বেশ কিছুদিন আগে নিজের রোল মডেল হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স আর ভারতের বিরাট কোহলির নাম বলেছিলেন বাবর আজম। পাকিস্তানি এই ক্রিকেট তারকা সেই আইডলকেই একটা রেকর্ডে পেছনে ফেললেন। মাত্র ২৭ ইনিংস খেলে টি-টোয়েন্টিতে হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন কোহলি। বাবর তাতে টপকে গেলেন ভারত অধিনায়ককে।
বেশ কিছুদিন ধরেই এই রেকর্ডটার পেছনে ধাওয়া করছিলেন বাবর। কোহলিকে পেছনে ফেলতে আর একটা মাত্র ম্যাচেই সুযোগ ছিল বাবরের। সুযোগটি বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন তিনি। কিউইদের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৭৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলার পথেই দ্রুততম সময়ে এক হাজার রানের রেকর্ড ছুঁয়েছেন।
দুর্দান্ত ফর্মে থাকা বাবর আজম কিউইদের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচের আগে খেলেছিলেন ২৫টি ইনিংস, ২৫ ম্যাচে। তাতে তার সংগৃহীত রান ছিল ৯৫২। রানের সংখ্যা হাজারে নিয়ে যেতে প্রয়োজন ছিল আরও ৪৮ রান। প্রয়োজনীয় সেই ৪৮ রান তো তিনি করেছেনই, আরও ৩১ রান করে ইনিংসটাকে বাড়িয়ে নিয়ে গেছেন ৭৯ রানে, আর সেই ইনিংসে চড়েই ৪৭ রানের জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করেছে পাকিস্তান।
দ্রুততম এক হাজার রান সংগ্রাহকের তালিকার তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে আছেন যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়ার অ্যারন ফিঞ্চ, ইংল্যান্ডের কেভিন পিটারসেন ও অ্যালেক্স হেলস। ফিঞ্চ ২৯ ইনিংসে আর পিটারসেন ও হেলস ৩২ ইনিংসে এ মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন। এ ছাড়া তালিকার শীর্ষ দশে থাকা আরও পাঁচ ক্রিকেটার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্যাফ ডু প্লেসিস, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল, নিউজিল্যান্ডের কেইন উইলিয়ামসন, শ্রীলঙ্কার কুশল পেরেরা আর আরেক কিউই ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। যথাক্রমে ৩২, ৩৪, ৩৪, ৩৪ ও ৩৫ ইনিংসে তারা ছুঁয়েছিলেন এক হাজার রানের ফলক।
এই রেকর্ডে টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে নিজের অবস্থানটা আরও একটু পোক্ত করলেন বাবর। আগের ম্যাচেই ৪১ বলে ৪০ রান করতে গিয়ে এ বছরে তৃতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটসম্যানদের তালিকার শীর্ষে উঠেছিলেন তিনি।
বাবরের ৭৯ রান দারুণ কাজে এসেছে। কাল নিউজিল্যান্ডকে ৪৭ রানে হারিয়ে ধবলধোলাই পর্বটা সেরেছে পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়াকে ধবলধোলাই করার পর কিউদেরকেও ধবলধোলাইয়ের কৃতিত্ব দেখাল পাকিস্তানিরা। এ নিয়ে টানা ৯টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতল তারা। প্রথমে ব্যাটিং করে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৬৬। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে নিউজিল্যান্ড ১৬.৫ ওভারে ১১৯ রানেই গুটিয়ে যায়। মাত্র ২৩ রানে শেষ ৮ উইকেট তুলে নেওয়া পাকিস্তানের বোলাররা ছিলেন অনন্য।