মাহমুদউল্লাহ আর মেহেদী হাসান মিরাজের ৩৭ রানের জুটিটিই চট্টগ্রাম টেস্ট নিয়ে আশা জাগাচ্ছে। এই জুটির কল্যাণেই তো যাচ্ছেতাই ব্যাটিংয়ের পরেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২০৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া সম্ভব হলো। টেস্টের তৃতীয় দিন প্রথম সেশনেই চতুর্থ ইনিংস শুরু হয়ে যাচ্ছে—জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেট কতটা বোলার, নির্দিষ্ট করে বললে স্পিন-সহায়ক, সেটি বোঝা যায়।
ক্যারিবীয়দের সামনে লক্ষ্যমাত্রাটা আরও বড় দেওয়া যেত। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ নিজের ইনিংসটি আরও একটি বড় করতে পারলেন না। বড় করতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুশফিকুর রহিম। গ্যাব্রিয়েলের গতি-মুভমেন্টের কাছে হার মেনে তো মুশফিকুর রহিম (১৯) বোল্ডই হয়ে গেলেন। মুশফিক-ধাক্কা সামলে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ-মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু ১৮ রান করেই ফিরেছেন মিরাজ। একাকী সৈনিকের মতোই লড়ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। নাঈম হাসান অবশ্য দ্বিতীয় ইনিংসেও বড় বড় ব্যাটসম্যানদের লজ্জা দিয়েছেন ২৭ বল খেলে। কিন্তু দেবেন্দ্র বিশুর বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতে পারেননি বেশিক্ষণ। যেমনটা পারেননি মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী মিরাজদের কেউই।
রোস্টন চেজ বাংলাদেশের ইনিংসটা গুটিয়ে দেন তাইজুল ইসলামকে ওয়ারিক্যানের ক্যাচ বানিয়ে। মাহমুদউল্লাহ ৩১ রান করে বিশুর বলে যে আউটটি হয়েছেন, সেটি একটু সতর্ক হলেই এড়াতে পারতেন। তারপরেও দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ‘নায়ক’ বলতে পারে তাঁকেই।
স্পিন-সহায়ক উইকেট। স্পিনারদেরই রাজত্ব। ক্যারিবীয়দের পক্ষে বিশুই করেছেন মূল রাজত্বটা। ২৬ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এ ছাড়া রোস্টন চেজ ৩টি। ওয়ারিক্যান আর গ্যাব্রিয়েল নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়েছেন ৩ উইকেট।