Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গেইলের রেকর্ডের ম্যাচে উড়ে গেল ইংল্যান্ড

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০১৯, ১২:৫৪ পিএম

বল হাতে কাজটা করে রেখেছিলেন ওশানে থমাস। ক্যারিয়ারে প্রথমবার ৫ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। পরে ব্যাট হাতে জয় এনে দিলেন ক্রিস গেইল। খুনে মেজাজের ব্যাটিংয়ে দেশের হয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়েছেন তিনি। দুজনের নৈপুণ্যে পঞ্চম ওয়ানডেতে সফরকারীদের উড়িয়ে দিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

সেন্ট লুসিয়ায় টস জিতে প্রথমে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। ব্যাট করতে নেমে থমাসের পেস তোপে পড়ে ইংলিশরা। তার বলির পাঁঠা হয়ে একে একে আসেন আর যান। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট নিয়ে তাদের গুঁড়িয়ে দেন এ পেসার। তাকে যোগ্য সহযোদ্ধার সমর্থন জোগান অধিনায়ক হোল্ডার ও পেসার কার্লোস ব্র্যাথওয়েট। তারা নেন ২টি করে উইকেট।

ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ২৩ করে রান করেন অ্যালেক্স হেলস ও জস বাটলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮ রান করেন অধিনায়ক ইয়ন মরগান। এছাড়া যথাক্রমে ১৫ ও ১২ রান আসে বেন স্টোকস ও মইন আলির ব্যাট থেকে। ৫ ব্যাটসম্যানই দুই অংকের কোটা স্পর্শ করতে পারেননি। এর মধ্যে চারজনই মারেন ডাক।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ঝড় তোলেন গেইল। কীভাবে বল করবেন ভেবেই পাচ্ছিলেন না মার্ক উড ও ক্রিস ওকস। তাদের চোখের পানি ও নাকের জল এক করে মাত্র ১৯ বলে ফিফটি তুলে নেন তিনি। ওয়ানডেতে এটিই উইন্ডিজের কোনো ব্যাটসম্যানের দ্রুততম ফিফটি। এতদিন রেকর্ডটি ছিল ড্যারেন স্যামির দখলে। ২০১০ সালে অ্যান্টিগায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০ বলে ফিফটি করেন তিনি।

শেষ পর্যন্ত ২৭ বলে ৯ ছক্কার বিপরীতে ৫ চারে ৭৭ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে ফেরেন গেইল। গেল ম্যাচে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ড গড়েন তিনি। এদিন সেটাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গেলেন ক্যারিবীয় দানব। সিরিজে ৩৯ ছক্কা হাঁকিয়েছেন ইউনিভার্স বস। এক সিরিজে ২৩ ছক্কা মেরে এতদিন রেকর্ডটি ছিল রোহিত শর্মার।

গেইলের রেকর্ডের মাঝে উডের শিকার হয়ে ফিরে যান জন ক্যাম্পবেল। একই বোলারের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ক্যারিবীয় দানব। জয় তখন হাতছোঁয়া দূরত্বে। তবে গড়বড় করে ফেলেন শাই হোপ। পরেই ওকসের শিকার হন তিনি। ড্যারেন ব্রাভোকে নিয়ে বাকি কাজটা সারেন শিমরন হেটমায়ার। ২২৭ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙর করেন তারা। বলের হিসাবে এটিই ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় পরাজয়। এর আগে ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২২৬ বল বাকি থাকতে হেরেছিল ইংলিশরা।

দুর্দান্ত জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজ ২-২ সমতায় শেষ করেছে হোল্ডার বাহিনী। আগুন ঝরানো বোলিংয়ে ম্যাচের সুর বেঁধে দেয়ায় ম্যাচসেরা হয়েছেন থমাস। গোটা টুর্নামেন্টে রানের বন্যা বইয়ে দিয়ে রেকর্ডের পসরা সাজানো গেইল হয়েছেন সিরিজসেরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ক্রিকেট


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ