Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

তিন ঝড়ো জুটিতে বাংলাদেশের ২১১

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৭:১১ পিএম

শুরুটা হলো দুর্দান্ত। ঝড়ো শুরু করে দেয়া তামিম-লিটনের পথেই হেঁটেছে বাকিরা। সৌম্য, সাকিব-মাহমুদউল্লাহর ঝড়ে ১০.১ ওভারে ১০০ রান থেকে ২০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশের সংগ্রহ ২১১!

আর মাত্র ৫টি রান তুলতে পারলেই টি-২০তে নিজেদের সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ডটি গড়া হয়ে যেত সাকিব আল হাসানের দলের। গত মার্চেই নিদাহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার দেয়া ২১৪ রানের লক্ষ্য ২ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে যাওয়া ম্যাচে করা ২১৫ এখনও শীর্ষে।

এদিন মিরপুরে শুরুটা হলো দুর্দান্ত। ঝড়ো শুরু করে দেয়া তামিম-লিটনের পথেই হেঁটেছে সৌম্যও। বাংলাদেশও পায় দলীয় ঝড়ো শতক। তবে এই তিনজনের বিদায়ে হঠাৎ ধ্বস বাংলাদেশ শিবিরে। ১০.১ ওভারে যেখানে এক উইকেট হারানো স্বাগতিকদের সংগ্রহ ছিল ১০০। ১৩ ওভার শেষে সেটিই কিনা ৪ উইকেটে ১২০!

শুরু থেকেই হাত খুলে ব্যাটিং করছিলেন দুই ওপেনার। প্রথম চার ওভারেই ৪২ রান সংগ্রহ করে টাইগারদের সূচনাটা হয়েছিল দারুণ। তবে আক্রমণে স্পিন আসতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ফ্যাবিয়েন অ্যালেনের প্রথম বলেই আউট হয়েছেন ওপেনার তামিম ইকবাল। শর্ট মিডউইকেটে শেল্ডন কট্রেলের হাতে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরমুখী হন এ ওপেনার। ১৬ বল ১৫ রান করেছেন তিনি। দলীয় ৪২ রানে প্রথম উইকেটের পতন হয় টাইগারদের।

দারুণ সূচনা এনে দিয়ে তামিম আউট হলেও থামেনি টাইগারদের আক্রমণ। মাত্র ৫.৩ ওভারে (৩৪ বলে) আসে দলীয় হাফসেঞ্চুরি। পাওয়ার প্লের ছয় ওভার শেষে বাংলাদেশ তোলে ৬২ রান। যেখানে লিটন দাসের অবদান ১৯ বলে ৪১। ওশেন টমাসের বলে ছক্কা মেরে দলীয় ফিফটি স্পর্শ করেন এই ওপেনার। আর কিছু পরেই ২৬ বলে চার মেরে নিজের ফিফটিও তুলে নেন মারমুখি এই ব্যাটসম্যান।

সেই ঝড়ে সামিল হন সৌম্য সরকারও। ক্রিজে এসেই ক্যারিবীয় বোলারদের তুলোধুনো করতে থাকেন দুই প্রান্ত থেকেই। তাদের ঝড়ে ১০.১ ওভারে দলীয় ১০০ পূর্ণ করে বাংলাদেশ। তবে খুব বেশিদূর এগোয়নি এই জুটি। কট্রেলের বলে এক্সট্রা কভারে দুর্দান্ত এক ক্যাচে সৌম্যকে ফেরালে ভাঙে ৬৮ রানের ২য় উইকেটের এই জুটি। তার ২২ বলে ৩২ রানের ইনিংসটি ৩টি চার ও একটি ছক্কায় মোড়ানো। কিছু পরে লিটনও পরিণত হন একই বোলারের শিকারে। সরাসরি বোল্ড হবার আগে ৩৪ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় খেলেন ৬০ রানের ঝড়ো ইনিংস।

বাকিরা থিতু হতে পারলেও মুশফিকের ইনিংস শেষ হয়েছে চোখের নিমিষেই। মাত্র এক রানেই মিড উইকেটে থমাসের বলে অ্যালেনের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল।

ভগ্ন ইনিংস মেরামতের কাজটি দক্ষ হাতে সেরেছেন সাকিব আল হাসান এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৫ম উইকেটে অধিনায়ক আর সহ-অধিনায়কের ৯১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে টি-২০তে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ তোলে বাংলাদেশ। ২৬ বলে সাকিবের ৪২ রানের ইনিংসটি ৫টি চার ও একটি ছক্কায় মোড়ানো। রিয়াদ ছিলেন আরো বিদ্ধংসী, ২১ বলে ৭ চারে তুলেছেন ৪৩ রানের ঝড়।

তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে সিলেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ¯্রফে উড়ে যায় বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে সেই একই একাদশের উপর আস্থা রেখেছেন নির্বাচকরা। মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজে ফেরার লড়াইয়ে এদিনও টস হেরে ব্যাটিয়ে নেমেছে বাংলাদেশ। শঙ্কা উড়িয়ে খেলছেন নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।



 

Show all comments
  • selim ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:৫৫ পিএম says : 0
    good
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ক্রিকেট


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ