নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দু’দলের মধ্যকার ক্রিকেটিয় শক্তির পার্থক্য হংকংকে বুঝিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। এশিয়া কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে গতকাল হংকংয়ের দেয়া ১১৭ রানের মামুলি লক্ষ্যটা ৮ উইকেট ও ২৬.২ ওভার হাতে রেখেই পূরণ করে সরফরার আহদেমের নেতৃত্বাধীন দলটি। সাবেক পাক স্পিনার সাকলাইন মুসতাকের মতে, ভারতের মুখোমুখি হওয়ার আগে পাকিস্তানের জন্য এটা একধরণের পূর্বপ্রস্তুতি।
ব্যাট হাতে ইমাম-উল-হক অপরাজিত ফিফটি করে দলকে জয়ের বন্দরে নিলেও আসল কাজটা করেন পাক বোলাররা। বল হাতে প্রত্যোকেই ছিলেন সফল। এর মাঝে হংকংয়ের ইনিংসের প্রতীকী ছবি হতে পারে তাদের শেষ উইকেটটি। হাসান আলির লেগ স্ট্যামে করা লেন্থ বলটি টোকা দিয়ে মিড অনে পাঠিয়ে রানের জন্য দৌড় দেন এহসান নেওয়াজ। তাতে সাড়া ছিল অপর প্রান্তে থাকা নাদিম আহমেদেরও। কিন্তু দ্রুতই সিদ্ধান্ত পাল্টে নিজ নিজ প্রান্তে ফেরার পথ ধরেন দুজনই। হাসানের সামনে তখন দুটি রান আউটের সুযোগ। কিন্তু হংকংকে গুটিয়ে দিতে পাকিস্তানের দরকার এক উইকেট। উইকেটরক্ষক সরফরাজ আহমেদকে দিয়ে নওয়াজকে আউট করেন হাসান।
দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যাট হাতে টসজয়ী হংকংয়ের শুরুটাও ছিল অলস এক রান আউটের মধ্য দিয়ে। মাঝে একটি ফিফটি জুটি ছিল বটে কিন্তু সেই বিরতির আগে-পরে দুর্বল হংকংয়ের উপর তান্ডব চালায় শক্তিশালি পাক বোলিং লাইন-আপ। শুরুর দিকে নিজের প্রথম ওভারেই জোড়া আঘাত হানেন স্পিনার শাদব খান। পায়ের পাতায় আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়ার আগে শেষ দিকে ওভারে তিন উইকেট নিয়ে দ্রুত গুটিয়ে দেয়ার পথ সুগম করেন উসমান খান। মাঝে দুই উইকেট নিয়ে তাতে অবদান রাখেন হাসান আলিও। উইকেট নেয়ার প্রতিযোগিতা যাকে বলে। উইকেট পাননি কেবল মোহাম্মদ আমির। অবশ্য কিপটে বোংিয়ে অবদান রাখেন তিনিও।
তবে দলীয় ১৭ রানে রান আউটের মাধ্যমে হংকংয়ের আসা-যাওয়া শুরু হলেও বল হাতে উইকেটের পথ দেখান ফাহিম আশরাফ, ওপেনার ও অধিনায়ক আঞ্জুমান রাথকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলে। সেই পথ ধরেই সপ্তদশ ওভারে জোড়া আঘাত হেনে স্কোরবোর্ড ৫ উইকেটে ৪৪ করে দেন শাদব। এরপরই আসে ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৩ রানের জুটি। দুর্দান্ত ডেলিভারিতে ইনিংসে সর্বোচ্চ ২৭ রান করা আইজাজ খানকে সরাসরি বোল্ড করে দেন উসমান। একই ওভারের শেষ দুই বলে ম্যাককেচিন ও তানভির আফজালকেও ফিরিয়ে স্কোরবোর্ড ৫/৯৭ থেকে মুহূর্তে ৮/৯৭ করে দেন ডানহাতি মিডিয়াম পেসার। ডিনারের ঘন্টা খানের আগেই ৩৭.১ ওভারে শেষ হংকং।
মামুলি লক্ষ্যে ফখর জামানকে (২৪) নিয়ে ৪১ রানের জুটি গড়েন ইমাম-উল। দলীয় ৯৩ রানে ফেরেন বাবর আজমও (৩৩)। বাকি কাজটা শোয়েব মালিককে (৯*) নিয়ে শেষ করেন ইমাম-উল (৫০*)।
একই মাঠে আসরের তৃতীয় ম্যাচে আজ মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা ও আফগান্তিান। আসছে বুধবার চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী ভারতের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।