ম্যাচ হবে। রাওয়ালপিন্ডিতে গড়াবে ৮টি ম্যাচ। আর মুলতানে হবে ৩টি ম্যাচ।
পিসিবি চেয়ারম্যান এহসান মানি বলেন, সম্প্রতি পাকিস্তানে ওয়ানডে ও টেস্ট ক্রিকেট ফিরেছে। এর পর ঘরের মাঠে পিএসএল আয়োজন করতে পারাটা আমাদের অনেক বড় অর্জন। দেশের ঘরোয়া লিগ ঘরের দর্শকদের সামনেই আয়োজন করা সম্ভব হবে। এ নিয়ে সবসময় আমার বিশ্বাস ছিল।
২০০৯ সালে লাহোরে টিম শ্রীলংকার ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তান থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নির্বাসনে যায়। এ এক দশকে বিভিন্ন সময় স্বল্প সময়ের জন্য দেশটি সফরে গেছে কয়েকটি দেশ ও দল। তবে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে এখনো কোনো দল সেখানে যায়নি।
চলতি মাসে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে যাওয়ার কথা বাংলাদেশের। তবে নিরাপত্তা শংকায় তা এখনো নিশ্চিত হয়নি। এর মধ্যে পিএসএলের পুরো আসর সেখানে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিসিবি।
২০১৬ সালে যাত্রা করে পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটের জনপ্রিয় এ টুর্নামেন্ট। সেবার পুরো আসরই হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এরপর ২০১৭ সালে পিএসএলের গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচ এবং সেমিফাইনাল হয় মরুর দেশে। তবে ফাইনাল হয় লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। ২০১৮ সালেও লিগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলো হয় মুরুর বুকে। কিন্তু দুই এলিমিনেটর এবং ফাইনাল হয় পাক ডেরায়-লাহোর ও করাচিতে।
২০১৯ সালে পিএসএলের গ্রুপ পর্বের চারটি ম্যাচ, কোয়ালিফায়ার, এলিমিনেটর এবং ফাইনাল ম্যাচ আয়োজন করা হয় পাকিস্তানে। মূলত সেই ধারাবাহিকতায় এবার পুরো পিএসএল আয়োজন করতে যাচ্ছে পিসিবি। বুধবার এ ঘোষণা দিয়েছে তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।