নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশে তিনি ছিলেন কোচের দায়িত্বে। তবে তিনি অনেক দায়িত্বই নিজের দিকে নিয়ে নিয়েছিলেন। দল নির্বাচন থেকে শুরু করে বোর্ডের অনেক কিছুতেই হস্তক্ষেপ ছিল বাংলাদেশের সাবেক কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের। বাংলাদেশের দায়িত্ব ছেড়ে দ্বিতীয়বারের মত নিজ দেশ শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে যোগ দেন। বোর্ডেও একইভাবে নিজের ক্ষমতার প্রদর্শন শুরু করেন তিনি।
হাথুরুর দাবী মেনেই ক্রীড়া আইনে পরিবর্তন এনে নির্বাচক কমিটিতে কোচের অন্তর্ভূক্তির নিয়ম করে লঙ্কান বোর্ড। জায়গা দেওয়া হয় শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের (এসএলসি) একাধিক কমিটিতেও। কিন্তু এত কিছুর পরও ধারাবাহিকভাবে পারফরম্যান্স খারাপ করে চলেছে লঙ্কান দল। এ কারণে দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী হারিন ফার্নান্দোর নির্দেশে নির্বাচক প্যানেলের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে হাথুরুসিংহেকে।
এখন থেকে দল নির্বাচনে আর কোনো হাত থাকবে না কোচের। এই গুরুদায়িত্ব পালন করবে নির্বাচক কমিটির প্রধান অশন্থা ডি মেল, অধিনায়ক, ম্যানেজার ও নির্বাচক প্যানেল। লঙ্কান গণমাধ্যমের মতে, নির্বাচক কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়ায় বেশ চটেছেন হাতুরুসিংহে। এর জেরে কোচের পদ থেকেও নাকি তিনি পদত্যাগ করতে পারেন!
২০১৭ সালটি শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট ভুলেই যেতে চাইবে। এ বছর খেলা ২৯টি ওয়ানডের মধ্যে ২৩টিতেই হেরেছে দলটি। সেই অবস্থা থেকে টেনে তুলতেই হাথুরুসিংহের হাতে তুলে দেওয়া হয় দলটির দায়িত্ব। কিন্তু তার হাতেও ভাগ্যে পরিবর্তন হয়নি। মূলত, চলমান অস্ট্রেলিয়া সফরে প্রথম টেস্টে লজ্জাজনক হারের পরই টনক নড়েছে এসএলসির। নতুন করে সাজানো হচ্ছে বোর্ডের অনেক কমিটি। বোর্ডের একটি সূত্র সংবাদ মাধ্যমকে জানায়, ‘নতুন ব্যবস্থা নেওয়ার পর তার একটি তালিকা এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করা টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে পাঠানো হয়েছে। দ্বিতীয় টেস্টের চূড়ান্ত একাদশ ঠিক করবে ওই নতুন সেটআপ এবং ক্যানবেরায় অনুষ্ঠিতব্য ওই টেস্টের একাদশ নির্বাচনে কোচের কোনো হাত থাকবে না।’
বিষয়টি ভালোভাবে নেননি হাথুরু। তাই যেকোনো সময় তিনি পদত্যাগ পত্র জমা দিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।