নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
কোন একজন খেলোয়াড়ের উপর ভর টুর্নামেন্ট জয় করা সম্ভব নয়। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ তো তিনি নিজেই। সেই কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকার ভারতীয়দের মনে করিয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘একজন ব্যক্তি একটি টুর্নামেন্ট জেতাতে পারে না।’
ওয়ানডে ক্রিকেটের সব রেকর্ড নিজের করে নিলেও বিশ্বকাপ শিরোপার জন্য ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে টেন্ডুলকারের। ২০১১ সালে পান বিশ্বকাপ শিরোপার স্বাদ। বর্তমান ভারতীয় দলে তার মত অবস্থার মধ্যে আছেন একজন ব্যাটসম্যান-বিরাট কোহলি। যিনি অনেক রেকর্ডই নিজের করে নিয়েছেন।
আসন্ন বিশ্বকাপে শিরোপা জয়ের অন্যতম ফেবারিট ভারত। অনেকেই এ জন্য কোহলির কাছ থেকে বড় কিছু আশা করবেন। তবে টিম ইন্ডিয়ার প্রতি টেন্ডুলকারের সতর্ক উচ্চারণ, গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে দলের তরুণ খেলোয়াড়দেরও জেগে উঠতে হবে।
টেন্ডুলকার বলেন, ‘আমি মনে করি প্রতিটি ম্যাচে ভাল করতে হলে অন্তঃত দু’জন খেলোয়াড়কে ভাল করতে হয়। তবে দলের সমর্থন ছাড়া আপনি খুব বেশি কিছু করতে পারবেন না। কেবলমাত্র একজন খেলোয়াড় আপনাকে একটা টুর্নামেন্টের শিরোপা এনে দিতে পারবে না। কোন উপায় নেই, যদি না অন্যরা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জেগে ওঠে। তেমনটা না হলে সেটা হবে দুঃখজনক।’
আসন্ন বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের ব্যাটিং পজিশন চার নম্বর এখনো ঠিক না হওয়াটা টেন্ডুলকারকে বেশি উদ্বীগ্ন করেছে। তার মতে, ম্যাচের প্রয়োজন ও অবস্থান বুঝে চার নম্বর পজিশনটা ফ্লেক্সিবল রাখা যেতে পারে।
তার মতে রিস্ট স্পিনাররা ভাল করবে। ভারতীয় দলে এমন দু’জন স্পিনার কুলদীপ যাদব ও যোগেন্দ্রো চাহাল আছে। নিজ মাঠের সিরিজে অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড়রা এ দু’জনকে ভালভাবে রপ্ত করেছে। তবে ইংল্যান্ডে এটা খুব বেশি কাজে দেবেনা মনে করছেন এ ব্যাটিং মাস্টার।
মিডল ওভারে এদেরকে ভাল করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বুঝতে দিন। তারা এমন ধরনের বোলার যাদেরকে ব্যাটসম্যানরা ভালভাবে বুঝতে পেরেছে। তবে ঠিকই উইকেট পাচ্ছে। সুতরাং অস্ট্রেলিয়া সিরিজের কারণে কুলদীপ ও চাহালের দুঃশ্চিন্তার কোন কারণ নেই।’ ‘মানলাম অস্ট্রেলিয়ানরা তাদেরকে ভালভাবে বুঝতে পেরেছে । তবে তার মানে এই নয় যে, তারা ভুল করবে না কিংবা ভুল করতে পারে না।’
শ্রীলঙ্কার মুত্তিয়া মুরলিধরনের উদাহরণ টেনে টেন্ডুলকার বলেন, ‘মুরলি মুলত অফ ব্রেক ও দুসরা দুই ভাবে বল করতেন। বিষয়টি এমন নয় যে, ব্যাটসম্যানরা তাকে বুঝতে পারেনি। কিন্তু তারপরও মুরলি উইকেট পেয়েছেন।’
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫ জুন ম্যাচ দিয়ে ২০১৯ বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে ভারত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।