Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শুরুতেই মিরাজের আঘাত

তিন ফিফটিতে বাংলাদেশ ২৫৫

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৫:২৮ পিএম | আপডেট : ৬:১১ পিএম, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৮

শেষ দিকে প্রত্যাশিত ঝড় তুলতে পারলেন না ব্যাটসম্যানরা। আড়াইশ পেরিয়ে গেলেও এরপর খুব বেশিদূর এগোতে পারেনি বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান করলেন হাফসেঞ্চুরি। এই তিন ফিফটির সঙ্গে পঞ্চপাণ্ডবের অপর সদস্য মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে এলো আস্থার ৩০! ব্যাস, লড়াই করার রসদ পেয়ে গেছে মাশরাফির দল।

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৭ উইকেটে ২৫৫ রান তুলেছে স্বাগতিকরা। তিন ম্যাচের সিরিজে সমতা ফেরাতে হলে উইন্ডিজের লক্ষ্যটা ২৫৬ রানের।

জবাবে ব্যাট করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসের শুরুতেই আঘাত হেনেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম ওয়ানডের মতো এদিনও দুই প্রান্তে স্পিন দিয়ে বোলিং আক্রমণ শুরু করিয়েছেন মাশরাফি। সাকিব আর মিরাজ পেয়েছেন শুরুর দায়িত্ব। সাফল্যও এসেছে হাতে হাতে। দ্বিতীয় ওভারে তার বলে এলবডব্লিও হয়ে ফিরে গেছেন কায়রন পাওয়েলের জায়গায় নামা চন্দরমল হেমরাজ। ৫ রানেই তাই প্রথম উইকেট হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

৭ ওভার শেষে এক উইকেট হারানো সফরকারীদের সংগ্রহ ২০। ৬ রানে ব্যাট করছেন শাই হোপ, ১১ রান নিয়ে তাকে সঙ্গ দিয়ে চলেছেন ড্যারেন ব্রাভো।

মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের এই উইকেটে ২৫৬ রানের লক্ষ্যও খুব সহজ নয়। তবে একসময় সম্ভাবনা জেগেছিল বাংলাদেশের আরও বড় স্কোরের। যথেষ্ট ভালো বোলিং করেছে ক্যারিবিয়ান বোলাররা। বাংলাদেশ যতবার জুটি গড়েছে এবং ভয়ঙ্কর হতে শুরু করেছে, ততবারই ম্যাচে ফিরেছে তারা। অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েলের বোলিং পরিবর্তনও ছিল দারুণ।

ইনিংসে শুরুতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন লিটন দাস। এরপর দ্রুত বিদায় নেন ইমরুল কায়েস। সেখান থেকে মুশফিকের সঙ্গে তামিমের প্রতিরোধ। দু’জনে শতাধিক রানের জুটি গড়েই ইনিংস মেরামত করেন।

তবে তার আগে দারুণ এই জুটিতে একটি জায়গায় সবার উপরে উঠে গেলেন তারা। ওয়ানডেতে দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি তিন অঙ্ক ছোঁয়া জুটি গড়ার কীর্তি এখন এই দুই জনের।

এই ম্যাচের আগে ৭৪ ইনিংসে জুটি বেঁধে চারটি শতরানের জুটি গড়েছিলেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিক। ৪২ ইনিংসেই তাদের পেছনে ফেলে দিল মুশফিক-তামিম জুটি।

চতুর্থ ওভারে জুটি বাঁধেন তামিম-মুশফিক। ২৪তম ওভারে তামিমের বিদায় দিয়ে ভাঙে ১১১ রানের চমৎকার জুটি। ওয়ানডেতে এটি তাদের পঞ্চম শতরানের জুটি। এরপর দ্রুতই ফেরেন এ দুই ব্যাটসম্যান।

সাময়িক ধাক্কাটা মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে সামাল দেন সাকিব। তবে ইনিংসটা লম্বা হতে পারতো আরও। সাকিব যখন আউট হন তখন দলের রান ছিল ৪৭ ওভারে ৭ উইকেটে ২৩৯ রান। কিন্তু শেষ দিকে রান আসেনি প্রত্যাশিত দ্রুততায়।

শেষ তিন ওভারে আসে মাত্র ১৬ রান। শেষ ৫ ওভারে এসেছে মাত্র ২৬ রান। মাশরাফি ও মিরাজ শেষ ২ ওভার থেকে নিতে পেরেছেন কেবল ৫ রান। ২৫৫ রানেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় টাইগারদের।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস : ওয়েস্ট ইন্ডিজ (বোলিং)
বাংলাদেশ ইনিংস : ৫০ ওভারে ২৫৫/৭ (তামিম ৫০, লিটন ৮, ইমরুল ০, মুশফিক ৬২, সাকিব ৬৫, মাহমুদউল্লাহ ৩০, সৌম্য ৬, মাশরাফি ৬*, মিরাজ ১০*; রোচ ১/৩৯, টমাস ৩/৫৪, চেইস ০/২২, পল ১/৬৮, বিশু ১/২৭, পাওয়েল ১/৪১)।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ক্রিকেট


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ