Inqilab Logo

বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পাকিস্তানের অসহায় আত্মসমর্পণ

দুবাই ক্লাসিকো জিতলো ভারত

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০১ এএম | আপডেট : ১২:০৬ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

স্পোর্টস রিপোর্টার : আগেই বলে নেয়া ভালো, এই ম্যাচের ফল এশিয়া কাপে কোন প্রভাব ফেলবে না। হংকংকে হারিয়ে আগেই সুপার ফোর নিশ্চিত করেছে দুই দলই। কিন্তু ম্যাচটা যখন ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যকার তখন অনেক কিছুই এসে যায়। ঐতিহ্য আর অহমের ম্যাচে কে-ই বা হারতে চায়! দুবাইয়ের মরুর বুকে ক্রিকেটের সেই ‘ক্ল্যাসিকো’ দাপটের সঙ্গেই জিতে নিয়েছে ভারত। গতকাল দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হিতে ব্যাট করে ৪৩.১ ওভারে মাত্র ১৬২ রানেই গুটিয়ে পাকিস্তান। জবাবে মাত্র ২৯ ওভারে ২ উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত। জয়, ৮ উইকেটের।
২৪ ঘণ্টা আগে বিশাল সংগ্রহ নিয়েও হংকংয়ের সামনে অসহায় দেখাচ্ছিল ভারতীয় বোলিং লাইন আপকে। সেই দলটিই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে গুটিয়ে দিল মাত্র ১৬২ রানে। দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন ভারতীয় বোলাররা। দ্রুত দুই উইকেট তুলে শুরুতেই চাপ দেন ভুবনেশ্বর কুমার। মিডল অর্ডারে স্পিনারদের সঙ্গে যোগ দেন জাসপ্রিত বুমরাহ। বাবর আজম ও শোয়েব মালিকের জুটিতে মাঝে শুরুর ধাক্কা সামাল দেয়ার আভাস এসেছিল। কিন্তু এই জুটি বিচ্ছিন্ন হতেই অসহায় আত্মসমর্পন করে পাকিস্তান ব্যাটিং লাইন আপ।
স্কোর বোর্ডে ৩ রান যোগ না হতেই নেই ২ উইকেট। ভুবনেশ্বরের বল তেড়েফুড়ে এসে খেলতে গিয়ে প্রথমে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দেন ইমাম-উল-হক। এই পেসারের পরের ওভারেই একটি শর্ট বলে মিস টাইমিং করে আকাশে তোলেন ফখর জামান। এরপরই আসে বাবর-শোয়েবের সেই ৮২ রানের জুটি। তবে সেটি ভাঙে কুলদিপ যাদবের দারুণ এক ডেলিভারিতে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করা বাবর ক্যাচ দিয়ে ফেরায়। খানিক বাদে দুর্ভাগ্যাজনক রান আউটে কাটা পড়েন শোয়েব মালিকও (৪৩)।
এরপর পনেরোর্ধো জুটি মাত্র একটি। অষ্টম উইকেটে মোহাম্মাদ আমির ও ফাহিম আশরাফের সেই ৩৭ রানের জুটিতে দুইশর একটা গোপন স্বপ্ন হয়ত দেখছিল পাকিস্তান। কিন্তু ফাহিমকে ফিরিয়ে জুটি বিচ্ছিন্ন করেন বুমরাহ। এর আগে অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ, আসিফ আলি ও শাদব খানের উইকেট তিনটি তুলে নিয়ে সবচেয়ে বড় ধস নামান কেদার যাদব। সাত ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি। ৭ ওভারে ১৫ রানের খরচায় ৩ উইকেট নিয়ে ভারতের সেরা বোলার ভুবনেশ্বর। হংকং ম্যাচে বিশ্রামে রাখা হয়েছিল এই পেসারকে। ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন কেদার। সমান রানের খরচায় ২ উইকেট বুমরার।
জবাবে ২৯ ওভারেই জয়ের বন্দরে তরী ভেড়ায় রোহিত শর্মার দল। যাতে বড় অবদান অধিনায়কেরই। আরেক ওপেনার ধাওয়ানকে নিয়ে ৮৬ রানের জুটিই জয়ের ভিত গড়ে দেয়। হংকং ম্যাচে ম্লান রোহিত (৫২) ফিফটি পেলেও সেদিনের সেঞ্চুরিয়ান ধাওয়ান (৪৬) বঞ্চিত হয়েছেন মাত্র ৪ রানের জন্য। বাকি পথটা রাইডুকে নিয়ে পেরিয়ে যান দীনেশ কার্তিক। দুজনেই অপরাজিত থাকেন ৩১ রানে।
পাক ব্যাটসম্যানদের এই অসহায় আত্মসমর্পন মনে করিয়ে দেয় ২০১৬ এশিয়া কাপকে। সেবার অবশ্য টুর্নামেন্ট আয়োজিত হয়েছিল টি-২০ ফরমেটে। ৮৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। পরে ৮ রানে ভারতের ৩ উইকেট তুলে নিয়ে লড়াইয়ের আভাস দেয় পাক বোলাররা। এই অবস্থা থেকে ভারতের হাল ধরেন বিরাট কোহলি। সেই কোহলিকে ছাড়াই এবারের এশিয়া কাপ খেলছে ভারত। অবশ্য ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপের সামনে কোন সংগ্রহই যে অনতিক্রম্য নয়!
এমন ম্যাচেও ভারতে জন্য আছে দু:সংবাদ। ইনিংসের শুরুর দিকে পিঠে চোট পেয়ে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন ভারতের অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া। এই ম্যাচে অন্তত সেটি ভারতের জন্য কোনো সমস্যা হয়নি। তবে পান্ডিয়া যদি টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যান, সেটি ভারতের জন্য বড় ধাক্কাই হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ক্রিকেট


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ