নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
খারাপ সময় কাটাচ্ছেন তামিম ইকবাল। বিশ্বকাপে তার ব্যাট হাসেনি, চলমান শ্রীলঙ্কা সিরিজেও কথা বলেনি তার ব্যাট। বিভিন্ন মহলের সমালোচনা তীরে বিদ্ধ দেশসেরা এই ওপেনার। এই দু:সময়ে বাংলাদেশের সাবেক কোচ জেমি সিডন্স পরামর্শ দিলেন পুরোনো প্রিয় শিষ্যকে। তার মতে, তামিমের এই সময়টি ক্ষনস্থায়ী। ধৈর্য ধারণই সবচেয়ে উত্তম কৌশল বলে মনে করেন ২০০৭ থেকে ২০১১ সালে পর্যন্ত বাংলাদেশের দ্বায়িত্বে থাকা কোচ।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের নক্ষত্র হিসেবে সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম এবং তামিম ইকবালকে দক্ষ করে করে তোলায় বিশেষ অবদান আছে সিডন্সের। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের অন্যতম ভরসা তামিম বাজে ফর্মের মধ্য দিয়ে সময় কাটাচ্ছেন বেশ অনেকদিন যাবত। সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপে মাত্র ২৯.৩৭ গড়ে রান তুলেছিলেন তিনি। এবারের শ্রীলঙ্কা সফরের দুই ম্যাচেও আলো ছড়াতে পারেননি এই ড্যাশিং ওপেনার। প্রথম ম্যাচে ০ ও দ্বিতীয় ম্যাচে করেছেন ১৯। সবশেষ ছয় ম্যাচে তামিমের আউটের ধরণ নিয়ে চলছে বিস্তার সমালোচনা। টানা ছয় ম্যাচে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন তিনি। এ বছরের হিসেবে বোল্ড হয়ে আউটের সংখ্যা ৮।
বিশ্বকাপের প্রথম তিন ম্যাচের পর তামিম বলেছিলেন, তিনি চাপ অনুভব করছেন। এর আগের বিশ্বকাপে(২০১৫) চয় ইনিংসে মাত্র ১৫৪ রান এসেছিলো তার ব্যাট থেকে। সাম্প্রতিক সময়েও তিনি ভালো শুরু করলেও ইনিংস লম্বা করতে পারছেন না।
বাংলাদেশ দল বর্তমানে সিডন্সের অধীনে নেই । বাংলাদেশের সাবেক কোচ এখন দক্ষিন অস্ট্রেলিয়ার কোচের দ্বয়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু প্রিয় শিষ্যর মঙ্কটের সময় পাশে দাঁড়ালেন তিনি, ‘শ্রীলঙ্কা সিরিজে আমি তামিমকে আউট হওয়ার আগ পর্যন্ত স্বাচ্ছন্দেই দেখেছি।’
তামিমের কোথায় সমস্যা তাও বাতলে দিলেন সাবেক কোচ, ‘প্রথম ম্যাচে মালিঙ্গার একটি অসাধারন ইয়র্কারে সে (তামিম) বোল্ড হয়েছে। দ্বিতীয় ম্যাচে যে বলে আউট হয়েছে সে বলটি না খেললেই হত। যে বলে আক্রমণ করার প্রয়োজন নেই, ও (তামিম) সেই বলেই খেলতে যাচ্ছে। বর্তমানে ধৈর্য্যরে পরীক্ষায় সে উত্তীর্ণ হতে পারছে না।’
সিডন্স আরও বলেন, ‘বিপক্ষ দল তার বিরুদ্ধে ভালো বল করছে এবং বাউন্ডারি মারতে দিচ্ছে না। তার আর একটু ধৈর্যধারণ করা প্রয়োজন। তাকে ৫০ ওভার ব্যাট করার লক্ষ্য নিয়ে নামতে হবে। ২০ ওভারেই সব রান করতে হবে এমন না।’
কিভাবে সফল হতে পারেন তামিম এবং কিভাবে তাকে খেলতে হবে সে কৌশণও বাতলে দিলেন সিডন্স, ‘তামিম টেকনিকের দিক থেকে ভালো। আমি তার সামনের পা একটু সোজা এবং সামনে রাখতে বলব। আমি শ্রীলঙ্কা সিরিজের প্রতিটি বলই নজরে এনেছি। কারন সে আমাকে ফ্রুটেজ পাঠিয়েছে দেখার জন্য। প্রথম দশ ওভার তাকে সতর্ক থাকতে হবে। যখন বলের সুইং কমে আসবে তখনই তাকে শর্ট খেলতে হবে। তখন সে অফ স্ট্যাম্পের ভালো লেন্থের বলগুলোতে রান করতে পারবে। অনেক বোলার তাকে বিশ্বকাপেও শর্ট বলে করেছে, সফলও হয়েছে।’
কয়েকটি বিশ্বকাপে তামিমের ভালো খেলতে না পারাকে আত্মবিশ্বাসে চরম আঘাত বলে মনে করেন বাংলাদেশের এই সাবেক কোচ, ‘আমি মনে করি দলে তামিম, সাকিব ও মুশফিকের প্রতি দলে চাহিদাটা একটু বেশি। সে কারনে একটু সমস্যা কাজ করছে। তাছাড়া কয়েকটি বিশ্বকাপে তামিমের ভালো না করতে পারাও একটি কারন। কিন্তু আমি মনে করি ওপেনিং পজিশনে খেলা একটি কঠিন কাজ। তামিম দীর্ঘদিন বাংলাদেশ দলের হয়ে এই পজিশনে ভালো খেলছে। কয়েকটি ভালো বলে আউট হয়ে তার আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।