নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
হতাশা আর বাংলাদেশের বোলিং। দুটো শব্দই যেন একে অপরের সমার্থক। সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ হওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রশ্নবিদ্ধ করা যায় ছন্নছাড়া বোলিংকে। অন্য বিভাগে মোটামুটি আশার আলো জ্বললেও পুরো সময়ই অন্ধকারে ছিল টাইগারদের ধাঁরহীন বোলিং। শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে নিজেদের ঝাঁলাই করার ম্যাচেও কাঠগড়ায় তাসকিন-মিরাজদের পারফরমেন্স।
বাংলাদেশের বিপক্ষে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে গতকাল নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৮২ রান সংগ্রহ করেছে শ্রীলঙ্কা বোর্ড প্রেসিডেন্ট একাদশ। তাইজুল ইসলাম, মোসাদ্দেক হোসেন ও মেহেদি মিরাজ ছাড়া প্রত্যেকের ঝুলিতেই আছে অন্তত একটি করে উইকেট। তবে প্রাপ্তিটা প্রত্যাশার তুলনায় অনেক কম।
বিশ্বকাপে মাশরাফির মূল বোলারদের ব্যর্থতাকে আড়াল করে রেখেছিলেন সৌম্য সরকার। গতকাল তামিমের দলেও তারকা বোলারদের ভীড়ে সেরা কিন্তু সেই সৌম্য। তার পারফরমেন্স অবশ্যই স্বস্তিদায়ক। কিন্তু প্রতি ম্যাচেই যদি তাকেই ব্রেকথ্রু এনে দিতে হয়, তাহলে পার্টটাইম বোলার বলাটাও সাজে না। দলের ভরসা জাগানিয়া বোলারদের ব্যর্থতার বৃত্তে ভরসার কেন্দ্র হচ্ছেন এই ওপেনার ব্যাটসম্যান। তার ব্যাটিংয়ের ভঙ্গুর পারফরমেন্সের পেছনেও হয়তো এই বোলিংয়ের অতিরিক্ত চাপ তৈরি করে কিনা ভেবে দেখা দরকার। গতকালও তিনি ৬ ওভারে ২৯ রান খরচায় নিয়েছেন ২টি উইকেট।
প্রসংশা কিছুটা করতে হয় রুবেল হোসেনের। প্রধমেই দুটি উইকেট তুলে নেন এই পেসার। তারপর তাসকিনও দ্রুতই গুনাতিলাকাকে ফিরিয়ে দিলে ম্যাচে নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বাংলাদেশের। কিন্তু তারপর আর কই? মুস্তাফিজকেও দেখা গেল না স্বরূপে। মোসাদ্দেক, মিরাজ ও তাইজুল তো ফিরেছেন শূণ্যহাতে। ফরহাদ রেজা একটি উইকেট পেলেও তার বোলিংয়ে কোন বৈচিত্র্য দেখা যায়নি।
প্রস্তুতি ম্যাচে নয়জন বোলার ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে ব্যবহার করেছেন অধিনায়ক তামিম। প্রথম ৩০ ওভারে স্বাগতিক দলের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ১৩২ রান। এমন অবস্থায় বাংলাদেশী বোলাররাতো চেপে ধরার কথা প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের। উল্টো দেখা গেল টাইগার বোলারদের বিপক্ষেই ব্যাট চড়াও করেছে লঙ্কান একাদশ। শেষ ২০ ওভারে মাত্র তিন উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৫০ রান যোগ করেন লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। সবশেষ ২৮২ রানে থামে তাদের ইনিংস।
আন্তর্জাতিক ম্যাচে প্রতিনিয়তই শিখছে বাংলাদেশ দল। তাতে কোন সন্দেহও নেই। কিন্তু শ্রীলঙ্কান একাদশের বিপক্ষেও কি বলতে হবে-আমরা শিখছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।