নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ব্যাট-বলের খেলা কখনো যে ভয়ঙ্কর রূপ নেয় তা আমরা বিলক্ষণ জানি। মাথায় আঘাত পেয়ে ফিলিপ হিউজের অকাল মৃত্যু এখনো কাঁদায় ক্রিকেট ভক্তদের। আবারো ক্রিকেট মাঠে তেম ঘটনা না ঘটলেও ভয় ধরিয়ে দেয়ার মত কাণ্ডই হয়ে গেছে গতকাল ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা বোর্ড একাদশের মধ্যকার প্রস্তুতি ম্যাচে। জস বাটলারের পুল শট আঘাত হানে ফিল্ডার পাথুম নিশানকার মাথায়। প্রাথমিক চিকিৎসায় অবস্থা বেগতিক দেখে সরাসরি হাসপাতালে নেয়া হয় নিশানকাকে।
কলম্বোর ননডেস্কিক্রিপট ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ঘটনাটা ঘটে ইংল্যান্ড ইনিংসের ৫৬তম ওভারে। অফ স্পিনার নিশান পেইরিসের শর্ট বল বেশ জোরালো শক্তিতে পুল করেন ৪৪ রানে ব্যাট করা বাটলার। বল সরাসরি গিয়ে আঘাত হানে শর্ট লেগে ফিল্ডিংয়ে থাকা নিশানকার মাথায়। এসময় হেলমেট পরিহিত অবস্থাতেই ছিলেন নিশানকা। এরপরও কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠে লুটিয়ে পড়েন তিনি। বাটলার তো বটেই, তার সঙ্গী জো রুট ও শ্রীলঙ্কার বাকি ফিল্ডাররা চিন্তায় নীরব হয়ে যান।
সঙ্গে সঙ্গে সাইডলাইন থেকে লঙ্কান টিম ফিজিওর সাথে মাঠে প্রবেশ করেন ইংল্যান্ড মেডিকেল টিমের সদস্য ডাক্তার মইজ মোঘল, ফিজিও ক্রেইগ ডি উয়াইমেন ও অঙ্গমর্দিকা মার্ক সেক্সবি। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে চলে প্রাথমিক চিকিৎসা। পুরো সময় মাটিতেই শুয়ে ছিলেন নিশানকা। এসময় তার জ্ঞান থাকলেও ঘাড়ের তীব্র ঘাড়ের ব্যাথা অনুভব করছিলেন তিনি। অবস্থা বেগতিক দেখে স্ট্রেচারে ঝুলিয়ে মাঠ থেকে বের করে অ্যাম্বুলেন্সে করে তখনই তাকে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। মাঠে অক্সিজেন বহন করা হলেও তা প্রয়োগের প্রয়োজন হয়নি।
পরে বোর্ড একাদশের কোচ অভিষকা গুনাবর্ধনে অভয় দিয়ে বলেন, ‘এখন সে স্থিতিশীল ও চেতন অবস্থায় আছে- ভয়ের কিছু নেই। তবে এমআরআই করে নিশ্চিত হতে হবে যে সেখানে কোন রক্তক্ষরণ হয়নি এবং সবকিছু ঠিক আছে।’
২০১৭ সালে আইসিসি প্রণীত আইন অনুযায়ী বল যদি ফিল্ডারের হেলমেটে আঘাত হানে তাহলে ব্যাটসম্যান ক্যাচ অথবা স্টাম্পড আউট বলে গণ্য হবেন। এই আইনে বাটলারকে ৪৪ রানেই মাঠ ছাড়তে হয়। নিশানকার হেলমেট পরেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। স্কোরবোর্ডে লেখা হয় ‘বাটলার কট ম্যাথিউস বোল্ড পেইরিস’।
এর আগে লাহিরু কুমারার বলে কনুইয়ে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন বেন স্টোকস। প্রথমিক চিকিৎসার পর অবশ্য মাঠে ফেরেন ইংলিশ অল-রাউন্ডার। দুর্ঘটনার ম্যাচে দুই দলের অনুশীলনটা অবশ্য ভালই হয়েছে। প্রথম দিনের পুরোটা সময় ব্যঅট করে শ্রীলঙ্কা বোর্ড একাদশ ৯ উইকেটে ৩৯২ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা দেয়। জবাবে ৭ উইকেটে ৩৬৫ রান তোলে ইংল্যান্ড। দুই দিনের ম্যাচ হয় ড্র। ৬ নভেম্বর গলে অনুষ্ঠিত হবে দুদলের মধ্যকার তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।