নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের আর মাত্র ১০০ দিন বাকি। সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই আসরে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে ততই উত্তেজনা বাড়ছে। সর্বশেষ পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার ঘটনা তাতে নতুন মাত্র যোগ করেছে। ভারতের বিভিন্ন মহল থেকে দাবি তোলা হচ্ছে, বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ বয়কট করা হোক।
আগের দিন ক্রিকেট ক্লাব অফ ইন্ডিয়ার (সিসিআই) সচিব বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ বাতিলের দাবি তুলেছিলেন। সেই দাবির সঙ্গে গলা মিলিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক স্পিনার হরভজন সিং ও আইপিএল চেয়ারম্যান রাজিব শুল্কা।
রাউন্ড রবিন লিগে ১৬ জুন ম্যাঞ্চেস্টারে মুখোমুখি হওয়ার কথা ভারত-পাকিস্তানের। কিন্তু, সেই ম্যাচ পাকিস্তানকে ওয়াকওভার দেওয়ার পক্ষে জনমত ক্রমশ বাড়ছে। সোমবার রাতে এক টিভি চ্যানেলে এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করেন হরভজন সিং, ‘বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের একদমই খেলা উচিত নয়। ভারতীয় দলের যা শক্তি, তাতে পাকিস্তানের সঙ্গে একটা ম্যাচ না-খেলেও আমরা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারি।’ হরভজনের বক্তব্যের অর্থ হল, পাকিস্তানকে ওই ম্যাচে ওয়াকওভার দিয়ে দিক ভারত। তাতে তিন পয়েন্ট গেলেও ক্ষতি নেই। হরভজন সিং আরো বলেন, ‘শুধু ক্রিকেট কেন, কোনও খেলাই খেলা উচিত নয় পাকিস্তানের সঙ্গে।’
সাবেক ক্রিকেটারদের পাশাপাশি বোর্ড কর্তারাও এমন মনোভাব পোষণ করছেন। প্রাক্তন বোর্ড সচিব সঞ্জয় প্যাটেল বলেছেন, ‘কাপুরুষের মতো জঙ্গি হানায় আমরা যখন এত ভাইকে হারিয়েছি, তখন কিভাবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত খেলবে বলে আশা করা যায়? আসন্ন বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের খেলা উচিত নয় বলে আমি মনে করি।’ ক্রিকেট যে দেশের চেয়ে বড় নয়, সেটাই মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি, ‘বিশ্বকাপে খেললে এই বার্তাই যাবে যে দেশের ভাবমূর্তির চেয়েও ক্রিকেট খেলাটা বড়। আমার কাছে সবার আগে দেশ। আর এই আবেগ যে শুধু আমারই, তা কিন্তু নয়। যে কোনও ভারতীয়ই এই মতামত পোষণ করেন। সন্ত্রাসবাদ থামলেই একমাত্র ক্রিকেট খেলা যেতে পারে। আশা করব প্রশাসকদের কমিটি ও বোর্ড এটা মাথায় রাখবে। সব কিছুরই একটা সীমা আছে। আর এ বার সব সীমা পেরিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) চেয়ারম্যান রাজীব শুক্লাও সন্ত্রাসবাদ বন্ধ না হলে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলার পক্ষপাতী নন, ‘সবসময়ই ক্রিকেট আর রাজনীতিকে আলাদা করে দেখার কথা বলে এসেছি। কিন্তু, এখন ব্যাপারটা ক্রিকেটীয় সম্পর্কও ক্ষতিগ্রস্ত করছে। যতক্ষণ না পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহ দেওয়া বন্ধ করছে, ততক্ষণ ক্রিকেটীয় সম্পর্ক হওয়া মুশকিল।’ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা নিয়ে তার মন্তব্য, ‘বিশ্বকাপ এখনও অনেক দেরি। তাই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলা উচিত হবে কিনা, তা নিয়ে এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে আমাদের নীতি একেবারেই পরিষ্কার। আমরা সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করব।’
তবে পাকিস্তান বরাবরের মত খেলার বিষয়ে ইতিচাচকই রয়েছে। তারা আবার পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছে, তাদের দেশের ক্রিকেট তারকাদের প্রতি ভারতে যে মনোভাব দেখা যাচ্ছে, তাতে তারা মোটেই খুশি নয়। পাক বোর্ডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ওয়াসিম খানের বক্তব্য তেমনই, ‘আমরা সব সময় বিশ্বাস করে এসেছি যে রাজনীতি এবং খেলাকে আলাদা রাখতে হবে। ইতিহাস বলছে খেলাধুলো, বিশেষ করে ক্রিকেট, দুই দেশ এবং নাগরিকদের মধ্যে একটা সেতুবন্ধনের কাজ করেছে। কিন্তু এখন ভারতের একটি ঐতিহ্যবাহী ক্রিকেট ক্লাব এবং সে রকমই ঐতিহ্যবাহী একটা ক্রিকেট স্টেডিয়াম থেকে যেভাবে ইমরান খান এবং আরও সব কিংবদন্তি পাক ক্রিকেটারের ছবি সরানো হয়েছে বা ঢেকে দেওয়া হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।