নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ফলোঅনের পথে না হেঁটে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করলো বাংলাদেশ। উদ্দেশ্য যে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট না করা সেটা ছিল স্পষ্ট। মাহমুদউল্লাহ বাহিনীর পরিকল্পনা সাত সকালেই ধাক্কা খায় ২৫ রানে চার উইকেট হারিয়ে। তবে অভিষিক্ত মোহাম্মদ মিথুনের ফিফটি ও দলপতি মাহমুদউল্লাহ ওয়ানডে মেজাজে করা শতকে ঢাকা টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ৪৪৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অবশ্য জবাবটা ভালেই দিচ্ছে সফরকারীরা। বিনা উইকেটে তুলে ফেলেছে ৪৮ রান।
টপ অর্ডারের ব্যর্ধতার সামনে এ যাত্রায় দাঁড়িয়ে যান মিথুন ও মাহমুদউল্লাহ। পঞ্চম উইকেটে দুজনে গড়েন ১১৮ রানের জুটি। মিথুনের পর আরিফুলও দ্রুত ফিরলেও ষষ্ঠ উইকেটে মিরাজকে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ৭৩ রানের জুটিতে নেতৃত্ব দেন মাহমুদউল্লহ। সেঞ্চুরিটা হয়ে গেলে ইনিংস ঘোষণা আসত চা বিরতির সময়েই। টাইগার দলপতির নামের পাশে তখন ৯৯ রান। ফিরে এসে সেঞ্চুরি পূর্ণ করে জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান। ততক্ষণে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে ৬ উইকেটে ২২৪ রান।
দ্রুত রান তোলার দিকে মন দিতে গিয়ে সিকন্দার রাজাকে আকাশে তুলে ক্যাস দেন মিথুন। এর ঠিক আগের বলে হাঁকান ছক্কা। অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসে শূণ্য রানে আউট হলেও এবার খেলেছেন পরিস্থিতির বিচারে ১১০ বলে চার বাউন্ডারি ও এক ছয়ে ৬৭ রানের ইনিংস। সেই সাথে বিচ্ছিন্ন হয় পঞ্চম উইকেটে ১১৮ রানের জুটি। ১৮ বল পরে উইলিয়ামসের বল সুইপ করতে গিয়ে কিভাবে বোল্ড হলেন তা আরিফুল হক নিজেও বুঝতে পারেননি। এরপর রিভিউ নিয়ে এলবিডব্লিউয়ের হাত থেকে বেঁচে যাওয়া মিরাজকে নিয়ে ইনিংসটাকে দ্রুত টেনে লম্বা করেন মাহমুদউল্লাহ। আট বছর পর টেস্ট শতক পেলেন তিনি, দেশের মাটিতে যা প্রথম। শুনতে অবাক লাগলেও ৪১ টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি মাহমুদউল্লাহর দ্বিতীয় শতক। ৭০ বলে ফিফটি পূর্ণ করা অধিনায়ক শতক স্পর্শ করেন ১২২ বলে। তার মানে পরের ফিফটি এসেছে ৫২ বলে। সব মিলে অপরাজিত ১০১ রানের ইনিংসটি সাজানো চারটি চার ও দুই ছক্কায়। চা বিরতির পর তার শতকের জন্যেই ছিল ইণিংস ঘোষণার অপেক্ষা। ৩৪ বলে ২৭ রানে অপরাজিত ছিলেন প্রথম ইনিংসেও ৬৮ রানে অপরাজিত থাকা মিরাজ।
প্রথম ইনিংসের মড়ক আবারো হানা দেয় দ্বিতীয় ইনিংসের টপ অর্ডারে। এবার ১০ রানেই নেই তিন উইকেট! ২৫ রানে মুশফিকুর রহিম বিদায় নিলে বিপদ আরো বাড়ে। বাংলাদেশী পেসাররা যা করতে বার বার ব্যর্থ হচ্ছেন সেখানে আবারো জয়ী জিম্বাবুয়ানরা। অবশ্য ইমরুল-মুমিনুল-মুশফিকরা আউট হয়েছেন না বলে উইকেট বিলিয়ে এসেছেন বলাই শ্রেয়। জার্ভিসের ওয়াইড শর্ট বলে অহেতুক শট খেলতে গিয়ে ব্যকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাস দেন ইমরুল। পরের ওভারে তিরিপানোর বলে ওভাবে খোঁচা না মারলেও পারতেন প্রথম ইনিংসে দেড়শ পেরুনো মুমিনুল। খানিক বাদে অফ স্টাম্পের বাইরের বলে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন প্রথম ইনিংসের ডাবল সেঞ্চুরিয়ান মুশফিক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।