Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

দ্বিতীয় দিনও বোলারদের

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

২০তম জাতীয় ক্রিকেট লিগের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে দ্বিতীয় দিনেও ছড়ি ঘুরিয়েছে বোলাররা। নাঈম-সোহাগের পর গতকাল পাঁচ উইকেটের দেখা পেয়েছেন সুবাসিশ রায়। দুই দিনে কোন ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে আসেনি তিন অঙ্কের ইনিংস। মন্দ ফর্মের কারণে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া মুমিনুল হক ও মোসাদ্দেক হোসেনও অব্যহত রেখেছেন ব্যর্থতার ধারা।

সোহাগ গাজীর বোলিং ঘূর্ণীতে আগের দিনই ঘরের মাঠে মাত্র ১৪৭ রানে গুটিয়ে যায় রংপুর। এবার রংপুরের হয়ে একই কাজ করে বরিশালকে ঠিক একই স্কোরে গুটিয়ে দেন সুবাসিশ। তবে স্পিনে নয়, মিডিয়াম পেসে। টপ অর্ডারের শীর্ষ ছয় ব্যাটসম্যানের পাঁচজনই তার শিকার। কেবল মোসাদ্দেকের উইকেটটি নেন রবিউল হক। তানবির হায়দারের কাছে মাত্র ৪ রান করে ক্যাচ দেন মোসাদ্দেক। এ নিয়ে সব ধরণের ক্রিকেটে দশ ইনিংসে কোন ফিফটি নেই তার।

কামরুল ইসলাম রাব্বির দলে বাকিরাও ছিলেন ব্যর্থ। একমাত্র ত্রিশোর্ধো ইনিংস রাফসান আল মাহমুদের। ২ উইকেটে ৩৫ রান নিয়ে দিন শুরু করা বরিশালের ইনিংস শেষ হয় ৫০ ওভারে। জবাবে দাঁতে দাঁত চেপে ৪৭ ওভার ব্যাটিং করে মাত্র ৭৭ রান যোগ করে দিন শেষ করে রংপুর। এরপরও হারাতে হয়েছে তিনটি উইকেট। ১৩ ওভারে মাত্র ১২ রানের কিপটে বোলিংয়ে তিনটি উইকেটই নেন মনির হোসেন।

প্রথম স্তরের আরেক ম্যাচে খুলনায় বোলাররা তেমন দাপট দেখাতে পারেননি। বিশেষ করে নিষ্প্রভ ছিল খুলনার বোলিং। তার পূর্ণ সুযোগ নিয়ে ৭০ ওভার ব্যাট করে ৫ উইকেটে ২০২ রান তুলে দিন শেষ করে রাজশাহী। পাঁচ ব্যাটসম্যানই আউট হন থিতু হয়ে। ফিফটি ইনিংস খেলেছেন ফরহাদ হোসেন। চল্লিশোর্ধো ইনিংস আসে মিজানুর ও জুনায়েদ সিদ্দিকির ব্যাট থেকে। দিনের সফল বোলার সৌম্য সরকার নেন ২ উইকেট। এর আগে ১০ ওভারে হাতের তিন উইকেটে এদিন ২৮ রান যোগ করে ৩০৯ তে গুটিয়ে যায় খুলনা। ১০৭ রানে পিছিয়ে আজ তৃতীয় দিন শুরু করবে রাজশাহী।

কক্সবাজারে দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে ঢাকার করা ২৮৮ রানের জবাবে ৮ উইকেটে ২২৩ রান করে দিন শেষ করে চট্টগ্রাম। ঢাকার কোন বোলারই সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি তবে তাদের দলীয় প্রচেষ্টা ছিল দারুণ। একাধিক ওভার করা ছয় বোলারের কেউই উইকেটবিমুখ হননি। পক্ষান্তরে ব্যাট হাতে চট্টগ্রামের সবচেয়ে ফ্লপ ব্যাক্তিটির নাম মুমিনুল হক, আউট হন রানের খাতা খোলার আগেই। বাকি সব ব্যাটসম্যানই আউট হন থিতু হয়ে। সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন অধিনায়ক ইয়াসির আলী।

দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয়নি রাজশাহীতেও। হাতের এক উইকেটে এদিন ২০ রান যোগ করে ৩১২ রানে গুটিয়ে যায় সিলেট। জবাবে ৭৯ ওভার ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৬৭ রান তোলে ঢাকা মেট্রোপলিটন। এখানেও মেহরাব জুনিয়র ছাড়া বাকি সব ব্যাটসম্যানই আউট হন থিতু হয়ে। ফিফটি ইনিংস আছে দুটি। শামসুর রহমান ও অধিনায়ক মার্শাল আয়ুবের। বল হাতে কার্যকরী ছিলেন তরুন মিডিয়াম পেসার খালেদ আহমেদ। ৬৯ রানে চার উইকেট নেন এই ২০ বছর বয়সী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ক্রিকেট


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ