Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতে চার ধর্ষক ক্রসফায়ারে নিহত

হায়দারাবাদে তরুণী চিকিৎসককে গণধর্ষণ ও খুন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম | আপডেট : ১২:০৫ এএম, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৯

ভারতের তেলঙ্গনা রাজ্যে ভোররাতে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হল গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় চার অভিযুক্তের। হায়দারাবাদের তরুণী চিকিৎসককে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনা তদন্তে তাদের তেলঙ্গনার সাদনগরের ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। সেখানেই এনকাউন্টারে নিহত হয় তারা। এ ঘটনায় পুলিশ যেমন প্রশংসিত হয়েছে, পাশাপাশি তাদেরকে নিন্দায় মুখর হয়েছেন অনেকে।
এনকাউন্টারে বিষয়ে সাইবরাবাদের পুলিশ কমিনশনারের দাবি, ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। সে সময় পুলিশের গুলিতে তাদের মৃত্যু হয়। তবে এই ঘটনার পর ভারতজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তাদের মতে, এতে বিচারব্যবস্থার অস্তিত্বকেই চ্যালেঞ্জ করা হয়। গোটা ঘটনার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

তেলঙ্গনার আইনমন্ত্রী এ ইন্দ্রকরণ রেড্ডি জানিয়েছেন, ‘অভিযুক্তরা পুলিশের অস্ত্র ছিনতাই করে পালানোর চেষ্টা করে। গুলি চালায় পুলিশ। তাতেই মৃত্যু হয় অভিযুক্তদের’। ঈশ্বর অভিযুক্তদের শাস্তি দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জানা গেছে, ঘটনার তদন্তের জন্য চার অভিযুক্তকে নিয়ে যাওয়া হয় সাদনগরে ৪৪ নন্বর জাতীয় সড়কের আন্ডার পাসের কাছে। শামশাবাদে টোলপ্লাজার কাছে ধর্ষণ করে খুনের পর প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে সাদনগরের ওই চিকিৎসককে পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরের দিন তার দগ্ধ দেহ পাওয়া গিয়েছিল। ঘটনার দিন ঠিক কী ঘটেছিল তার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য জোগাড় করতেই শুক্রবার ভোররাতে অভিযুক্তদের সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাদনগর নিয়ে যাওয়ার সময় সুযোগ বুঝে পালানোর চেষ্টা করে ওই চার জন। বাধ্য হয়ে গুলি চালায় পুলিশ। তাতেই মৃত্যু হয় ওই চার অভিযুক্তের। সাইবারাবাদ পুলিশ কমিশনার ভি সি সজ্জনার সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, অভিযুক্ত আরিফ, নবীন, শিবা ও চেন্নাকেশাভুলু পুলিশের গুলিতে মারা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়ার পথে সাদনগরের চাতানপল্লিতে পুলিশের হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। ঘটনাটি হয়েছে স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত তিনটা থেকে ভোর ছ’টার মধ্যে। ঘটনাস্থলে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৮ নভেম্বর তেলঙ্গানায় শামশাবাদের আউটার রিং রোডের আন্ডারপাসের নীচে উদ্ধার হয় ওই চিকিৎসকের পোড়া দেহ। আগের দিন অর্থাৎ ২৭ নভেম্বর হায়দরাবাদ শামশাবাদে টোল প্লাজার কাছে ধর্ষণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। পরে আউটার রিং রোডের আন্ডারপাসের কাছে দেহটিতে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
কল্লুরু গ্রামের একটি পশু-হাসপাতালে কাজ করতেন ওই তরুণী চিকিৎসক। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, ঘটনার সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে প্রথমে গোচিবাওলিতে এক চর্মচিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তিনি। নিজের স্কুটারটি শামশাবাদ টোল প্লাজার কাছে রেখে ট্যাক্সি নিয়ে ওই চিকিৎসকের সঙ্গে তিনি দেখা করতে যান। ফিরে এসে দেখেন, স্কুটারের পিছনের চাকাটি পাংচার হয়ে গিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় টোল প্লাজায় তরুণী চিকিৎসককে স্কুটার রাখতে দেখেই তাকে ধর্ষণের ছক কষেছিল চার অভিযুক্ত। তরুণী ট্যাক্সিতে চলে যেতেই স্কুটারের চাকা ফাঁসিয়ে দেয় তারা। তরুণী ফিরে আসার পরে আরিফ বলে, চাকা তারা সারিয়ে দেবে। স্কুটার নিয়ে শিবা চলে যায়। তখন আরিফ, নবীন এবং চিন্তকুন্ত টোল প্লাজার কাছেই একটি ঘরে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে তরুণীকে। চাকা সারিয়ে ফিরে এসে ধর্ষণ করে শিবাও। তরুণীর মুখ চেপে ধরে আরিফ। তরুণী নিথর না-হয়ে যাওয়া পর্যন্ত মুখ থেকে হাত সরায়নি সে। এর পরে স্কুটারটি নিয়ে কয়েক বোতল পেট্রল কেনে দু’জন। অন্য দু’জন আরিফের লরিতে লাশ নিয়ে যায় আন্ডারপাসে। কিছুটা পেট্রল বার করা হয় তরুণীর স্কুটার থেকেও। এর পরে আন্ডারপাসের এক কোণে লাশ নামিয়ে তেল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে পালায় তারা। পরের দিন ভোরে এক দুধ-বিক্রেতা সেখানে দেহটি জ্বলতে দেখে পুলিশে খবর দেন।

তদন্তে জানা যায় তরুণী চিকিৎসক ওই টোল প্লাজা থেকে রাত ৯টা নাগাদ বোনকে ফোন করে বলেন, দুই ট্রাকচালক তাকে সাহায্য করবে বলছে। তার আপত্তি সত্তে¡ও টায়ার সারিয়ে দেবে বলে স্কুটার নিয়ে চলে গিয়েছে এক জন। বোন তাকে পরামর্শ দেন, স্কুটারটি রেখে ট্যাক্সি ধরে চলে আসতে। সে-ই শেষ কথা। পৌনে ১০টায় বোন আবার ফোন করে দেখেন, মোবাইল বন্ধ। পরের দিন সকালে শামশাবাদের আউটার রিং রোডের আন্ডারপাসের নীচে ওই চিকিৎসকের পোড়া লাশ মেলে।
ঘটনারর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে সাইবারাবাদ পুলিশ। মহম্মদ আরিফ (২৬), জল্লু শিবা (২০), জল্লু নবীন (২০) এবং চিন্তকুন্ত চেন্নাকেশভুলু (২০) নামে এই চার জনই ট্রাকের কর্মী। এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে এই চার অভিযুক্তেরই।
এদিকে, এনকাউন্টারের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তদন্ত শুরু করেছে ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সংবাদমাধ্যমে হায়দরাবাদ এনকাউন্টারে চার অভিযুক্তের মৃত্যুর খবর দেখে সুয়ো মোটো অভিযোগ নেওয়ার হয়েছে। হেফাজতে বন্দি মৃত্যুর ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় তেলেঙ্গানা সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে।

শুক্রবার ভোররাতে পুলিশি এনকাউন্টারে গণধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্তদের নিহত হওয়ার ঘটনা শোনার পর নিজের স্বস্তি চেপে রাখতে পারেননি নির্যাতিতার বাবা। তার মতে, এই ঘটনার পর মেয়ের আত্মা শান্তি পেল। তিনি বলেন, ‘দশ দিন হল আমার মেয়ে মারা গিয়েছে। পুলিশ এবং সরকারকে কৃতজ্ঞতা জানাই। মেয়ের আত্মা এখন অবশ্যই শান্তি পেয়েছে।’
তবে এই ঘটনার পর পুলিশের নিন্দা করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার মতে, ‘এ ভাবে আইন হাতে তুলে নেওয়া যায় না। দ্রুত চার্জশিট দিয়ে অভিযুক্তদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’ বিজেপি সাংসদ মেনকা গান্ধী বলেন, ‘যা হয়েছে তা এই দেশের জন্য ভয়ানক। চাইলেই যাকে খুশি এ ভাবে মারতে পারেন না আপনি। আইন হাতে তুলে নিতে পারেন না। আদালতে তো ওদের (অভিযুক্তদের) ফাঁসিই হত।’

হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মতে, ‘এতে মেয়েটির আত্মা শান্তি পেয়েছে। এত বড় ও জঘন্য ঘটনার পর ওরা পালানোর চেষ্টা করেছে। তাতে এনকাউন্টারে নিহত হয়েছে। আমি পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই।’ যদিও লকেট চট্টোপাধ্যায় মতোই পুলিশি তৎপরতার প্রশংসা করলেও গোটা বিষয়টি যে তদন্তসাপেক্ষ সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রধান রেখা শর্মা। তার কথায়, ‘পুলিশের ভাল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এটা তো তদন্তাধীন বিষয়। বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি চেয়েছিলাম। তবে ঘটনার সময় যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ তা তারিফযোগ্য।’

রেখা শর্মার মতোই সাবধানী মন্তব্য কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার গৌতমমোহন চক্রবর্তীর। তিনি বলেন, ‘অভিযুক্তরা যদি পালানোর চেষ্টা করে এবং পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি করে, তা হলে ঠিকই আছে। তবে এই মুহ‚র্তে ঘটনাটি যে ভাবে ঘটেছে, তেমন ভাবেই দেখা উচিত। কারণ এর পর তো গোটা ঘটনার ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত হবে।’ এ দিনের ঘটনার পর তেলঙ্গনা পুলিশের প্রশংসা করেছেন বিজেপি নেত্রী উমা ভারতী। তার মতে, ‘যে সমস্ত পুলিশকর্মী এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাদের সকলেই প্রশংসার যোগ্য। আমি নিশ্চিত অন্য রাজ্যের পুলিশও এমন কোনও উপায় বার করবেন, যাতে অপরাধীদের উচিত শিক্ষা মেলে।’

সমাজের একাংশের সমালোচনার পাশাপাশি বিপুল প্রশংসাও পাচ্ছে এ দিনের ঘটনা। এ দিনের ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসার পর তেলঙ্গানা পুলিশের উপর পুষ্পবৃষ্টির করেছেন অনেকে। তবে একাংশের মতে, এই উল্লাসের পিছনে রয়েছে বিচারব্যবস্থার প্রতি এক প্রকার অনাস্থার বহিঃপ্রকাশ। অপরাধের পর তা বিচারাধীন প্রক্রিয়াটি এতটাই দীর্ঘায়িত হয় যে বিচারব্যবস্থার প্রতিই আস্থা হারিয়ে ফেলেন অনেকে। এতে যেন বিচারব্যবস্থার অস্তিত্বই চ্যালেঞ্জে মুখে পড়েছে। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, ‘বিচারব্যবস্থার বাইরে গিয়ে খুনের ঘটনা কখনও মহিলাদের সুরক্ষা প্রশ্নের সমাধান হতে পারে না।’ লোকসভার সাংসদ তথা কংগ্রেস নেতা শশী তারুর জানান, নীতিগত তিনি এর সমর্থন করছেন। সূত্র: টিওআই, টইমস নাউ, এনডিটিভি।



 

Show all comments
  • Humaun Kabir ৭ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:০৫ এএম says : 0
    এই ঘটনার জন্য এদের এনকাউন্টর ঠিক আছে, পাবলিকের সামনে হলে আরো ভালো হতো, অপরাধীর যখন এই ধরনের অপরাধ করার কথা মাথায় আসবে এই এনকাউন্টর মনে পড়বে, তবে বিচার করার ক্ষমতা পুলিশের হাতে দেয়া ঠিক হবে না
    Total Reply(0) Reply
  • Mijanur Rahman ৭ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:০৫ এএম says : 0
    জঘন্য নিষ্ঠুর ধর্ষক, এরপর ধর্ষিকাকে পুড়িয়ে মারার পর এদের জেলখানায় জামাই আদরে লালন পালন করার চাইতে দ্রুততম সময়ে ওপারে পাঠিয়ে দেয়া সঠিক কাজ।
    Total Reply(0) Reply
  • Soumyadip Roy Sourav ৭ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:০৫ এএম says : 0
    ধর্ষন করলে,সুশীল সমাজ বলে থাকে,ঐ নরপিশাচের গলা কাটা হোক,আবার যখন ধর্ষকের ক্রস ফায়ার করা হয়,তখন তারা বলে এটা অন্যায়,
    Total Reply(0) Reply
  • Liton Dash ৭ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:০৬ এএম says : 0
    উপযুক্ত বিচার এই ভাবে গুলি করে মারতে হবে ধর্ষকদের,,ধন্যবাদ হায়দ্রাবাদ পুলিশ
    Total Reply(0) Reply
  • Ahmed Faruque ৭ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:০৬ এএম says : 0
    মানুষকে খুশি করার জন্য পুলিশ সন্দেহভাজনদের মেরে ফেললো। বিচার পাওয়ার অধিকার সবার আছে। হয়তো এমন হতে পারে এই চার জনের ভিতর কেউ নির্দোষ। আবার এমনও হতে পারে অপরাধী আরো ছিল। যাই হোক বিচার বহির্ভূত হত্যা সমর্থন করা উচিত না।
    Total Reply(0) Reply
  • Joy Ghosh ৭ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:০৬ এএম says : 0
    আলোচিত ঘটনার সাজা এ ভাবে দেয়া হোক বারবার।সবাই সমর্থন করে।যারা সমর্থন করবে না তারা নিশ্চিত এধরনের অপরাধ করে অথবা করেছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Sumon Hasan ৭ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:০৬ এএম says : 0
    এই তো দাদারা এতো দিনে একটা কাজের মতো কাজ করছে।এভাবে শুকরের মতো গুলি করে মারুন
    Total Reply(0) Reply
  • Amar Ami ৭ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:০৭ এএম says : 0
    ঘটনাটি সাজানো হোক বা সত্যি যাই হোক না কেন একদম ঠিক হয়েছে। প্রতিটা ধর্ষকের যদি এরকম পরিণতি নিশ্চিত করা যেত তাহলে এ ধরণের ঘটনা অনেক অনেক কমে যেত।
    Total Reply(0) Reply
  • ash ৭ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৫:১৭ এএম says : 0
    HAHAHAHAHAHAHHAHA LAGTAHAY VAROT ABI BANLADESH KO FLOW KORRA HAY
    Total Reply(0) Reply
  • shaik ৭ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৫:৪৪ এএম says : 0
    DHORSHOK, der BANGLADESH a o ai SASTI howaa uchit
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খুন

৩১ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ