নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়নও তারাই। অন্যদিকে বিশ্বকাপের দু’বারের সেরা ভারত। বলা যায় সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিকেটবিশ্বকে শাসন করছে ভারতীয়রা। এ দু’টি দল যখন কোন আসরে পরস্পরের মুখোমুখি হয় তখন উত্তেজনার পারদ যেন বেড়ে যায়। বিশ্ব ক্রিকেটের এ দুই পরাশক্তি এবারের বিশ্বকাপে হট ফেভারিট। যে কারণে তাদের ম্যাচ নিয়ে সবার আগ্রহই আকাশচুম্বি। বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসরের হাইভোল্টেজ ম্যাচে রোববার শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামছে অস্ট্রেলিয়া। ওভালে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় শুরু হবে আসরের চর্তুদশ এ ম্যাচটি। অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় হলেও এটি ভারতের দ্বিতীয় ম্যাচ। অজিরা নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটের বড় জয় তুলে নিলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কষ্ট করে জিতেছে। তারা ক্যারিবীয়দের ১৫ রানে হারিয়ে আসরের দ্বিতীয় জয়টি পায়। আর ভারত তাদের প্রথম ম্যাচে রোহিত শর্মার হার না মানা সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। বিশ্বকাপে জয়ের ধারায় থাকতে চায় দু’দলই। কারণ তাদের চোখ ফাইনালে। লক্ষ্যপূরণে ম্যাচ বাই ম্যাচ ভালো করতে চায় তারা। এমনটাই বলেছেন দু’দলের অধিনায়ক। ম্যাচের আগে গতকাল ভারতের সহ-অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেন,‘আমরা বিশ্বকাপ ট্রফি পুনরুদ্ধার করতেই ইংল্যান্ডে এসেছি। তাই জয়ের ধারাবাহিকতায় থাকতে চাই। লক্ষ্যপূরণে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় পেতেই মাঠে নামবো আমরা।’
তবে রোহিত যাই বলুন না কেনো সাম্প্রতিক সময়ে কিন্তু ওয়ানডেতে অজিদের বিপক্ষে ভারতের রেকর্ড তেমন সুখকর নয়। সর্বশেষ ২০১৫ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমখি হয়ে ৯৫ রানে হেরে আসর থেকে ছিটকে পড়েছিল ভারত। এই বিশ্বকাপের আগে গত মার্চ মাসে ভারতের মাঠেই পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া। তাই বলা চলে বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বেশ ফুরফুরে মেজাজেই রয়েছে অজিরা। টানা দ্বিতীয় ও আসরের ষষ্ঠ শিরোপা জয়ই তাদের লক্ষ্য। কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে প্রতিটি ম্যাচেই ভালো করতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে। থাকতে হবে জয়ের ধারায়। এমনটাই বলেছেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। তিনি বলেন,‘বিশ্বকাপে জয়ের ধারায় থাকতে হলে রোববার ভারতকে হারাতেই হবে। যা আমাদের পক্ষে সম্ভব। ভারত শক্তিশালী দল হলেও তাদের বিপক্ষে জয় পাওয়ার সব রকম রসদই আমাদের রয়েছে। আমরা টানা দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জেতার লক্ষ্য নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই।’
দু’দলের অধিনায়কের চোখ যখন জয়ের দিকে তখনই তাদের সতর্ক করে দিলেন ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার সাবেক দুই বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক শচিন টেন্ডুলকার এবং রিকি পন্টিং। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে ভারতীয় দলকে খুব বেশি উৎফুল্ল না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শচিন। আগের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের আতœবিশ্বাস আজ ‘কঠিন’ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতীয়দের কাজে লাগাতে বলেছেন তিনি। ইন্ডিয়া টুডে পত্রিকাকে শচিন বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ থেকে পাওয়া আতœবিশ্বাস মনের মধ্যে ধরে রাখ এবং পরের ম্যাচে সেটা কাজে লাগাও। কারণ কম্বিনেশন ও এই মুহূর্ত তাদের আতœবিশ্বাসের কারণে অস্ট্রেলিয়া দলকে মোকাবেলা করা কঠিন হবে।’ তিনি আরো বলেন,‘ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খুবই ভাল একটি ম্যাচ হবে। পিচ কিছুটা ফাঁপা ও বাউন্সি এবং আমি মনে করি অস্ট্রেলিয়ানরা এ ধরনের পিচে অনেক বেশি অভ্যস্ত। ওভালের পিচে অতিরিক্ত বাউন্স পাওয়া যাবে যা কিছুটা অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে যাবে বলে আমার ধারণা।’
অস্ট্রেলিয়াকে একটি ভিন্ন ধর্মী দল আখ্যা দিয়ে শচিন বলেন, ‘স্মিথ ও ওয়ার্নার ফেরার পর তারা একটি ভিন্ন ধর্মী দল। আইপিএলে আমি ওয়ার্নারকে যতটা দেখেছি তাতে মনে হয়েছে সে অত্যন্ত ফিট এবং সর্বোপরি তাকে দৃঢ় অঙ্গীকারাবদ্ধ মাঠে নেমে রান পেতে মরিয়া মনে হয়েছে।’ তবে ম্যাচে ভারতীয় দলের ভাল করার ব্যপারে আতœবিশ্বাসী শচিন।
এদিকে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান দলের সহকারী কোচ রিকি পন্টিং ভারতীয় বাউন্সার সম্পর্কে তার দলকে সতর্ক বার্তা দিয়ে বলেন,‘ভারত শক্তিশালী দল। আমাদের বিপক্ষে তারা রোববার দলে একজন অতিরিক্ত ফাস্ট বোলার রাখতে পারে বলে আশা করছি আমি। আগের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মোহাম্মদ সামির পেসের চেয়ে ভুবনেশ্বর কুমারের সুয়িংকেই বেছে নেয় ভারত। তবে ওভালের পিচে তারা হয়তো অতিরিক্ত একজন পেসার একাদশে রেখে দুই স্পিনারের পরিবর্তে একজনকে রাখতে পারে।’ আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ বোলার জসপ্রিত বুমরাহ সম্পর্কে পন্টিং বলেন,‘আমরা জানি নতুন বলে বুমরাহ খুবই ভাল একজন বোলার এবং আমি নিশ্চিত সে কিছু শর্ট পিচ বল করবে।’ তিনি যোগ করেন,‘ ভুবনেশ্বরের পেস কিংবা বাউন্স নিয়ে সম্ভবত খুব বেশি চিন্তা করতে হবেনা আমাদের। তারপরও ভারতীয় বাউন্সার সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। হার্ডিক পান্ডিয়া কিছু সমস্যায় ফেলতে পারে। সুতরাং সব কিছু চিন্তা করেই তারা দল নিয়ে মাঠে নামবে। তারা হয়তোবা মাত্র একজন অফ স্পিনার এবং দ্বিতীয় স্পিনার হিসেবে অলরাউন্ডার কেদার যাদবকে রেখে আরেকজন ফাস্ট বোলার খেলাতে পারে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।