নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সেঞ্চুরির সম্ভবনা জাগিয়েও আউট হয়েছেন মেহেদী হাসান। শতক পূর্ণ করে আহত অবসরে আল-আমিন। ১৫৫ রান নিয়ে এখনো ব্যাট করছেন এনামুল হক বিজয়। উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে বিশাল লিডের পথে দক্ষিণাঞ্চলও। ইতোমধ্যে ৫ উইকেট হাতে নিয়ে ১১৪ রানে এগিয়ে আব্দুর রাজ্জাকের দল।
বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) শেষ রাউন্ডের অপর ম্যাচে তাইজুল ইসলামের তোপের সামনে ভালো অবস্থানে নেই পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দল মধ্যাঞ্চল। এখনো বাকি দুই দিনের খেলা। নাজমুল হোসেন শান্তর দলের বিপক্ষে এরই মধ্যে ১০ উইকেট হাতে নিয়ে ২০৩ রানে এগিয়ে পূর্বাঞ্চল। বাকি দুই দিনে অতি নাটকীয় কিছু হলে তাই সেরার মর্যাদা ধরে রাখতে পারে দক্ষিণাঞ্চল।
গতকাল চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১ উইকেটে ২১ রান নিয়ে দিন শুরু করা দক্ষিণাঞ্চল ৫৭ রানে হারিয়ে বসে তৃতীয় উইকেট। এই অবস্থা থেকে দলকে উদ্ধারে সবচেয়ে বড় অবদান ওপেনার এনামুল হক বিজয়ের। এসময় তিনি পাশে পেয়েছেন মিডিলঅর্ডার সতীর্থদের। চতুর্থ উইকেটে আল-আমিনকে নিয়ে বড় ধ্বস সামাল দেন। ১০৪ বলে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি সম্পন্ন করেন আল-আমিন। ১১৯ বলে ১১ চার ও ৩ ছক্কায় ১১০ রান করে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট করা ২৫ বছর বয়সী এই ডানহাতি। মেহেদীর সঙ্গে এনামুলের জুটিও জমে যায়। শুরু থেকেই ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট করা অল-রাউন্ডার মেহেদীকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন এবাদত। ৭৬ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৮৪ রান করেন মেহেদী। এরপর এনামুলের সঙ্গে ৫৫ রানের কার্যকরী জুটি গড়ে দিনের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন নাহিদুল। দিনের খেলাও শেষ হয় সেখানেই। উত্তরাঞ্চলকে ২৯৩ রানে গুটিয়ে দেওয়া দক্ষিণাঞ্চলের সংগ্রহে তখন ৯৫.২ ওভারে ৫ উইকেটে ৪০৭। ২৮৩ বলে অপরাজিত ১৫৫ রানের দায়ীত্বশীল ইনিংসে ১৩টি চার মারেন এনামুল।
ওদিকে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন ২ উইকেটে আরো ৪৫ রান যোগ করে ৪২৫ রানে অল আউট হয় পূর্বাঞ্চল। ৭৪ রানে অপরাজিত থাকা মাহমুদুল হাসান ৬ রানের জন্য শতকের দেখা পাননি। জবাবে প্রথম সেশনে ২ উইকেট হারানো মধ্যাঞ্চল সূর্যাস্তের সঙ্গে চালাতে থাকে টিকে থাকার লড়াই। তাইজুল ইসলামের ঘুর্ণী সামলাতে না পেরে যখন তারা ২২৪ রানে গুটিয়ে যায় দিনের খেলাও তখন প্রায় শেষ। মাত্র এক ওভার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পায় পূর্বাঞ্চল। অঘটন ছাড়াই তা থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে মুমিনুল হকের দলের সংগ্রহ ২ রান। ৯২ রানে একাই ৬ উইকেট নেন তাইজুল। মধ্যাঞ্চলের ইনিংসে দুটি মাত্র ফিফটি, ওপেনার পিনাক ঘোষ ও মিডিলঅর্ডার ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেক হোসেনের।
স ং ক্ষি প্ত স্কো র
পূর্বাঞ্চল-মধ্যাঞ্চল, সিলেট
পূর্বাঞ্চল ১ম ইনিংস: (আগের দিন শেষে ৩৮০/৮) ৮৮.৫ ওভারে ৪২৫ (মাহমুদুল ৯৪, আবু জায়েদ ১৬*, খালেদ ০; তাসকিন ৪/৯৬, শাহাদাত ০/১৭, আবু হায়দার ২/৮৫, মোসাদ্দেক ২/৯৭, মোশাররফ ২/৯১, শান্ত ০/২২, সাইফ ০/১১) ও ১ ওভারে ২/০ (রনি ১*, ইমরুল ১*; তাসকিন ০/২)। মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৭২.১ ওভারে ২২৪ (সাইফ ২২, পিনাক ৫১, শান্ত ৩, মজিদ ২৪, মার্শাল ১৫, মোসাদ্দেক ৫৭, জাকের ২৪, মোশাররফ ৬, আবু হায়দার ৬, তাসকিন ৯, শাহাদাত ০*; আবু জায়েদ ১/৪৭, তাইজুল ৬/৯২, নাঈম ২/৪৪, খালেদ ১/৩৪)।
উত্তরাঞ্চল-দক্ষিণাঞ্চল, চট্টগ্রাম
উত্তরাঞ্চল ১ম ইনিংস: ২৯৩। দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস: (আগের দিন শেষে ২১/১) ৯৫.২ ওভারে ৪০৭/৫ (এনামুল ১৫৫*, মাহমুদ ৯, রকিবুল ৯, আল আমিন জুনিয়র ১১০, মেহেদি ৮৪, নাহিদুল ২৬; ইবাদত ২/৫৯, সানজামুল ২/১১৮, নাঈম ০/৬১, জিয়া ০/২০, সাকলাইন ১/১২০, আরিফুল ০/১৭)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।