মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ডেরা প্রধান গুরমিত রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করেছে সিবিআই আদালত। রাম রহিমের সঙ্গে তার আরও তিন অনুগামীকে দোষী ঘোষণা করা হয়েছে। সকলেই হত্যা ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে অপরাধী বলে জানিয়েছে আদালত। ২০০২ সালে শিরসার সাংবাদিক চন্দের ছত্রপতিকে ষড়যন্ত্র করে খুন করেছে গুরমিত, কৃষণ লাল, নির্মল সিং এবং কুলদীপ সিং- এমনটাই জানিয়েছে পাঁচকুলার সিবিআই আদালত।
সিবিআই বিচারপতি জগদীপ সিং এই রায় ঘোষণা করেছেন। গুরমিত রাম রহিম সিং আপাতত ধর্ষণ মামলায় ২০ বছরের জেল খাটছে। অন্য তিন অভিযুক্তকে রায়ের পরেই হাজতে পোরা হয়েছে। তাদের শাস্তির পরিমাণ ঘোষিত হবে আগামী ১৭ জানুয়ারি।
ভিডিও কনফারেন্সিং পদ্ধতির মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দিয়েছিল গুরমিত। আপাতত সে রোহতকের সুনারিয়া জেলে বন্দি আছে। অন্য তিন অপরাধীকে আম্বালা জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
২০০২ সালের মে মাসে রাম চন্দের ছত্রপতি তার খবরের কাগজে ‘পুরা সাচ্চা’ বলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। সে প্রতিবেদনের বিষয় ছিল শিরসার জেরা সাচ্চা সৌদায় সাধ্বীদের ওপর চলা যৌন শোষণ নিয়ে এক অজ্ঞাতনামা সাধ্বীর অভিযোগ। এ ঘটনার পর ওই বছরেরই অক্টোবর মাসের ২৪ তারিখে কুলদীপ সিং এবং নির্মল সিং রাম চন্দেরের ওপর গুলি চালায়। ঘটনায় ব্যবহার করা হয়েছিল কৃষণ লালের .৩২ বোরের লাইসেন্সড রিভলভার।
ছত্রপতিকে প্রথমে শিরসার সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, পরে সেখান থেকে তাকে রোহতকে পিজিআইএমএস-এ পাঠানো হয়। কুলদীপকে সেদিনই ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়। নির্মল সিংকে গ্রেফতার করা হয় ২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর। ডেরা সাচ্চা সৌদার একটি ওয়াকিটকি এবং কৃষণ লালের .৩২ বোরের রিভলভার পাওয়া গিয়েছিল তার কাছ থেকে।
২০০২ সালের ৫ ডিসেম্বর হরিয়ানা পুলিশ এই মামলায় চার্জশিট দাখিল করে, কিন্তু সেই চার্জশিটে ডেরা প্রধানের নাম ছিল না। পুলিশি তদন্তে সন্তুষ্ট না হয়ে রাম চন্দের ছত্রপতির ছেলে অংশুল ছত্রপতি পাঞ্জাব হরিয়ানা আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালত ২০০৩ সালের ১০ নভেম্বর সিবিআই-কে এই মামলা হস্তান্তরিত করা হয়।
সিবিআইয়েরর চার্জশিটে সব অভিযুক্তদের নাম নথিবদ্ধ করা হয়। তদন্তকারী সংস্থা তাদের চার্জশিটে জানায়, বাবা গুরমিত সিং, কৃষণ লাল, কুলদীপ সিং এবং নির্মল- সকলের বিরুদ্ধেই খুনের ষড়যন্ত্র প্রমাণিত হয়েছে। গুলির আঘাতেই মারা যান ওই সাংবাদিক। চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধেই ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০২ (হত্যা) এবং ১২০ বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।