নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আর দুই দিন বাদেই শুরু হতে যাচ্ছে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়ন্সশিপ। ক্রিকেটের নতুন এই টুর্নামেন্টের শুরুটা হবে সবচেয়ে পুরাতন দুই প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার ঐতিহাসিক অ্যাশেজ সিরিজের মধ্য দিয়ে। এ নিয়ে প্রবল আগ্রহ প্রকাশ করেছেন খেলোয়াড়রা।
দুই বছর জুড়ে চলমান এই টুর্নামেন্টে টেস্ট খেলুড়ে ৯ দেশ খেলবে মোট ২৭টি টেস্ট সিরিজ। সিরিজগুলোয় হবে মোট ৭২টি টেস্ট। ওয়ানডে ও টি-২০’র আড়ালো অনেকটা রং হারানো টেস্টকে জাগ্রত করতেই আইসিসির এই উদ্যোগ। প্রতিটা দেশ তিনটি করে হোম ও অ্যাওয়ে সিরিজ খেলবে। প্রত্যেক সিরিজে থাকবে ১২০ পয়েন্ট। এই পয়েন্ট ভাগ হবে সিরিজে কয়টা টেস্ট হচ্ছে তার ওপর ভিত্তি করে। তিনটা টেস্ট হলে প্রতি টেস্টের জন্য থাকবে ৪০ পয়েন্ট করে, দুটি হলে ৬০। টেস্ট টাই হলে পয়েন্ট ভাগাভাগি হবে। ড্র হলে ৩:১ অনুপাতে পয়েন্ট ভাগাভাগি হবে। সিরিজগুলোর দৈর্ঘ্য দুই টেস্ট থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ টেস্ট পর্যন্ত হবে। শীর্ষ দুই দল মুখোমুখি হবে ফাইনালে। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য ফাইনালে জয়ী দল হবে টেস্টের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন।
আইসিসির নতুন এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি, ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি জেমস অ্যান্ডারসন, অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক টিম পেইন প্রমুখ।
অ্যান্ডারসন মনে করছেন, এখন থেকে প্রতিটা টেস্টই আলাদা গুরুত্ব পাবে, ‘টেস্ট ক্রিকেটেই রয়েছে সর্বোচ্চ সম্মান ও মর্যাদা। ক্রিকেটের আদি ও আসল ফরম্যাট এটাই। বিশ্বব্যাপী অনেক খেলোয়াড় এই ফরম্যাটে খেলে নিজেদের উন্নত করতে চায়। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করা আইসিসির একটি চমৎকার উদ্যোগ। এখন থেকে প্রতিটা টেস্ট ম্যাচের একটা আলাদা গুরুত্ব থাকবে।’
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার জন্য মুখিয়ে আছেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি, ‘অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে আমরা আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য অপেক্ষা করছি। ক্রিকেটের দীর্ঘতম ফরম্যাটকে আরও গুরুত্ববহ করবে এই আয়োজন। টেস্ট ক্রিকেট খেলা সব সময়েই চ্যালেঞ্জের, আর টেস্ট ক্রিকেটে ভালো করলে অন্য রকম একটা শান্তি পাওয়া যায়। টেস্টে ভারত কয়েক বছর ধরে বেশ ভালো করছে। আমরা চাইব এই চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার জন্য।’
অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের কাছে তো টেস্টের ব্যাগি গ্রিন ক্যাপের মর্যাদা আরও বেশি। এই ক্যাপ পরে সাফল্য অর্জন করা প্রত্যেক অজি ক্রিকেটারের কাছে স্বপ্নের মতো। এবার ব্যাগি গ্রিন ক্যাপ পরে টেস্টে আরও ভালো করতে চাইবে অষ্ট্রেলিয়ানরা, এমনটাই মনে করছেন দলটির অধিনায়ক টিম পেইন, ‘এটি একটা চমৎকার উদ্যোগ। আমরা টেস্ট খেলতে ভালোবাসি। আমাদের কাছে ক্রিকেটের শীর্ষ পর্যায় টেস্টই। অস্ট্রেলিয়ায় এখনো টেস্টের কদর সবচেয়ে বেশি। ঘরের মাঠে খেলোয়াড়, সমর্থক, মিডিয়ার কাছে টেস্টের আবেদন অন্য রকম। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের কাছে এখনো ব্যাগি গ্রিন ক্যাপ পরে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে পারাটা সর্বোচ্চ সাফল্য। আইসিসি এমন একটা টুর্নামেন্টের আয়োজন করছে, তার মানে এখন থেকে টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলো টেস্টকে গুরুত্ব দেবে আরও বেশি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।