নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দুই দলের ম্যাচ মানেই তুমুল উত্তেজনা, ভিন্ন আবহ, চায়ের আড্ডা থেকে অফিসপাড়ায় তুমুল ঝড়! দ্বিপাক্ষিক সিরিজ না খেলায় বৈশ্বিক এবং মহাদেশীয় টুর্নামেন্টেই কেবল দেখা মিলে ক্রিকেটের দুই পরাশক্তির লড়াই। আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালের পর আবারও মুখোমুখি হতে যাচ্ছে চীরপ্রতিদ্ব›দ্বী পাকিস্তান-ভারত। এবার তাদেরকে একই মঞ্চে নিয়ে এসেছে এশিয়া কাপ। আজ বিকেলে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে আগুনে এই ম্যাচটি। ২০০৬ সালের পর আরব আমিরাতের মাটিতে আর মুখোমুখি হয়নি দু’দল। তাই এই ম্যাচ নিয়ে ম্যাচ বেশ আগ্রহ থাকছে দুবাইয়ের সমর্থকদের মাঝে।
বিশ্ব ক্রিকেটে যুগে যুগে চীরপ্রতিদ্ব›দ্বী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া, ভারত-পাকিস্তান কিংবা হালের বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা, তাদের মাঝে পাক-ভারত লড়াইটিই রং ছড়িয়েছে সবচেয়ে বেশি। শুধুমাত্র রাজনৈতিক বৈরিতাই নয়, ক্রিকেট বিশ্বে সবচেয়ে আলোচিত যে মহারণ গুলো হয়েছে তার সিংহভাগই এই দুই দলের আগুনে লড়াই। যদিও বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা উত্তেজনাকর এক ম্যাচ দিয়েই শুরু হয়েছিলো এবার এশিয়া কাপ। তবে তাতেও কোথায় যেন একটা শূণ্যতা চারিদিকে। সেই শূণ্যতা পূরণ করতেই আজ ২২ গজি লড়াইয়ে নামছে পাকিস্তান-ভারত।
এপর্যন্ত ১২৯ বার ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে দু’দল। এতে জয়ের পাল্লা ভারী পাকিস্তানের দিকেই। ভারতের ৫২ জয়ের বীপরিতে ৭৩ বার শেষ হাসি হেসেছে পাকিস্তান। বাকি ৪টি ম্যাচ হয়েছে ড্র। এই এশিয়া কাপেই ১১ বার একে অপরকে মোকাবেলা করেছে। তবে এখানে সাফল্যাঙ্ক কথা বলছে ভারতের পক্ষেই। ৬ জয়ের বীপরিতে পাকিস্তানের জয় ৪টি। বাকি একটি ড্র। এবার সেই ব্যবধান ঘুচানোয় চোখ শরফরাজ আহমেদের পাকিস্তানের। আর নিয়মিত অধিনায়ক বিরাট কোহলিহীন ভারত চাইবে সেটি বাড়িয়ে নিতে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে এবার বসেছে এশিয়া কাপের ১৪তম আসরটি। আসরের সবচেয়ে ফেভারিটও ভারত। ৬বার এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট মাথায় পড়েছে ভারত। যেখানে পাকিস্তান শিরোপার দেখা পেয়েছে মাত্র দু’বার। ‘ঘরের মাঠে’ আসর হওয়ায় এবার নিজেদের ফেভারিট হিসেবে ভাবতেই পারে পাকিস্তান। দলটির ক্রিকেটারদের সাম্প্রতীক ফর্মও বেশ আত্মবিশ্বাসী করে দিতে পারে মিকি আর্থারের দলকে। যেখানে সদ্যই ইংল্যান্ড থেকে ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে সিরিজ শেষে একরাশ হতাশা আর সমালোচনা সঙ্গী করে মরুর দেশটিতে পা রেখেছে ভারত।
কোহলির না থাকা নিয়েই আলোচনা হচ্ছে বিস্তর। চলবে পুরো এশিয়া কাপ জুড়েই। প্রায় সবারই মত এশিয়া কাপে কোহলি না থাকায় শক্তি কমেছে ভারতের। সুযোগ বেড়েছে অন্য দলগুলোর। শ্রীলঙ্কার বিদায়ে এরই মধ্যে ‘বি’ গ্রুপ থেকে সুপার ফোর নিশ্চিত হয়ে গেছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের। হাই-ভোল্টেজ পাকিস্তান ম্যাচের আগে গতকাল হংকংয়ের ম্যাচটিতে কোন অঘটন না ঘটলে নিশ্চিত হয়ে যাবে ‘এ’ গ্রুপের দু’দলও- পাকিস্তান, ভারত। দেখা যাক সেই সুযোগ শেষ পর্যন্ত কারা নিতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।