নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসরে প্রত্যাশার চেয়ে বহুদূরে ছিল বাংলাদেশ দল। গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নেয়া টাইগাররা মিশন শেষ করেছে আটে থেকে। মাশরাফিদের নিচে ছিল শুধুমাত্র ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আফগানিস্তান। এখন বিগত আসর নিয়ে তেমন একটা ভাববার সময়ও নেই। ক্রিকেটারদের মাথায় এখন শুধূই শ্রীলঙ্কা সিরিজের পরিকল্পনা।
লঙ্কানদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে আগামীকাল (২০ জুলাই) দেশ ছাড়বে টাইগাররা। আসন্ন সিরিজকে সামনে রেখে দ্বিতীয় দিনের প্রস্তুতি শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে লঙ্কানদের বিপক্ষে বাংলাদেশকেই ফেবারিট বলে দাবি করেন বাংলাদেশ অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন। দলকে তিনি ভারসাম্যপূর্ণ বলেও দাবি করেছেন।
তরুণ এই অলরাউন্ডার মনে করেন, ‘ফর্মে থাকা ব্যাটিং লাইনআপ ও উপমহাদেশের কন্ডিশনে টাইগারদের সমীহ জাগানিয়া বোলিংয়ের পাশাপাশি নিজেদের এগিয়ে রাখবে দলের অভিজ্ঞতা।’
ব্যাটিং-বোলিংয়ের পারদর্শীতা এগিয়ে রাখবে বাংলাদেশকে। তাছাড়া অভিজ্ঞতার দিক দিয়েও বাংলাদেশ এখন অনেক এগিয়ে বলে মন্তব্য করেন তিনি, ‘অভিজ্ঞতা বিচার করলে আমরা শক্ত অবস্থানে আছি। ব্যাটিং-বোলিং দুই দিক থেকেই ভালো অবস্থায় আছি। বিশ্বের অন্য অনেক দলের চেয়েও আমরা এখন বেশি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন দল। তাই আমি মনে করে এদিক থেকে আমরা এগিয়েই থাকব।’
ইনজুরি সম্যার কারনে আয়ারর্যান্ড সিরিজ ও বিশ্বকাপে বোলিং করতে পারেননি দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দলকে অবশ্য এ অভাব খুব একটা বুঝতে দেননি মোসাদ্দেক। আসন্ন লঙ্কা সিরিজেও মাহমুদউল্লাহ শুধু ব্যাটসম্যানের ভ’মিকায়ই থাকবেন। তাই আবারও দ্বায়িত্ব নিতে হবে অলরাউন্ডার মোসাদ্দেককে। অবশ্য এটাকে একটি বাড়তি সুযোগ মনে করেন তিনি। সেই সঙ্গে অলরউন্ডা হিসেবে এগিয়ে যাওয়ার একটি পথও মনে করেন তিনি, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা শুরু করার পর থেকেই প্রায় প্রত্যেক ম্যাচেই বল হাতে অবদান রাখতে হয় দলের জন্য। যখন রিয়াদ ভাই বোলিং করতেন তখনও আমি ৫-৬ ওভার বোলিং করেছি। অন্যদিক থেকে চিন্তা করলে অলরাউন্ডারের দিক থেকেও এগিয়ে যাওয়ার পথ সহজ হয়ে যাবে।’
বোলিংয়ে মাহমুদউল্লাহর অনুপস্থিতি ও নিজের বাড়তি সুযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এভাবে চিন্তা করি নাই যে রিয়াদ ভাই নেই। রিয়াদ ভাই না থাকলে আমার সুবিধা বা আমি বাড়তি সুযোগ পাচ্ছি বোলিং করার।’
বিশ্বকাপে দলকে একাই টেনেছেন বিম্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। কিন্তু তিনি আছেন বিশ্রামে। লিটন দাসও আছেন একই পথে। তাদের পরিবর্তে স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন তাইজুল ইসলাম ও এনামুল হক বিজয়। মোসাদ্দেক মনে করেন, তাইজুল ও বিজয় সাকিব-লিটনের ঘাটতি পূরণ করতে সক্ষম হবেন।
মোসাদ্দেকের ভাষ্য, ‘এই সিরিজে সাকিব ভাই ও লিটন নেই। তবে তাদের বদলি হিসেবে স্কোয়াডে যারা এসেছে তারাও পারফর্মার। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত তারা পারফর্ম করেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে না খেলালে তাদের সামর্থ্য তো বোঝা যাবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তারা খেললে তাদের অবস্থা বোঝা যাবে। তাই আমি মনে করি দল হিসেবে আমরা ভারসাম্যপূর্ণ।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।