নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ইয়ন মরগ্যানের নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জিতে ইতিহাস গড়েছে ইংল্যান্ড। ৪৪ বছরের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ইতিহাসে চারবার ফাইনালে উঠলেও এবারই প্রথম শিরোপার স্বাদ পেয়েছে ইংলিশরা। অসাধারণ এই সাফল্য আসে যার নেতৃত্বে সেই মরগ্যান ওয়ান-ডে দলের অধিনায়ক থাকবেন কিনা, তা ঠিক করার অধিকার তিনি অর্জন করেছেন বলে মনে করেন দলটির সাবেক অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস।
এ বছর ইংল্যান্ডের সামনে আর কোনো একদিনের টুর্নামেন্ট নেই। আগামী ১ আগস্ট থেকে তারা খেলবে পাঁচ টেস্টের অ্যাশেজ সিরিজ। এরপর তারা যাবে নিউজিল্যান্ডে পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলতে। বিশ্বকাপের পর ইংল্যান্ডের প্রথম একদিনের ম্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০২০ সালের ফেব্রæয়ারিতে। সফরে স্বাগতিক দলের সঙ্গে পাঁচ ম্যাচের ওয়ান-ডে সিরিজ খেলবে তারা।
মরগ্যানের বয়স এখন ৩২। পরের বিশ্বকাপে তিনি খেলবেন কিনা এখনই বলা মুশকিল। তবে আগামী বছরের অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় হতে যাওয়া টি-২০ বিশ্বকাপে হয়ত তিনিই ইংল্যান্ডের নেতৃত্ব দেবেন। স্ট্রাউসের বক্তব্য, পুরোটাই মরগ্যানের নিজের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে, ‘ও এভারেস্টের শিখরে পৌঁছে গেছে, তাই এর পর ও কী করতে চায়, সেটা ওকেই ঠিক করতে হবে। দলের বাকিদের সামনেও অবশ্য এই একই প্রশ্ন, কারণ এর আগেও আমরা এরকম জায়গায় দাঁড়িয়ে ভুল করেছি।’
এর আগে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটের সবচেয়ে সুখকর মুহূর্ত এসেছিল ২০০৫ অ্যাসেজ জয়ের মাধ্যমে। সেকথা মনে করে স্ট্রাউস বলেন, ‘২০০৫ এ যখন অ্যাশেজ জিতে একনম্বর দলের স্বীকৃতি পেলাম, তখন সবাই ভাবতে শুরু করলাম, আমাদের সব পাওয়া হয়ে গেছে। আর সেখান থেকেই হোঁচট খাওয়ার শুরু। মরগ্যানরা আশা করি এই ভুলটা করবে না। বরং এই বিশ্বকাপ জয়কে ভিত করে তার ওপর আরও বড় ইমারত গড়ার চেষ্টা করবে। আমার ধারণা, এখন ও কিছুদিন নিজের জন্য সময় চাইবে। অধিনায়ক হিসেবে ও ঠিক কতটা ভালো, তা তো আর প্রমাণের অপেক্ষা রাখে না। এর পরেও যদি ও একইরকমভাবে দলের ছেলেদের প্রেরণা জুগিয়ে যেতে পারে, আর তার থেকেও বড় কথা, দলের নেতৃত্ব দিতে চায়, তাহলে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড নিশ্চয়ই সেটা সানন্দে মেনে নেবে।’
২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড গ্রæপ পর্ব থেকে ছিটকে পড়ার পরও একইভাবে মরগ্যানের পাশে ছিলেন স্ট্রাউস। স্ট্রাউস তখন ছিলেন দলের ডিরেক্টর। তার নেওয়া সিদ্ধান্তের মধ্যে অন্যতম ছিল মরগ্যানকে অধিনায়ক পদে বহাল রাখা। চার বছর বাদে স্ট্রাউসের সেই আস্থার প্রতিদান দিলেন আয়ারল্যান্ডে জন্ম নেওয়া ও দেশটির হয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা মরগ্যান। তখন কী ভেবে মরগ্যানকে না সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, স্ট্রাউস বলেন, মর্গানের নেতৃত্ব দেওয়ার সহজাত দক্ষতা নিয়ে কারোরই কোনও সন্দেহ ছিল না। তাছাড়া বোর্ড একদিনের ক্রিকেটে যেরকম দল বানানোর কথা ভাবছিল, মরগ্যান দলটাকে সেদিকেই নিয়ে যাচ্ছিল, ‘২০১৫ বিশ্বকাপের সময় আমি স্কাই টিভির হয়ে কমেন্ট্রি করছিলাম। মনে আছে ইংল্যান্ডের খেলা দেখে প্রচÐ রেগে গেছিলাম। মাঠে ওরা খারাপ খেলছিল বলে নয়। এর আগের যে-দু’টো বিশ্বকাপে আমি খেলেছিলাম এবং তারও আগের বিশ্বকাপে আমরা যে ভুলগুলো করেছি, সেই ভুলগুলোই আবার চোখের সামনে হতে দেখছিলাম বলে রাগ হচ্ছিল। টেস্ট ম্যাচের খেলোয়াড়দের একদিনের দলে জায়গা দিলে আর যাই হোক বিশ্বের সেরা ওয়ান-ডে দলগুলোকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতা যায় না।’
অভিজ্ঞতার ঝুলি খুলে দিয়ে স্ট্রাউস বলেন, ‘এখনও মনে আছে, ২০০৭ বিশ্বকাপের সময় আমি বলেছিলাম যে দু'টো তিন রান একটা ছয়ের সমান। পরে বুঝেছিলাম কতটা বোকার মত কথাটা বলেছিলাম। আমাকে যখন ডিরেক্টর পদে নেওয়া হল, তখনই ঠিক করেছিলাম, ঐ ভুল আর হতে দেওয়া যাবে না। ডিরেক্টর হওয়ার পর আমি প্রথমেই ভাবতে শুরু করলাম, একদিনের ক্রিকেটকে অগ্রাধিকার দিতে গেলে আমাদের কী করতে হবে। যে ঘরানার ক্রিকেট খেলতে চাইছি আমরা, সেটাকে ঘষেমেজে তৈরি করতে পারবে, এরকম অধিনায়কই বা কে। এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতেই ইয়ন মরগ্যানের কথা মাথায় আসে। ও কোনোদিনই ভিড়ের থেকে আলাদা হতে ভয় পায় না। ব্রেন্ডন ম্যাকালামের ভাল বন্ধু হওয়ার ফলে দ্রæতগতির খেলার ধরণটা ও অন্যদের থেকে ভালো বোঝে। ওর নিজের খেলার ভঙ্গিটাও একই ঘরনার। ওকে অধিনায়ক পদে রেখে দেওয়া নিয়ে আমার মনে অন্ততঃ কোনও সন্দেহ ছিল না।’
স্ট্রাউস চান মরগ্যান আরও কিছুদিন দলটাকে চালান। মরগ্যানকে ইংল্যান্ডের সেরা ক্যাপ্টেন বলতেও দ্বিধা করেননি তিনি। তবে মরগ্যান সরে দাঁড়াতে চাইলে জস বাটলারকে অধিনায়ক করার পক্ষপাতী স্ট্রাউস, ‘জস একজন দুর্দান্ত ক্রিকেটার এবং ততোধিক অসাধারণ একজন মানুষ। নির্ভুলভাবে ম্যাচের গতিপ্রকৃতি ধরতে পারে। অধিনায়কের পদ খালি হলে নিঃসন্দেহে ওই সবথেকে যোগ্য প্রার্থী হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।