নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জাতীয় দলের বিদ্রোহী ক্রিকেটারদের ১১ দফার সঙ্গে বুধবার সন্ধ্যায় আরো দুই দফা যুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) খেলোয়াড়দের এই ১৩ দফা দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত সব ধরনের ক্রিকেট কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন সাকিব আল হাসানরা। ১১ দফা দাবি নিয়ে গত সোমবার বিকেলে ক্রিকেটাররা ধর্মঘটের ডাক দিলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দেশের ক্রীড়াঙ্গন। পরের দিন বিকেলে সংবাদ সম্মেলন ডেকে ক্রিকেটারদের আন্দোলনে ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজে পাওয়ার খবর মিডিয়াকে দেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, এমপি। তখনই প্রশ্ন উঠে হঠাৎ অস্থির হয়ে ওঠা ক্রিকেটাঙ্গন শান্ত হবে কার হস্তক্ষেপে? ক্রিকেটার এবং বিসিবির মধ্যকার সৃষ্ট সমস্যার সমাধানে কে নেবেন মধ্যস্থতাকারীর দায়িত্ব? এই প্রশ্ন যখন দেশের ক্রিকেটবোদ্ধাদের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে ঠিক তখনই একটি খবর হওয়ায় ভেসে বেড়িয়েছে। আর তা হলো সমস্যা সমাধানের উপায় জানতে ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এরই মাঝে বুধবার সকালে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী নাকি ওয়ানডে অধিনায়ক এবং জাতীয় সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা’কে দায়িত্ব দিয়েছেন সমস্যা সমাধানে মধ্যস্থতা করার। তবে এদিন দুপুরের পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গণভবনে যান বিসিবি সভাপতি পাপন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বিসিবি প্রধান পুরো ঘটনার বর্ণনা দেন। এ সময় পাপনের সঙ্গে ছিলেন সাবেক অধিনায়ক, বর্তমানে বিসিবি পরিচালক এবং ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) সভাপতি নাঈমুর রহমান দুর্জয়, এমপি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলে বিকেল ৩টার পর গণভবন থেকে বের হয়ে বিসিবি সভাপতি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা খেলোয়াড়দের সব দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি। আমরা বলছি, সবগুলো দাবি মানার মতো, এটা কোনো সমস্যাই না। খেলোয়াড়রা আসলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আমরা ওদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি, কিন্তু তারা ফোন ধরছে না। ওরা কোনো যোগাযোগই করছে না। তাহলে করবটা কী বলেন?’
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে জানতে চাইলে পাপন বলেন, ‘উনি তো সবই জানেন। গত পরশুদিনও উনার সঙ্গে ছিলাম আমি। কাল (মঙ্গলবার) সকালে মাশরাফি এসেছিল। এখন আমি উনাকে জাস্ট আপডেট জানাতে আসলাম।’
বিসিবি সভাপতি আরো বলেন,‘আজকে (গতকাল) আমরা আবার তাদের ডেকেছি। আমরা যেহেতু কন্ট্রাক্ট করে পাচ্ছি না। সেহেতু আমাদের সিইও তাদের মিডিয়ার মাধ্যমে জানিয়েছেন হোয়াট টু ডু। আমরা জানিয়েছি, তারা যেন আমাদের সঙ্গে বসে যে কোনো সময়।’
পাপন যোগ করেন, ‘এখানে সমাধান তো দেওয়াই। আমি তো কালকেই বললাম, ওদের কোন দাবিটা আছে? এখানে এমন কোনো দাবি নেই যে- যেটা মানা যাবে না। দাবি নিয়ে আসলেই সাথে সাথে শেষ। ওদের আসতে হবে তো।’
বিসিবি সভাপতি মনে করেন, ক্রিকেটাররা ধর্মঘট থেকে সরে না আসলে ভারত সফর সঙ্কটের মুখে পড়ে যাবে। এ প্রসঙ্গে তার কথা, ‘ওরা কি এই জিনিসটা বোঝে না যে, এই ট্যুরটায় গেলাম না, তাতে কী হবে? বাংলাদেশ যদি স্যাংশনে পড়ে! খেলা বন্ধ হয় এক বছরের জন্য তাতে খেলোয়াড়দের কী লাভ? জিনিসটা তো খেলোয়াড়দের আগে বুঝতে হবে।’
বিসিবি প্রধান আগের দিনের মতো কালও অভিযোগ করে জানান, ক্রিকেটারদের এই আন্দোলনে অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে। তিনি বলেন, ‘এরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ সিরিজের আগে এই ধরনের সিদ্ধান্ত কেউ নিতে পারে! আমার ধারণা, বেশিরভাগ প্লেয়ারই হয়তো জানে না এটার মধ্যে ডেফিনেটলি একটা ষড়যন্ত্র আছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কারও কাছে কিছু না বলে খেলা বন্ধ করবে কেন? এটা তো বাংলাদেশ ক্রিকেটকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র। এটা হতে পারে না। যে কেউ বোঝার কথা বিষয়টি। কোনো দাবি না দিয়ে আগে খেলা বন্ধ! এটা তো হতে পারে না, পৃথিবীর কোথাও এমন ঘটনা নেই। এটার মধ্যে নিশ্চয়ই কোনো একটা ব্যাপার আছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।