নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক সময়ের অপরিহার্য অঙ্গ ছিলেন নাসির হোসেন। ম্যাচ ফিনিশর হিসেবে খ্যাতি কুড়িয়েছিলেন বিশ্বব্যাপী। সময়ের পালাবদলে সেই নাসির হোসেন এখন জাতীয় দল উপেক্ষিত। বিতর্কিত কর্মকান্ডে নিজেকে জড়িয়ে স্রোতের বিপরীতে নিজেকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছেন বহুদূরে। জাতীয় দলের জার্সি সবশেষ গায়ে জড়িয়েছিলেন গত বছর। নানা বিতর্ক ও ইনজুরি সমস্যায় প্রায় বছর তিনেক যাবত অনিয়মিত এই অলরাউন্ডার।
জাতীয় দলে খেলার ইচ্ছা, আগ্রহ কোনটিরই কমতি নেই নাসিরের। ঘরোয়া ক্রিকেট আর অনুশীলনে ব্যস্ত থেকে নিয়মিত ঘাম ঝরানোর পাশাপাশি জাতীয় দলে ফেরার আকাঙ্খা এখনো পুষে রেখেছেন নাসির। পুণরায় নিজেকে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরূপে আবির্ভাব করতে ফিটনেসেই মনযোগ তার। আবারও দলের অপরিহার্য সদস্য হতে চান নাসির। কাজটা কঠিন হলেও আশা ছাড়ছেন না এ সময়ের সেরা ফিনিশার বনে যাওয়া এই অলরাউন্ডার।
বাংলাদেশ দলে এখন অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতা। ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলে যাওয়া খেলোয়াড়ের সংখ্যাও বেশি। তাছাড়া সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকি আল হাসানের মুখেও শোনা গিয়েছিলো তার সাফল্যের রহস্য। সেটি অন্য কিছু নয়-ফিটনেস। সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই হয়ত, ফেরার লড়াইয়ে নাসির মনোযোগ দিচ্ছেন ফিটনেস রক্ষায়।
মাঝখানের সময়টাতে লড়াই করেছেন চোটের সঙ্গে। ঘরোয়া ক্রিকেটের নতুন মৌসুমকে সামনে রেখে সবকিছু শুরু করতে চাইছেন নতুন উদ্যমে। নিজেকে মেলে ধরতে চান ঘরোয়া পর্যায়ে। সেখান থেকেই আবার আশা করছেন জাতীয় দলে খেলার, ‘যে খেলাই খেলি না কেন সবসময় জিততে চাই। আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ খুব ভালো রেখেছেন। যেভাবে আছি খুব ভালো আছি। ফিটনেস নিয়েই এখন সময় কাটছে। সারাদিনই ফিটনেসের উপরে কাজ করি। নতুন করে শুরু করার চেষ্টা করছি। মাঝখানে আমার অনেক বড় গ্যাপ গেছে। ইনজুরিতে ছিলাম, সেভাবে খেলতে পারিনি। এখন আমার মূল লক্ষ্য শতভাগ ফিট থাকা। তারপর এনসিএল খেলা, বিপিএল খেলা। ভালো করতে পারলে ইনশাআল্লাহ্ আবারো জাতীয় দলে ফিরতে পারব।’
জাতীয় দলের জার্সি গায়ে নাসির খেলেছেন ১৯টি টেস্ট, ৬৫টি ওয়ানডে ও ৩১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। দলে থিতু হতে পারলে ম্যাচ সংখ্যা হয়ত এখন অনেক বেশি হত। তবে পেছনে না তাকিয়ে নাসির সামনের দিনগুলো নিয়েই ভাবতে আগ্রহী।
একসময়ের বাংলাদেশ ক্রিকেটের বিজ্ঞাপণ হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন নাসির হোসেন। ব্যাটে-বলে-ফিল্ডিংয়ে তার দক্ষতা ও নৈপুণ্য মুগ্ধ করেছিলো কোটি কোটি ভক্তের হৃদয়। কিন্তু তার গোছালো ক্যারিয়ারে ইনজুরির চেয়েও বড় অঘটন হিসেবে দাঁড়িয়েছিল নারীঘটিত কেলেঙ্কারি। এখন অবশ্য সব ভুলে আবারও ক্রিকেটেই মনোনিবেশ করতে চান এই তারকা। যেই ক্রিকেট নাসিরকে নাম-যশ-খ্যাতি দিয়েছিলো। ক্রিকেটের কাছ থেকে আবারও কি তা ফেরত পাবেন? প্রশ্নটার ইতিবাচক উত্তরের প্রত্যাশায় আপাতত ঘাম ঝড়ানোর পণ করেছেন নাসির হোসেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।