নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজে শুরু হতে যাচ্ছে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মেগা আসর। আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া এই আসরে অংশ নিয়েছে বাংরাদেশ। রুমানা, সালমা, জাহানারা, ফারজানারা খেলবে ‘এ’ গ্রুপে। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। ‘বি’ গ্রুপে লড়বে ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া আর আয়ারল্যান্ড। দুই গ্রুপ থেকে দুটি করে মোট চারটি দল সেমি ফাইনালে উঠবে। ২২ নভেম্বর প্রথম ও দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। একদিন বিরতি দিয়ে ২৪ নভেম্বর ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। উদ্বোধনী দিনে তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত-নিউজিল্যান্ড, দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ পাকিস্তান এবং তৃতীয় ম্যাচে (বাংলাদেশ সময় আগামীকাল ভোর ৬টা) বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মেগা এই টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলো সরাসরি সম্প্রচার করবে গাজী টিভি। আর র্যাবিটহোল ওয়েবসাইটে ক্লিক করেও ম্যাচগুলো দেখা যাবে।
দলটির ম্যানেজার নাজমুল আবেদিন ফাহিম নক আউট পর্বে খেলার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন। কঠিন সে লক্ষ্যটা খেলোয়াড়রা পূরণ করতে পারে কিনা সেটা এখন দেখার বিষয়। এরই মধ্যে নিজেদের অর্জনের ঝুলিতে অনেক বড় কিছুই জমা করতে পেরেছে টাইগ্রেসরা। খুব কাছে গিয়েও এখনো যে কাজটি করে দেখাতে পারেনি মাশরাফিরা সেই অসাধ্যই সাধন করেছে সালমার দল। এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে জয়ী বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল এখন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে দাড়িয়ে। মিশন টোয়েন্টি-২০ বিশ্বকাপ নিয়ে এখন স্বপ্নবাণ হয়েছে অঞ্জু জৈনের শীষ্যরা। এবার একটু বেশি স্বপ্ন দেখছে বাছাইপর্বে উত্তীর্ণ হওয়ার মাধ্যমে।
অধিনায়ক সালমা জানেন এশিয়া কাপ জয় কোনো অঘটন নয় প্রমাণ করতে আরও বড় মঞ্চে নিজেদের মেলে ধরতে হবে। সেই চ্যালেঞ্জ নিতে উন্মুখ বাংলাদেশ, ‘বিশ্বকাপে খেলাটা স্বরণীয় করে রাখতে অঘটনের কোন বিকল্প নেই। সে কারণেই প্রতিটি ধাপই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। চ্যালেঞ্জ নিয়ে খেলতে আমরা ভালবাসি, তাই এই চ্যালেঞ্জ নিচ্ছি আমরা। আশা করি, ‘ম্যাচ বাই ম্যাচ’ খেলে এগোতে পারব। সেখানে গিয়ে আমরা দেখব, কি করা যায়।’ সালমা খাতুনের মতোই প্রায় একই সুরে কথা বলেছেন জাতীয় দলের ভারতীয় কোচ আঞ্জু জৈন, ‘দলের খেলোয়াড়রা নিজেদের সেরাটা মেলে ধরতে উন্মুখ হয়ে আছেন। সবাই এই মুহূর্তে দারুণ আত্মবিশ্বাসী। আশা করি, এই বিশ্বকাপ আমাদের জন্য দারুণ হতে যাচ্ছে। দলে কার কি ভূমিকা জানাটা মেয়েদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, এটাই আমি বলছি। আমরা সামনের কিছু ম্যাচের দিকে তাকিয়ে আছি। এখন পর্যন্ত আমাদের প্রস্তুতি বেশ ভালো। আশি করি, মেয়েরা ভালো করবে।’
এবার ষষ্ঠবারের মতো নারী টোয়েন্টি-২০ বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো ঘরের মাঠে টোয়েন্টি-২০ বিশ্বকাপ খেলে বাংলাদেশ। অভিষেক আসরে শ্রীলংকাকে ৩ রানে হারায় তারা। ওই আসরে এটাই ছিল বাংলাদেশের একমাত্র জয়। এবার এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন সালমা বাহিনীর তৃতীয় টোয়েন্টি-২০ বিশ্বকাপ মিশন। বতর্মান এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন বলে সালমাদের কাছে এবার প্রত্যাশা বেশি। গত জুনে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে গ্রুপ পর্ব ও ফাইনালে শক্তিশালী ভারতকে হারায় বাংলাদেশ। এবার লক্ষ্য আরো বড়। টোয়েন্টি-২০ বিশ্বকাপ সামনে রেখে কোচ অঞ্জু জৈনের তত্তাবধানে গত আগস্ট থেকে দীর্ঘ প্রস্তুতি সারা সালমা বাহিনীর।
গ্রুপপর্বে বাংলাদেশের ম্যাচ
৯ নভেম্বর, বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ
১২ নভেম্বর, বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড
১৪ নভেম্বর, বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা
১৮ নভেম্বর, বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।