নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আফগানিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের পারফরমেন্স হতাশ করেছে দেশের ক্রিকেটপাগল সমর্থকদের। আফগানদের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচের দু’টিতেই হেরে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে আছেন স্বাগতিক দল। দলের যখন এই অবস্থা, তখন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচকদের কপালেও পড়েছে চিন্তার ভাঁজ।
বাংলাদেশ ‘এ’ দলের কাছ থেকে যতটুকু প্রত্যাশা ছিল, প্রাপ্তির খাতায় তার ধারেকাছেও ছিলনা। বিপরীতে আফগানদের ব্যাপারে যা ভেবেছেন, তার চেয়েও ভালো ক্রিকেটে খেলেছে তারা। এই পারফরমেন্সের পর দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা রয়েছে চিন্তায়। এমন খেলার পর ঘুম হারামের উপক্রম নির্বাচকমন্ডলীর।
তবে দলের এমন পারফরমেন্সের ব্যাখ্যা দেয়ার কোন ভাষাও জানা নেই বলে মন্ত্রব্য করেছেন হাবিবুল বাশার, ‘এটা অবশ্যই বিব্রতকর। তবে দুশ্চিতা বেশি। ওরা কিন্তু ভালো দল। তারা ভালো ক্রিকেট খেলছে। ভালোভাবে প্রয়োগও করেছে। আফগানিস্তানের এই গ্রুপটা আশার চেয়েও বেশি ভালো খেলেছে। আমাদের দলে যারা আছে তারাও ভালো ক্রিকেট খেলে আসছিল। এটার ব্যাখ্যা দেয়া মুশকিল।’
চিন্তার জায়গাটা আরেকটু প্রশস্ত হবে এই তথ্য জেনে, এই ‘এ’ দলের চারজন ক্রিকেটার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে খেলবেন। আফগান এই দলের বিপক্ষে ঘরোয়া কন্ডিশনে যদি তাদের এই হাল হয়, তাহলে লঙ্কান মাটিতে কি করবেন তারা? প্রশ্নটা স্বাভাবিকভাবেই উঠতে পারে।
এমন একটি দলের বিপক্ষে হতাশাজনক পারফর্মেন্স বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য অশনি সংকেত হিসেবে দেখছেন বাশার। সিরিজের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ‘এ’ দল নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী একটি ম্যাচেও খেলতে পারেনি। প্রথম চারদিনের ম্যাচটিতে ৭ উইকেটের ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। দ্বিতীয় ম্যাচে ড্র করতে সক্ষম হলেও সিরিজ হারতে হয়েছে তাদের। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে আফগানদের বিপক্ষে মোহাম্মদ মিঠুনের দল হেরে যায় ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। দ্বিতীয় ম্যাচে ৪ উইকেটের হারে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ঘরোয়া ক্রিকেটে এই ক্রিকেটাররা দুর্দান্ত পারফর্মেন্স করলেও ‘এ’ দলে নিজেদের পরীক্ষাটা ভালোভাবে দিতে পারেনি বলে মনে করেন বাশার। তারা নিজেদের প্রমাণ না করতে পারায় হতাশ বিসিবির এই নির্বাচক, ‘দ্বিতীয় সারিব একটি দল হিসেবেই ‘এ’ দলকে বিবেচনা করা হয়। ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেকসময় আমরা অনেক সময় বিচার করতে পারি না। ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেকেই ভালো খেলে। ‘এ’ টিমে আসলে তাদের পরীক্ষাটা ভালো হয়। দু:ভাগ্যবশত এই পরীক্ষাটা কেউ ভালো দিতে পারেনি।’
আফগানিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে এমন হতশ্রী পারফরমেন্স দেখে অনেকের মনে উঁকি দিচ্ছে দু:শ্চিন্তা। সাকিব, তামিম, মাশরাফি, রিয়াদ, মুশফিক পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ দলকে আশা দেখাবেন কারা? নাকি দীর্ঘদিন ধরে তাদের বিকল্পের অভাবে আবার একটি সাদামাটা দলে পরিণত হবে বাংলাদেশ?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।