নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বলতেই পারেন মাত্র তো দুটি রান করেছেন তামিম ইকবাল। তাতেই এতো শোরগোল। কিন্তু রানের জন্য নয়, তামিম কোটি ক্রিকেট ভক্তের হৃদয়ে থাকবেন তার বিস্ময়কর নিবেদনের জন্য। বাঁহাতের আঙুল ভেঙে যাওয়ার পর এক হাতে ব্যাটিং করেছেন এ ব্যাটসম্যান। একটু উনিশ বিশ হলে যে ক্যারিয়ারই শেষ হয়ে যেত তার।
এক যুগের ক্যারিয়ারে তার ব্যাট ঝলসেছে বারংবার। অসংখ্যবার বাংলাদেশকে জিতিয়েছে ব্যাট করে। ব্যাটসম্যান হিসেবে রানের সর্বোচ্চ রেকর্ডগুলো তার দখলে। প্রতিপক্ষ বোলারদের বুকের কাঁপন তুলতে তার বাঁ হাতটি বেশ সিদ্ধহস্ত। তবে সেই বাঁ হাতটি চোটাক্রান্ত বেশ কিছুদিন থেকেই। তবে দুবাইয়ে প্রথমবারের মতো ডান হাতে ব্যাট করলেন তামিম। তাতেই মোমেন্টাম পায় বাংলাদেশ। তা ধরে রেখে সেহ পর্যন্ত দুর্দান্ত এক জয়। আর এক জয়েই দ্বিতীয় রাউন্ডের পথে টাইগাররা। কারণ জয়টা ১৩৭ রানের বিশাল ব্যবধানে। যা দেশের বাইরে সবচেয়ে বড়।
আমজনতা হতে শুরু করে ক্রিকেট বোদ্ধা সবার একই কথা, তামিম যখন ভাঙ্গা হাতে মাঠে নামলেন, ম্যাচটা মূলত তখনই জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। রেশটা তখন থেকেই শুরু। বাকিটা শেষ করেছেন বোলাররা। তাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। উজ্জীবিত ছিলেন সব বোলাররাই। পার্ট টাইম বোলার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও বাদ যাননি। নিয়েছেন এক উইকেট।
আর তামিমের এমন নিবেদনে তাকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন আবালবৃদ্ধবনিতা সবাই। অধিনায়ক তো এক কাঠি সরেস। ম্যাচ শেষের অনেক পর, ড্রেসিং রুমের জয়োৎসব, সংবাদ সম্মেলন আর যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভোর রাতে নিজের ব্যক্তিগত ফেইসবুক পেইজে তামিমকে নিয়ে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বাঁ হাত ভেঙেছে, কিন্তু ডান হাতে তুমি জিতেছো লাখো হৃদয়। ক্রিকেট ¯্রফে একটি খেলা... কখনও কখনও তা নয় তামিম!’
তার আগে দুবাইয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্বাভাবিকভাবেই একটা বড় অংশ জুড়ে ছিল তামিমের প্রসঙ্গ। মাশরাফি অবশ্য প্রেক্ষাপট-পারিপার্শ্বিকতা বিস্তারিত নিজে সেভাবে বলতে চাননি। শুধু মনে করিয়ে দিলেন, দলের জন্য কত বড় ঝুঁকি নিয়েছিলেন তামিম, সিদ্ধান্তটা তামিমের ছিল, তামিমই ভালো বলতে পারবে। বিষয়টা তামিমের উপর ছেড়ে দেয়া যাক। আমি শুধু বলি, তামিমকে মনে রাখা উচিত এই ম্যাচের জন্য। এখানে যে কোনো কিছু ঘটে যেতে পারত। ওর ক্যারিয়ারের ব্যাপার ছিল এখানে। আমি মনে করি, সবার মনে রাখা উচিত। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে, তামিম সেই সময় ব্যাট করতে নামায় মুশফিকও আত্মবিশ্বাস পেয়েছে, ওই ৩০-৩২ রান করার জন্য। আমি আসলে তামিমকে বলার জন্য কোন ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। তামিমকে হ্যাটস অফ, সে সেই সময়ে ব্যাট করতে গিয়েছে।’
ম্যাচ শেষে নিজের ব্যক্তিগত ফেইসবুক পেইজে পেসার রুবেল হোসেন লিখেছেন, তামিমের কীর্তিতে গর্বিত তারাও, ‘অনেক অনেক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রইল তামিম ভাই। স্যালুট জানাই আপনাকে। আমি গর্বিত, আমি বাঙালি।’
দেশে থাকতেই আঙুলে চোট ছিল তামিমের। খেলা নিয়ে শঙ্কাও ছিল। সমস্যা হবে না ফিজিওর এমন সবুজ সংকেত পেয়ে তাই নিয়েই খেললেন। কিন্তু এক ওভার না যেতেই লাকমালের বাউন্সারে সেই হাতেই ব্যথা পান। চিড় ধরেছে একাধিক। কিন্তু তাই নিয়েই যে বীরত্ব দেখালেন তাতে ইতিহাসের পাতায় তার নাম লেখা থাকবে আজীবন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।