নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এই নিয়ে গত চার এশিয়া কাপের মধ্যে তৃতীয়বার ফাইনালে উঠল বাংলাদেশ। ফাইনালে উঠার নজির আছে আরও একাধিক টুর্নামেন্টেও। তবে কোনবারই শিরোপা জেতা হয়নি। কাছে গিয়েও ফিরতে হয়েছে হতাশার যন্ত্রণা নিয়ে। এবার আর ভুল নয়, অবশ্যই জিততে পারবেন বলে আত্মবিশ্বাসী মুশফিকুর রহিম।
গতপরশু আবু ধাবিতে আসরের অলিখিত সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে ৩৭ রানে হারায় বাংলাদেশ। দলের জয়ে ৯৯ রান করে আসল নায়ক মুশফিক। বাংলাদেশের অনেক জয়ের সারথি এই ব্যাটসম্যানেরও নজির আছে শেষটা গড়বড় করে ফেলার। ফাইনালের উঠার বাধা বাংলাদেশ পেরিয়েছে বহুবার। ফাইনাল জেতার বাধা পেরোয়নি একবারও।
তামিম ইকবাল নেই, সাকিব আল হাসান নেই তবু মুশফিকের আছে ভরপুর আত্মবিশ্বাস, ‘অবশ্যই আমরা পারব। আত্মবিশ্বাসের কমতি নেই। আমরা এখনও নিজেদের সেরাটা খেলতে পারিনি। এখনও তিন বিভাগ একসঙ্গে জ্বলে ওঠেনি। টপ অর্ডার ভালো করছে না। এগুলো সব যদি ভারতের বিপক্ষে জ্বলে ওঠে, তাহলে না পারার কারণ নেই।’
টুর্নামেন্টে ভারতই একমাত্র দল যারা কোন ম্যাচ হারেনি। পাকিস্তানকে দুবার হেসেখেলে হারানোর পর বাংলাদেশকেও সুপার ফোরের প্রথম দেখায় উড়িয়ে দিয়েছে। বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে বিশ্রাম দেওয়ার ম্যাচে আফগানদের বিপক্ষে তাদের ম্যাচ হয়েছে টাই। তবু মুশফিক আশা দেখছেন ওদের ভুল আর নিজেদের সেরা দিনের দিকে, ‘ভারত অবশ্যই অসাধারণ ক্রিকেট খেলছে। কিন্তু ওরাও মানুষ, ওরা ভুল করবে। যদি আগে ব্যাট করি এবং বড় স্কোর গড়তে পারি, শুরুতে ওদের চাপে রাখতে পারলে কিংবা রান তাড়া করলে ভালো শুরু পেলে না পারার কারণ নেই। ভারতের বিপক্ষে আমরা সেটিই করতে চাই।’
ফাইনালে প্রতিপক্ষ ভারত মানেই তো গত এশিয়া কাপের দুঃসহ স্মৃতি। এশিয়া কাপের ইতিহাসে সেবারই (২০১৬) প্রথম টি-টোয়েন্টি সংস্করণ মাঠে গড়িয়েছিল। আগের ম্যাচগুলো দোর্দন্ড প্রতাপে খেলে ফাইনালে উঠে আসা বাংলাদেশ শিরোপা-লড়াইয়ে তেমন প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। বৃষ্টিবিঘি সেই ফাইনালে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ১৫ ওভারে ৫ উইকেটে ১২০ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। জবাবে ৭ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের জয় পেয়েছিল ভারত।
এবার কি তাহলে সেই হারের জ্বালা মেটানোর পালা? এশিয়া কাপে এবারসহ চার টুর্নামেন্ট মিলিয়ে তিনবার ফাইনালে উঠল বাংলাদেশ। ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো দেখা মিলেছিল ফাইনালের। সেই হারের স্মৃতি ভোলা সম্ভব? শ্বাসরুদ্ধকর সেই ম্যাচে পাকিস্তানের ৯ উইকেটে ২৩৬ রান তাড়া করতে নেমে ২ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। মুশফিক-সাকিবের সেই কান্না এখনো পোড়ায় বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের। গত টুর্নামেন্টে সুযোগ পেয়েও মোছা যায়নি সেই কান্না। এবার? প্রতিপক্ষ তো সেই ভারত- মুশফিকদের মধ্যে আলাদা একটা তাড়না থাকাই স্বাভাবিক।
বহুল আকাক্সিক্ষত সেই ঝা চকচকে সোনালী ট্রফির স্বপ্ন এবার কি পূরণ হবে মাশরাফি-মুশফিকদের?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।