নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দুই টেস্ট ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছে ৬৪ রানে। প্রতিপক্ষকে দুই ইনিংস মিলিয়ে সবচেয়ে কম বলে দুইবার অলআউট করে জেতা ম্যাচে নতুন রেকর্ড করলো বাংলাদেশ। আড়াই দিনে টেস্ট ম্যাচটি হয়েছে শেষ। এটাই টেস্টে বাংলাদেশের দ্রুততম জয়ের পাশাপাশি হোম গ্রাউন্ডে ক্যারিবীয়ানের বিরুদ্ধেও প্রথম জয়। এছাড়া কক্সবাজারের ছেলে মুমিনুল হক লঙ্গার ভার্সনে এবারের সিরিজে ১২০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে টেস্ট ক্যারিয়ারে অনেকগুলো রেকর্ডের মালিক হয়েছেন। এরমধ্যে চলতি বছর সাত টেস্ট খেলেই চারটি সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন মুমিনুল। এ বছর তার সমান চারটি সেঞ্চুরি আছে বিশ্বের মাত্র একজন ব্যাটসম্যানের। তিনি হলেন বিরাট কোহলি। তাই এই দিক দিয়ে কোহলিকেও ছাড়িয়ে গেছেন ব্যাংলাদেশের এই ‘ব্র্যাডম্যান’। এই টেস্টে টেস্ট ক্যাপ পেয়েছেন ১৮ পূর্ণ হওয়ার আগে চট্টগ্রামের সন্তান নাঈম হাসান। শুধু বয়স নিয়ে নয় নাঈম হাসান নজর কেড়েছেন পাঁচটি উইকেট পাওয়ার কীর্তিতেও। নাম লেখালেন ইতিহাসে। রেকর্ড বইয়ে লেখা থাকবে তার অভিষেকের দিনটি। যে দিনে বয়স ছিল ১৭ বছর ৩৫৫ দিন। এ অলরাউন্ডার বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংয়েও দলের হাল ধরেছিলেন। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বোলার হিসেবে নিয়েছেন ২০০ উইকেট। মাত্র ৫৪ টেস্টেই ব্যাট হাতে তিন হাজার রান ও বল হাতে ২০০ উইকেট তুলে নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন এই বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার। এর আগে ৫৫ ম্যাচে ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার ইয়ান বোথাম টেস্টে তিন হাজার রান নেয়ার পাশাপাশি ২০০ উইকেট নিয়ে এতদিন বিশ্ব রেকর্ডটি তার নিজের করে রেখেছিলেন। এসব মিলে লাকি ভেন্যু জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ক্যারিবীয়ানদের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে অনেক সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। গ্যালারিতে যেসব দর্শকরা টেস্ট দেখতে এসেছিল টাইগারদের এমন জয় এবং বোলারদের কীর্তি দর্শকরা আনন্দে উপভোগ করেছে। এ আনন্দ থেকে বাদ পড়েছে স্কুলের ছেলেরা। ফাঁকা গ্যালারি থাকা সত্তে¡ও তাদেরকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। বেশকিছু স্কুলের ছেলে আমরা তামিম হতে চাই, সাকিব হতে চাই, সৌরভ হতে চাই এমন শ্লোগানও দিয়েছে। অথচ অতীতে দেখা গেছে, চট্টগ্রামে কোন টেস্ট ম্যাচ হলে স্কুলের ছেলেদের বিনাটিকিটে খেলা দেখতে দেয়া হয়। এবার হয়েছে তার ব্যতিক্রম। এবারের টেস্টে সবচেয়ে দৃষ্টিকটু ছিল আন্তর্জাতিক ম্যাচে বেশকিছু ভাঙ্গা চেয়ারসহ গ্যালারি। যা সবারই চোখে লেগেছে। অথচ এটি একটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু। যেখানে চেয়ারগুলো মেরামত করার প্রয়োজনীয়তা ছিল। কিন্তু আয়োজকরা চেয়ারগুলো মেরামতের কোন প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।