নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
চলমান অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম ম্যাচ হারের পর দ্বিতীয় টেস্টে ভালো কিছুর আশা করছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু বৃষ্টির কারণে শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি ড্র হয়। তবে এই ম্যাচ থেকে ইংলিশদের প্রাপ্তি অভিষিক্ত জোফরা আর্চারের আগুনঝরা বোলিং। তরুণ তারকা বোলারের গতির সামনে টালমাটাল হয়ে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। বাকি ম্যাচগুলোতে আরো বেশি আর্চারের বাউন্সার মোকাবেলার জন্য অস্ট্রেলিয়াকে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন ইংল্যান্ড অলরাউন্ডার বেন স্টোকস।
গত রোববার বৃষ্টি বিঘিœত লর্ডস টেস্ট ড্র হয়। এই ম্যাচ দিয়ে অভিষেক ঘটে বিশ্বকাপ জয়ী ফাস্ট বোলার আর্চারের। অভিষেক ম্যাচেই আগ্রাসনের দুর্দান্ত রূপ দেখান এ বছরের শুরুতে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার যোগ্যতা অর্জনকারী বারবাডোজে জন্মগ্রহণকারী এ পেসার। ম্যাচে কেবল পাঁচ উইকেট শিকার করেছেন তা নয়, বার বার শর্ট পিচ বোলিং করে তিনি অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইন আপকে এলোমেলো করে দিয়েছেন। আর্চারের আগ্রাসী বোলিং সম্পর্কে স্টোকস বলেন, ‘এটা খেলারই অংশ এবং আক্রমণাত্মক হয়ে ব্যাটসম্যানদের থিতু না হতে দেয়াটা জোফরার খেলার একটা হাতিয়ার।’
স্টোকস আরো বলেন, “কোন বোলারের বলে কোন ব্যাটসম্যান বাজেভাবে আঘাত পেলে সেই বোলার বলবে ‘আমি এভাবে আর বোলিং করব না, কারণ আমি তাদেরকে আবার আঘাত করতে চাই না।’ এমনটা ঘটলে সব সময়ই সেখানে উদ্বেগ থাকে। কিন্তু পরের বলটি করার জন্য আপনি যখন বোলিং মার্কে যাবেন, আমি এটা অব্যাহত রাখব।”
বাঁ-হাতি পেসার আর্চারের বলে মারাত্মকভাবে আঘাত পাওয়া স্টিভ স্মিথ হয়তোবা বৃহস্পতিবার হেডিংলিতে শুরু হওয়া তৃতীয় টেস্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিতে পারেন। স্টোকস বলেন, লিডসে আর্চারের অ্যাপ্রোচে পরিবর্তন আনার কোন কারণ নেই।’
এজবাস্টনে প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেরিয়ার কাছে ২৫১ রানে পরাজিত হয়ে পাঁচ টেস্ট সিরিজে ০-১ ব্যাধানে পিছিয়ে রয়েছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। তবে স্টোকসের বিশ্বাস আর্চারের অতিরিক্ত গতি ইংল্যান্ডকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করতে পারে। বিশ্বকাপ জয়ে ইংল্যান্ড দলের নায়কে পরিনত হওয়া স্টোকস বলেন, ‘জোফরার সবকিছুই ছন্দময়, তার বাউন্সার দেখাটা কঠিন। সেখানে না বলার কিছু নেই। তিনি এ ধরনের অনেক বোলিং করেছেন। কিন্তু তারা ঠিকভাবে সামাল দিতে পারেনি।’
স্টোকস আরো বলেন, ‘আমাদের বোলিং আক্রমণে তিনি আরেক ধরনের মাত্রা এনেছেন। প্রথমত তিনি ২৯ ওভার বোলিং করেছেন। তবে তার শেষ স্পেলটি ছিল আমাদের ফাস্ট বোলিংয়ের সেরা একটি। খেলা শুরু থেকেই আমি দেখেছি।’ ‘আমরা দেখেছি অস্ট্রেলিয়ার মিচেল জনসন বিশেষ করে ২০১৩ অ্যাশেজে এটা করেছেন। কিন্তু জোফরা বিষয়টি অনেক সহজ মনে হয়েছে। তাকে মোকাবেলা করার চেয়ে আমি নিজ দলেই তাকে দেখতে চাই। তিনি ভয়ংকর একজন মেধাবী। তার কোন সীমা নেই এবং আমাদের টেস্ট দলে সে বড় এক নতুন সংযোজন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।