নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দেখতে দেখতে কেটে গেছে দেড় যুগ। ২০০০ সালের ১০ নভেম্বর ঢাকায় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। আজ মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেটে স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজেদের ১১০তম টেস্টে খেলতে নামবে তারা। সিলেট টেস্ট হেরে ব্যকফুটে থাকায় এই ম্যাচে না জিতলেই তলানীর দলটির কাছে সিরিজ খুইয়ে বসবে স্বাগতিকরা। ক্রিকেটের অভিজাত এই আঙিনায় পা রাখার ১৮ বছর পূর্তির দিনে বাংলাদেশ কোথায় দাঁড়িয়ে? দীর্ঘ পথচলা হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটের ছন্দটা বুঝে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। দেড় যুগে বাংলাদেশ জিতেছে ১০ ম্যাচে, হেরেছে ৮৩ ম্যাচে, ড্র করেছে ১৬ ম্যাচে। মাহমুদউল্লাহ মনে করেন, তাই এই সংস্করণে এখনও ফলের দিক থেকে প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে উঠতে পারেনি তাদের দল।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামার আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে পিছন দিকে তাকিয়ে টেস্টে বাংলাদেশের দেড় যুগের মূল্যায়ন করলেন মাহমুদউল্লাহ। দেখালেন উন্নতির পথ, ‘যদি ফলাফলের দিক থেকে দেখেন, তাহলে হয়তো প্রাপ্তবয়স্ক হয়নি। টেস্ট ক্রিকেট আপনাকে খেলতে থাকতে হবে, তারপর আপনি ফলাফল পাবেন। অন্য ফরম্যাটে আমরা যেভাবে ভালো খেলছি, ছন্দ ধরতে পেরেছি, টেস্টে হয়তো সেটা ধরতে পারছি না। টেস্টে কিছু ম্যাচে আমরা ভালো করেছি, কিছু ম্যাচে আবার বাজে খেলেছি। এটা থেকে বের হওয়া দরকার... আমাদের বের হতেই হবে।’
১৪৩ ও ১৬৯ রানে অলআউট হয়ে জিম্বাবুয়ের কাছে প্রথম টেস্ট ১৫১ রানে হারে বাংলাদেশ। টেস্টে প্রত্যাশিত অগ্রগতি না হওয়ায় কিংবা জিম্বাবুয়ের কাছে অমন হারের জন্য ঘরোয়া ক্রিকেটের কোনো দায় দেখেন না মাহমুদউল্লাহ, ‘সদ্য সমাপ্ত জাতীয় লিগে আমার মনে হয়, ব্যাটসম্যানরা সবাই কম বেশি রান করছে। বোলাররাও উইকেট পেয়েছে। আমার মতে, জাতীয় লিগে ভালো ক্রিকেটই হয়েছে। যে কোনো জায়গাতেই কিন্তু সেঞ্চুরি, ডাবল সেঞ্চুরি করা কঠিন।... জাতীয় লিগে ব্যাটসম্যান, বোলার সবাই ভালো করছে তাই টেস্টের ব্যর্থতার জন্য ঘরোয়া ক্রিকেটের অজুহাত দেওয়া যাবে না।’
বাংলাদেশ দলের জন্য মিরপুর টেস্ট কঠিন এক চ্যালেঞ্জ। জয় তো বটেই, নিজেদের সামর্থ্যরে বার্তা দিতে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দেওয়া জয় জরুরি। তবে এই টেস্ট আরও কঠিন পরীক্ষা মাহমুদউল্লাহর জন্য। ফেরার লড়াইয়ে দলকে নেতৃত্ব দেওয়াই শুধু নয়, টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে তার ভবিষ্যত পথরেখা নির্ধারণেও বড় ভূমিকা রাখতে পারে এই টেস্টের পারফরম্যান্স, ‘আমরা টেস্ট ক্রিকেটের ধাঁচ কখনও ধরতে পারি কখনও পারি না। যখন ধরতে পারি তখন তখন খুব ভালো ছন্দে থাকি। আবার যখন এদিক-সেদিক হয় তখন আমরা নিজেদের গুটিয়ে ফেলি। সামনের দিকে এগোতে এই বিষয়গুলোর সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। আর অগ্রগতির প্রশ্নে একটাই উত্তর, সেটি হল ধারাবাহিকতা। ধারাবাহিকভাবে আমাদের পারফর্ম করতে হবে।
টেস্ট ক্রিকেটের বাংলাদেশ ও মাহমুদউল্লাহকে এক সুতোয় গাঁথা যায় খুব সহজেই। বাংলাদেশের ১৮ বছরের মত মাহমুদউল্লাহও তেমনি ৯ বছরের ক্যারিয়ারে খুঁজে পাননি টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে নিজের জমিন। ব্যাট হাতে তার সা¤প্রতিক পারফরম্যান্স এতটাই মলিন যে, মিরপুরে উজ্জ্বল হতে না পারলে জায়গা ধরে রাখার পক্ষে থাকবে না খুব একটা যুক্তি। সবশেষ যে আট টেস্ট ইনিংসে ২০০ ছুঁতে পারেনি বাংলাদেশ, এই সময়টায় এক ইনিংসেও ২০ ছুঁতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। ৮ ইনিংস মিলিয়ে করেছেন ৫৮ রান, তিন ইনিংসেই ফিরেছেন শূন্য রানে। ব্যাটসম্যানদের ধারাবাহিতকার অভাব, মানছেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কও, ‘যে কোনো ক্রিকেটে ধারাবাহিকতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের তিন বিভাগেই সুশৃঙ্খল হতে হবে। টেস্ট ক্রিকেটে আপনাকে ব্যাটিং-বোলিংয়ে ভালো জুটি গড়তে হবে। তাহলে ফল আপনার পক্ষে আসবেই।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।