নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
নিউজিল্যান্ডে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে হার দিয়ে শুরু করলো বাংলাদেশ। রবিবার লিঙ্কন ওভালে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে সফরকারীদের ২ উইকেটে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড একাদশ।
নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা না থাকায় মেহেদী মিরাজের নেতৃত্বে নিউজিল্যানন্ড একাদশের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। তবে তাসমান সাগরের ওপারে হার দিয়ে প্রস্তুতি শেষ করতে হলো সফরকারীদের। বিপিএলের মতো কিউই সফরেও ব্যর্থ সৌম্য সরকার-মুমিনুল হক। রানের দেখা পাননি লিটন-মিথুনরাও।
তবে বিপিএলের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন মুশফিকুর রহিম। প্রস্তুতি ম্যাচে ৬২ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। রান পেয়েছেন মাহমুদইল্লাহ এবং সাব্বির রহমানও। তবে তিন জনের সংগ্রহ করা স্বল্প পুঁজিতে রক্ষা হয়নি অতিথিদের। বাংলাদেশের দেওয়া ২৪৮ রানের টার্গেট ২ উইকেট হাতে রেখেই ৪৮.১ ওভারে টপকে যায় স্বাগতিকরা।
এদিন টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় নিউজিল্যান্ড একাদশ। আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি সফরকারীদের। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে দলীয় ১১ রানে ফেরেন ওপেনার মুমিনুল হক। পরের ওভারে ৩ রানে ফেরেন আরেক ওপেনার লিটন কুমার দাস। এরপর ১ রান যোগ করে সাজঘরের পথ ধরেন সৌম্য সরকার।
৩১ রানে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পঞ্চম উইকেট দুজন মিলে গড়ে তুলেন ১০৮ রানের জুটি। ৮ চারের সাহায্যে ৪৬ বলে প্রস্তুতি ম্যাচে হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান মুশফিক। তার সঙ্গে হাফ-সেঞ্চুরি করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। ৬৬ বল মোকাবেলায় ৭ চারে ৫০ স্পর্শ করেন তিনি।
দলীয় ১৩৯ রানে সাজঘরে ফেরেন মুশফিক। যাওয়ার আগে আট বাউন্ডারিতে ৬১ বলে ৬২ রান করেন তিনি।মুশফিক ফিরলে সাব্বিরকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন রিয়াদ। কিন্তু ৩৫ রানের জুটি গড়ে বড় শট খেলতে গিয়ে তিনিও ফেরেন সাজঘরে। ফেরার আগে ৮৮ বলে ১০ বাউন্ডারিতে ৭২ রান করেন তিনি। শেষের দিকে সাব্বির রহমানের ৪০ রানের উপর নির্ভর করে ৪৬.১ ওভারে ২৪৭ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
স্বাগতিক বোলারদের মধ্যে ম্যাকপিক ৩৮ রানের বিনিময়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট লাভ করেন।
২৪৮ রানে লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন দুই ওপেনার রাভাল এবং ফ্লেচার। দুজন মিলে গড়ে তুলেন ১১৪ রানের জুটি। ২২তম ওভারে অধিনায়ক রাভালকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন নাঈম হাসান। ফেরার আগে ৬৩ বলে ৫৩ রান করেন তিনি। তিনে নামা শিন সোলিয়াকে ফেরান মাহমুদউল্লাহ। এরপর বল হাতে দাপট দেখান মোস্তাফিজ-মিরাজরা। কিন্তু স্বল্প পুঁজিতে দলকে জয়ে এনে দিতে পারেননি বোলাররা। স্বাগতিকদের জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে যান ওপেনিংয়ে নামা ফ্লেচার। ৯২ রান করে তিনি আউট হলে বাকি কাজ সারেন শেষের দিকের ব্যাটসম্যানরা।
বাংলাদেশের হয়ে সমান দুটি করে উইকেট পান মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী মিরাজ এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি নেপিয়ারে শুরু হবে কিউইদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। পরের দুই ম্যাচ ১৬ ও ২০ ফেব্রুয়ারি ক্রাইস্টচার্চ ও ডানেডিনে। হ্যামিল্টনে প্রথম টেস্ট শুরু হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি। ৮ মার্চ ওয়েলিংটনে হবে দ্বিতীয় টেস্ট। আর ক্রাইস্টচার্চে শেষ টেস্ট হবে ১৬ মার্চ থেকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড-
বাংলাদেশ একাদশ: ৪৬.১ ওভারে ২৪৭ অল-আউট।
(লিটন ৩, মুমিনুল ৬, সৌম্য ১,মুশফিক ৬২, মাহমুদউল্লাহ ৭২, সাব্বির ৪০, মিরাজ ৭, নাঈম ১৭, শফিউল ৪, মুস্তাফিজ ১২; ম্যাকপিক ৪/৩৮)
নিউজিল্যান্ড একাদশ: ৪৮.১ ওভারে ২৫১/৮ ( রাভাল ৫২, ফ্লেচার ৯২, সোলিয়া ১১, এলেন ৩০, ক্লার্ক ১৯, ফিলিপস ৪, ম্যাক্স ৭, ব্যান ১, হ্যাজেলডিন ২;মোস্তাফিজ ২/৩৩, মিরাজ ২/৪৬)
ফলাফল: ২ উইকেটে জয়ী নিউজিল্যান্ড একাদশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।