নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বল হাতে। ঘরোয়া ক্রিকেটের বহু যুদ্ধের অভিজ্ঞ সেনানী এই পেসার। প্রতি মৌসুমেই দারুণ ধারাবাহিক। তবুও ভাটার টান নেই ফরহাদ রেজার পারফরম্যান্সে। ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে এসেও যেমন ছাড়িয়ে গেলেন নিজেকে। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৭ উইকেট নিয়ে ধসিয়ে দিলেন প্রতিপক্ষের ব্যাটিং। গতকাল তার গতির সামনে দাঁড়াতেই পারেনি মধ্যাঞ্চল, প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে গেছে মাত্র ১১৮ রানেই। প্রথম দিনের খেলা শেষে পূর্বাঞ্চলের সংগ্রহ এক উইকেটে ৩৭। হাতে ৯ উইকেট নিয়ে ৮১ রান পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিন ব্যাটিংয়ে নামবে উত্তরাঞ্চল।
এই ম্যাচের আগে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১২০ ম্যাচ খেলে তার সেরা বোলিং ছিল ৫৪ রানে ৬ উইকেট। এবার ১৬ ওভারে ৬ মেডেন নিয়ে ৩২ রানের বিনিময়ে তুলেছেন ৭ ব্যাটসম্যানকে। সদ্য শেষ হওয়া জাতীয় লিগে ২২ উইকেট নিয়ে ফরহাদ ছিলেন পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। সেই ঝাঁঝ দেখা গেল এবারের বিসিএলেও।
তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে সেন্ট্রাল জোনের রাকিন আহমেদ ১৪, পিনাক ঘোষ ২১, আবদুল মজিদ ৭, মার্শাল আইয়ুব ০, শুভাগত হোম ৯, তাইবুর রহমান ১৪, জাকের আলি অপরাজিত ২০, শরিফুল্লাহ ২৩ রান করেন। ক্যারিয়ারের অষ্টমবারের মতো প্রথমশ্রেণিতে ৫ উইকেট তুলে নেওয়া ফরহাদ রেজা এই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে নেন ৭টি উইকেট। আবু জায়েদ রাহি দুটি, ইরফান হোসেন একটি করে উইকেট পান।
ব্যাটিংয়ে নেমে সেন্ট্রাল জোনের ওপেনার রনি তালুকদার ১৮ রান করে বিদায় নেন। ৯ রানে অপরাজিত আছেন আরেক ওপেনার শামসুর রহমান এবং ৯ রানে অপরাজিত আছেন তিন নম্বরে নামা মাহমুদুল হাসান। একমাত্র উইকেটটি পেয়েছেন শাহাদাত হোসেন।
এদিকে, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় সাউথ জোন এবং নর্থ জোন। নর্থ জোনের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে সাউথ জোন দিন শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ২৮০ রান। ব্যাটিংয়ে নেমে সাউথ জোনের ওপেনার শাহরিয়ার নাফিস ৮, এনামুল হক বিজয় ১৯ রান করে বিদায় নেন। তিনে নামা ফজলে মাহমুদ ৪৫, তুষার ইমরান ৬২, রকিবুল হাসান ৭৯, আল আমিন ৫, মেহেদি হাসান অপরাজিত ২৩ রান করেন। ৪ রানে অপরাজিত থাকেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। নর্থ জোনের সানজামুল ইসলাম চারটি, এবাদত হোসেন দুটি, সুবাশিষ রায় একটি, সোহাগ গাজী একটি আর নাঈম ইসলাম একটি করে উইকেট তুলে নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
মধ্যাঞ্চল-পূর্বাঞ্চল, বগুড়া
মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংস : ৫৫ ওভারে ১১৮ (রাকিন ১৪, পিনাক ২১, মজিদ ৭, মার্শাল ০, শুভাগত ৯, তাইবুর ১৪, জাকের ২০*, শরিফউল্লাহ ২৩, শহিদুল ৭, শাহাদাত ০, শাকিল ০; আবু জায়েদ ২/৩৩, ইরফান ১/২৬, হাসান ০/২৪, ফরহাদ রেজা ৭/৩২)। পূর্বাঞ্চল ১ম ইনিংস : ১৪ ওভারে ৩৭/১ (রনি ১৮, শামসুর ৯*, মাহমুদুল ৯*; শাহাদাত ১/২৫, শহিদুল ০/১১, সাকিল ০/০)।
দক্ষিণাঞ্চল-উত্তরাঞ্চল, চট্টগ্রাম
দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস : ৯০ ওভারে ২৮০/৯ (শাহরিয়ার ৮, এনামুল ১৯, মাহমুদ ৪৫, তুষার ৬২, রকিবুল ৭৯, আল আমিন জুনিয়র ৫, মেহেদি ২৩*, নাহিদুল ৪, দেলোয়ার ০, রাজ্জাক ৩, রাব্বি ৪*; শুভাশিস ১/২৮, ইবাদত ২/৪১, সোহাগ ১/৭১, জিয়া ০/৬, সানজামুল ৪/৬২, রিশাদ ০/২৮, নাঈম ১/১৯)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।