Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আত্মাবিশ্বাসী তামিম, ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়

ইনশাল্লাহ কামব্যাক করতে পারব-সুজন

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০১৯, ৬:১৬ পিএম

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে হেরে ব্যাকফুটে বাংলাদেশ দল। পরের ম্যাচের ছোট দুর্ঘটনাই ছিটকে দিতে পারে সিরিজ থেকে, এ কথা জানেন টাইগার দলপতি তামিম ইকবালও। তবে হতাশ হতে রাজি নন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তিনি বিশ্বাস করেন, ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব। আজ কলম্বোতে দুপুর তিনটায় দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে প্রবল আত্মবিশ্বাস নিয়ে তিনি মনে করিয়ে দিলেন আরও দু’টি ম্যাচ সামনে আছে।


গত শুক্রবার কলম্বোতে প্রথম ম্যাচটি ছিল লাসিথ মালিঙ্গার বিদায়ী ম্যাচ। কি রঙ্গিণভাবে সেই ম্যাচটি রাঙ্গিয়ে রাখলেন তিনি। যেন পণ করেই নেমেছিলেন, কিছু একটা করবেন। করলেনও তাই। শুরুতে তামিমকে বোল্ড করার পর একই কায়দায় ফেরালেন সৌম্যকে। শেষ করলেন মুস্তাফিজকে দিয়ে। এমন বিদায়ী ম্যাচতো সবাই প্রত্যাশা করে কিন্তু পায় কয়জন? মালিঙ্গা পেয়েছেন। প্রথম ম্যাচের আগে লঙ্কান দলপতি দিমুথ করুণারতেœও বলেছিলেন, মালিঙ্গার বিদায়ী ম্যাচে তাকে জয় উপহার দিতে চান। কি জয়টাই না তাকে উপহার দিল দল! ৯১ রানে সফরকারি দলকে হারিয়েছে তারা।


এবার তামিমও যেন লঙ্কান দলপতির মতোই পণ করলেন। আত্মবিশ্বাসের সুরে তিনি জানালেন জয়ের আসন্ন জয়ের আভাস, ‘আমরা সিরিজে এখনো টিকে আছি। শুধু আবার একতাবদ্ধ হতে হবে আর গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, এ সিরিজে আপনি কিছু করতে চাইলে দায়িত্ব নিতে হবে। ভালো শুরু পেয়ে ৫০, ৬০ ও ৭০ রানে ব্যাট করে স্কোর বড় করতে হবে।’


প্রথম ম্যাচে মুশফিক-সাব্বির ছাড়া রান করতে পারেননি কোন ব্যাটসম্যান। এই দুই ব্যাটসম্যানের জুটিই যা একটা আশার সঞ্চার ঘটিয়েছিল ম্যাচে। সাব্বিরের বিদায়ের পরও লড়াই করেছিলেন মুশফিক। কিন্তু সেই লড়াই থামিয়ে যখন তিনি প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন, কার্যত তখনই ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে যায় বাংলাদেশ। শেষ উইকেটে মুস্তাফিজ-রুবেল শুধু ব্যবধানই কমিয়েছিলেন। আর পরাজয়ের ক্ষণগণণাও কমিয়ে এনেছিলেন কিছুটা। এর বেশি কিছুই সম্ভব ছিল না তাদের।


এ ম্যাচে চোখে আঙুল দিয়ে লঙ্কানরা দেখিয়ে দিল বাংলাদেশের দুর্বলতা। দ্বিতীয় ম্যাচে তাই সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর বিকল্প নেই। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলেও এই অবস্থা থেকে সেখান থেকে উত্তোরণের পথ জানে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। এমনটাই মনে করেন দলের অন্তবর্তীকালিন কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন, ‘দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে আমাদের। তবে এক ম্যাচ হারলেও আমরা বাউন্স ব্যাক করব। আমরা ভুল থেকেই শিখছি। পরবর্তীতে এই ভুল করতে পারব না- এটা চেলেরাও বোঝে। আমাদের দলের সামর্থ্য আছে, ইনশাল্লাহ কামব্যাক করতে পারব।’


ব্যাট হারে সময়টা ভালো যাচ্ছে না তামিমের। তার উপর মাশরাফি, সাকিব না থাকায় অধিনায়কের বাড়তি দায়িত্বও তার কাঁধে। প্রথম ম্যাচে কোন রান না করেই আউট হয়েছেন তামিম। তিনি জানালেন অনেক সংগ্রাম করতে হচ্ছে তাকে, ‘আমি সত্যিই সংগ্রামের মধ্যে আছি। যখন আমি নিজে অধিনায়ক, তখন আমার প্রয়োজন ছিল সামনে থেকে ভালো পারফর্ম করা। কিন্তু সেটা পারিনি। তবে, খেলোয়াড়রা নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই করেছে।’
তামিম যে সংগ্রাম করছেন, তার প্রমান মিলল ম্যাচের আগে অনুশীলনের মঞ্চে। গতকাল বাংলাদেশ দলের মাত্র তিনজন ক্রিকেটার ছিলেন অনুশীলনে। অধিনায়ক তামিমের সঙ্গে ছিলেন এনামুল হক বিজয় ও বাহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। মাত্র তিনজন কেন অনুশীলনে এই প্রশ্নে জবাবে সুজন বলেন, ‘মূলত আজকে (গতকাল) অনুশীলন বন্ধ ছিল। এখানে গরমটাও অনেক, তার উপর গতকাল (শুক্রবার) ম্যাচ শেষ করে হোটেলে ফিরতেও দেরি হয়েছে। যারা করতে চেয়েছে তারাই অনুশীলন করছে।’


আজ দ্বিতীয় ম্যাচে টিকে থাকার লড়াইয়ে মাঠে নামার আগে মনস্তাত্বিকভাবেও এগিয়ে থাকে হবে বাংলাদেশকে। প্রতম ম্যাচে হেরে যাওয়ার পরও সিরিজ জেতার রেকর্ড আছে টাইগারদের। একথা স্বরণ করে নিতে হবে অনুপ্রেরণা। তাহলেই আসবে কাঙ্খিত জয়। শেষ ম্যাচটি দাঁড়াবে সিরিজ নির্ধারনের মঞ্চ হিসেবে। সবকিছুর জন্য প্রয়োজন মাঠে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে বুক চিতিয়ে লড়াই করে জয় ছিনিয়ে নেয়া। এই প্রত্যাশায়ই আছেন বাংলাদেশের কোটি কোটি ক্রিকেটভক্ত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ক্রিকেট


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ