Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভনের দেখা সেরা ইংল্যান্ড দল এটাই

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০১৯, ৫:১০ পিএম

ক্রিকেটের জন্ম যাদের হাতে সেই দলের নামের পাশেই নেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের তকমা! ইংল্যান্ডের এই বন্ধ্যত্ব দূর হয়েছে যাদের হাত ধরে তাদের প্রশংসা করেছেন মাইকেল ভন। এটাই তার দেখা সেরা ইংল্যান্ড দল বলেও মনে করেন দলটির সাবেক অধিনায়ক।

ভনের ধারণা, আগামী প্রজন্ম এই বিশ্বকাপজয়ী দলের কাছ থেকে প্রচুর অনুপ্রেরণা পাবে। সব ফরম্যাটে বিশ্বের একনম্বর দল হওয়ার ক্ষমতা ইয়ন মরগ্যানের দলের আছে বলেও মনে করেন তিনি, ‘গত চার বছর ধরে যেভাবে খেলে শেষ অবধি বিশ্বকাপ জিতল এরা, সেভাবে চালিয়ে গেলে পরের বছর টি-২০ বিশ্বকাপে সাফল্য অবশ্যম্ভাবী।’ ‘গত ছয় সপ্তাহের অভিজ্ঞতাকে সম্বল করে এখন টেস্টে ধারাবাহিকতা আনতে হবে। টেস্ট, ওয়ান-ডে এবং টি-২০, এই তিন ফরম্যাটে একইরকম সফল হতে পারে এরা।’
তাদের এই অর্জন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সাহায্য করবে বলে মনে করেন ভন, ‘ক্রিকেটকে বাচ্চাদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজটা এদের থেকে ভাল কেউ করতে পারবে বলে মনে হয় না। এদের দেখেই তো ছেলেমেয়েরা ক্রিকেট মাঠে আসবে।’

এই জয়কে ভন ২০০৫এর অ্যাশেজ জয়ের সঙ্গে তুলনা করেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেটের অন্যতম সেরা মুহূর্তের মধ্যে অন্যতম ২০০৫ সালের অ্যাশেজ জয়। আঠারো বছর অপেক্ষার পর ইংল্যান্ডের যে দলটা চিরশত্রæ অস্ট্রেলিয়াকে ২-১ হারিয়ে অ্যাশেজ ছিনিয়ে নেয়, সেই দলের অধিনায়ক ছিলেন স্বয়ং ভন। তাদের সেই জয় যেমন মানুষের মনে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলেছিল, এই বিশ্বকাপ জয়ের পরেও ঠিক সেরকম হবে বলে মনে করেন ভন, ‘আমি বয়সে খানিকটা বড়, তাই আমি ছেলেগুলোকে দেখে বুঝতে পারছি, চব্বিশ ঘন্টা আগে ওরা কী করেছে, তার পরিষ্কার ধারণা ওদের এখনও হয়নি। ভবিষ্যতের ওপর কতবড় প্রভাব তারা ফেলতে চলেছে, তারও নয়। আর কয়েক বছর যেতে দিন, দেখবেন রাস্তাঘাটে বেয়রস্টো বা ওকসকে থামিয়ে লোকে বলছে, “আপনার জন্যই আজ আমি ক্রিকেট খেলছি” বা “আমার ছেলে আপনাদের দেখার পরেই ক্রিকেটার হবে ঠিক করে”।’

নিজের অভিজ্ঞতা মনে করে ভন বলেন, ‘সেই কবে আমরা অ্যাশেজ জিতেছিলাম, এখনও আমাদের লোকে এসে বলে আমাদের জন্যই নাকি তারা ক্রিকেট ধরেছে।’
ইংল্যান্ডের হয়ে ৮২টা টেস্ট আর ৮৬টা একদিনের ম্যাচ খেলেছেন ভন। তিনিও একবাক্যে স্বীকার করলেন যে রবিবার লর্ডসে তিনি তার ক্রিকেটজীবনের সেরা দিনটা কাটিয়েছেন, ‘অবসর নেওয়ার পর এরকম অনুভূতি কখনও হয়নি। মাঠের মধ্যে নেই বলে হয়ত স্নায়ুর চাপ আরও বেশি মনে হচ্ছিল। আমরা যারা ক্রিকেট খেলেছি, তাদের প্রত্যেকের সংগ্রহেই একাধিক স্মরণীয় মুহূর্ত আছে। কিন্তু বিশ্বাস করুন, রবিবার লর্ডসে যে ঘটনার সাক্ষী হলাম, তার কাছে কিচ্ছু লাগে না।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ক্রিকেট


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ