Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বীরেন্দ্র সেহওয়াগের ভবিষ্যদ্বাণী : পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হবেন সৌরভ গাঙুলি!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ২:৪৪ পিএম

ক্রিকেট রাজনীতির গন্ডি পেরিয়ে সক্রিয় রাজনীতিতেও সফল হবেন কলকাতার 'প্রিন্স' সৌরভ গাঙুলি! অদূর ভবিষ্যতে পেয়ে যেতে পারেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পদও। অন্তত এমনটাই মনে করছেন বীরেন্দ্র শেবাগ।
ভারতীয় ক্রিকেটের সাবেক ওপেনার বীরেন্দ্র শেবাগের দাবি, তিনি সৌরভ গাঙুলি সম্পর্কে দু'টি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। তার প্রথমটি ইতোমধ্যেই প্রমাণিত। দ্বিতীয়টি ঘটার অপেক্ষায় আছেন তিনি।
কিন্তু কী এমন ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন শেবাগ? বীরু বলছেন, যখন প্রথম শুনলাম দাদা বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট হয়েছেন, তখন ২০০৭ সালের কেপ টাউনের একটা ঘটনার কথা মনে পড়ল। কেপ টাউনের সেই ম্যাচে আমি আর ওয়াসিম জাফর তাড়াতাড়ি আউট হয়ে যায়। শচীনের চার নম্বরে ব্যাট করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি কোনো কারণে মাঠে যাওয়ার মতো পরিস্থিতিতে ছিলেন না। সেসময় সৌরভকে বলা হলো চার নম্বরে ব্যাট করতে। দাদা দীর্ঘদিন বাদে দলে ফিরছিলেন। আর দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রচুর চাপ ছিল সেসময়।
কিন্তু সেই চাপ যেভাবে তিনি সামলালেন, সেটা শুধু তিনিই পারতেন। সেদিনই আমরা ড্রেসিং রুমে সবাই মিলে ঠিক করি। যদি কোনো দিন আমাদের মধ্যে কেউ বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট হতে পারেন, তাহলে তিনি হবেন দাদা। আমি তো এটাও বলেছিলাম, যে দাদা একদিন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হবেন। একটা ভবিষ্যদ্বাণী পূরণ হয়ে গেছে। আর একটা পূরণ হওয়ার অপেক্ষায় আছি।
উল্লেখ্য, গত ২৩ অক্টোবর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি পদে দায়িত্ব নিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মহারাজ। বোর্ডের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্ব›দ্বীতায় জয়ী হয়েছেন তিনি। বিসিসিআইয়ের সভাপতি পদে মনোনয়ন দেয়ার আগে বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ'র সঙ্গে সৌরভের একটি বৈঠক হয়। যে বৈঠক ঘিরে তারা বিজেপি যোগ নিয়েও জল্পনা ছড়ায়।
তবে, এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার সৌরভ গাঙুলির রাজনীতি-যোগ নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই তিনি যাবতীয় জল্পনায় পানি ঢেলে নিজেকে তথাকথিত সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরিয়ে রেখেছেন। এখন অদূর ভবিষ্যতে তার কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দেয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা, তা অবশ্য কারো জানা নেই। তবে, শেবাগের জোরালো দাবি, দাদা একদিন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হবেনই।
সেহওয়াগকে ওপেনিং অর্ডারে তুলে আনতে সৌরভের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি। অনেকে বলেন, প্রাথমিকভাবে এ নিয়ে নাকি তৎকালীন কোচ জন রাইটের সঙ্গেও মতানৈক্য হয়েছিল দাদার। কিন্তু সৌরভের প্রেডিকশন মিলিয়ে দিয়ে শচীনের সঙ্গে ওপেনিং-এ দুরন্ত খেলতে শুরু করেন সেহওয়াগ। সে দিন দাদার অনুমান মিলিয়ে দিয়েছিলেন। আজ সেহওয়াগের অনুমান মিলে গেল।
বোর্ড সভাপতি নির্বাচনেও নাটক দেখেছে ভারতীয় ক্রিকেট। কার্যত ১৩ অক্টোবর মাঝরাতে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছিল। ভূমিকা নিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই ঘটনার পর অনেকেই প্রশ্ন তুলে বলেছিলেন, তাহলে কি ২১-এর ভোটে বাংলায় বিজেপির মুখ দাদা? তাই কি অমিত শাহ এই কৌশল নিলেন? এসবে অবশ্য দু’জনেই জল ঢেলে দিয়েছেন। দাদা বলেছেন, “আমি রাজনীতির লোক নই।” অমিত শাহ বলেছেন, “রাজনীতি নিয়ে কোনও কথাই হয়নি।” কিন্তু সেহওয়াগের দ্বিতীয় ভবিষ্যদ্বাণী মিলতে হলে রাজনীতির ২২ গজে নামতেই হবে বেহালার বাঙালিকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ক্রিকেট


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ