নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
কাশ্মিরের পুলওয়ামায় হামলার পর পাকিস্তানের সাথে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি উঠেছিল। তাতে সামনেই পড়েছিল বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের খেলাটি। ফলে ওই সন্দেহ নিরসনে বৈঠক করে ভারতীয় বোর্ড। বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত খেলবে কি না সেই প্রসঙ্গে আইসিসিকে চিঠিও দিয়েছে ভারত। তাতে পাকিস্তানকে বয়কট করার কথা বাদ দিয়ে খেলোয়ারদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখিয়েছে।
আইসিসিকে পাঠানো ওই চিঠিতে ভারতীয় বোর্ড জানায়, এ ব্যাপারে বোর্ড নিজে থেকে কোনো সিদ্ধান্ত জানাচ্ছে না। এক্ষেত্রে যা বলার সরকারই বলবে। সরকারের পক্ষ থেকে যা সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, তা মেনে চলবে ক্রিকেট বোর্ডও।
এর আগে গত শুক্রবার রাজধানীতে বৈঠক করেন বোর্ডের শীর্ষ কর্মকর্তারা। এতে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের (সিওএ) প্রধান বিনোদ রাই এবং অন্যতম সদস্য প্রাক্তন মহিলা ক্রিকেটার ডায়ানা এডুলজি উপস্থিত ছিলেন। মাত্র আগের দিন বৃহস্পতিবারই দেশের সর্বোচ্চ আদালত সিওএ-র তৃতীয় সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল রবি থোড়গেকে।
বোর্ডের সিইও রাহুল জোহরি প্রেরিত ওই চিঠিতে ভারতীয় বোর্ড দাবি করেছে, পুলওয়ামার চালানো হামলার মতো ঘৃণ্য আক্রমণের নিন্দা করেছে আইসিসির সব সদস্য দেশ। সন্ত্রাসবাদকে যে দেশ প্রশ্রয় দিচ্ছে, তাতে আইসিসির উচিত তাদের সঙ্গে সব রকম সম্পর্ক ছিন্ন করা।
পাকিস্তানের নাম না নিয়েও ভারতীয় বোর্ড ইঙ্গিত করেছে যে, আইসিসি যেন তাদের বহিষ্কার করে। চিঠিতে আরো বলা হয়, ভারতীয় বোর্ড আসন্ন বিশ্বকাপে ক্রিকেটার এবং সমর্থকদের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বিগ্ন। আশা করা যায়, আইসিসি এবং ইসিবি ক্রিকেটার, ম্যাচ কর্মকর্তা ও সমর্থকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেবে।’
ভারতীয় বোর্ডের জবাবে অবশ্য আইসিসি তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। প্রশ্ন হচ্ছে, ভারতীয় বোর্ডের এমন চিঠি নিয়ে আইসিসি কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে কি না। নিয়ম অনুযায়ী, আইসিসি তাদের পরবর্তী বৈঠকে এই চিঠির প্রসঙ্গ উত্থাপন করতে পারে।
তবে আইসিসিতে আগে ভারতের যেরকম প্রভাব ছিল এখন সেটি নেই। যদিও আইসিসির প্রধান এখনো ভারতীয়। কিন্তু ভারত একক কর্তৃত্বের সেই ধার হারিয়েছে বেশ কিছুদিন ধরে। সাম্প্রতিক সময়ে ভারত সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে দু’বার ভোটাভুটি হয়েছে। দু’বারই হেরেছে ভারতীয় বোর্ড। তাই পাকিস্তান বয়কটের আহ্বানে আইসিসি কতটা সাড়া দেবে তা নিয়ে সংশয় রয়েই যাচ্ছে।
এর মধ্যে আবার শুটিং বিশ্বকাপে পাকিস্তানের দুই প্রতিযোগীকে ভিসা না দেয়ার ঘটনায় কঠোর নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে ভারত। সেই সাথে অলিম্পিক কমিটি অন্য সব ক্রীড়া সংস্থাকেও এ ধরনের কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। ফলে আইসিসি ভারতের পক্ষে কথা বলবে এমন সম্ভাবনা খুবই কম।
বিশ্বকাপের এবারের আসরের সূচি অনুযায়ী ম্যানচেস্টারে ১৬ জুন ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সেই প্রসঙ্গ তুলে সিওএ চেয়ারম্যান বিনোদ রাই সভার পর বলেন, ১৬ জুনের এখনো অনেক দেরি রয়েছে। তাই ওই ম্যাচ নিয়ে পরেও সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে। সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব আমরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।