নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ক্রিকেট মাঠে অস্ট্রেলিয়া খেলোয়াড়দের বাজে আচরণ সম্পর্কে কারো অজানা নয়। অজি দলের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচ থেকেই এর শিকার ছিলেন ইংল্যান্ড অলরাউন্ডার মইন আলিও। সম্প্রতি নিজের আত্মজীবনীতে অস্ট্রেলিয়া দলের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনেছেন ইংলিশ টেস্ট অলরাউন্ডার। এদিকে মইনের এই অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তে নামার ঘোষণা দিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)।
দ্য টাইমস পত্রিকায় নিয়মিতভাবে নিজের আত্মজীবনী লিখছেন মইন। সেখানে তিনি অভিযোগ আনেন, ২০১৫ অ্যাসেজে কার্ডিফ টেস্টে তাকে ‘ওসামা’ বলে ডাকা হয়। সেদিনের কথা উল্লেখ করে মইন মইন বইয়ে লেখেন, ‘ব্যক্তিগত পারফর্ম্যান্সের দিক দিয়ে প্রথম অ্যাসেজ টেস্টটা আমার কাছে দারুণ ছিল। সেখানে একটা ঘটনা ঘটেছিল যা আমাকে ব্যাটিংয়ে বিঘœ ঘটাচ্ছিল। একজন অস্ট্রেলিয়ান ফিল্ডার আমার দিকে এগিয়ে এসে বলে “এই ওসামাকে তুলে নাও।” আমি যা শুনেছিলাম তা বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। রাগে লাল হয়ে যাচ্ছিলাম। ক্রিকেট মাঠে আমি কখনো এত রাগান্বিত হয়নি।’ ঐ ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে ৭৭ রান করার আগে বল হাতে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ৩১ বছর বয়সী স্পিন অল-রাউন্ডার।
এ কথা মইন জানিয়েছিলেন ইংল্যান্ড কোচ ট্রেভর বেলিসকে। ট্রেভর আবার তা জানিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয় কোচ ডারেন লেম্যানকে। তখন ডাকা হয়েছিল ওই অভিযুক্ত ক্রিকেটারকে। যদিও তখন নিজের দোষ বেমালুম অস্বীকার করে ওই ক্রিকেটার জানিয়েছিলেন, ‘ওসামা’ নয়, তিনি ‘পার্ট টাইমার’ বলে ডেকেছিলেন মইনকে। এই মিথ্যা আজও মেনে নিতে পারেননি মইন। যদিও ২০১৫ অ্যাসেজ সিরিজ জেতায় তাঁর মনঃকষ্ট অনেকটাই কমেছিল বলে আত্মজীবনীতে জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার ইংল্যান্ডের এক সংবাদমাধ্যমকে মইন বলেছেন, ‘ক্রিকেট জীবনে অনেক দলের বিরুদ্ধেই খেলেছি। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া এমন একটা দল যাদের কোনও দিনই আমি পছন্দ করি না। ওরা আমাদের পুরনো শত্রু বলে নয়। ক্রিকেটারদের এমন অসম্মান ওরা করে যে, অপছন্দ করতে বাধ্য হয়েছি।’
এ বছরের শুরুর দিকে বল টেম্পারিংয়ের অবিযোগে স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যামেরন ব্যানক্রফ্টকে নির্বাসিত করে সিএ। এরপর অনেকের কাছ থেকে সহমর্মিতাও পান তারা। কিন্তু তাদের জন্য কোন মায়া নেই মইনের কাছে, ‘সাধারণত লোকে শাস্তি পেলে অথবা কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেলে আমার খারাপ লাগে, দুঃখ হয়। কিন্তু ওদের জন্য সেটা হয় না। ওদের জন্য দুঃখ হওয়াও কঠিন।’
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলা প্রথম ম্যাচ থেকেই খারাপ অভিজ্ঞতা রয়েছে মইনের। তার কথায়, ‘২০১৫ বিশ্বকাপের ঠিক আগেই সিডনিতে ওদের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ খেলেছিলাম। আর প্রথম ম্যাচেই দেখলাম যে, মাঠে ওরা বিরক্ত করে না, অপমান করে। ওদের বিরুদ্ধে খেলার অভিজ্ঞতা যত বেড়েছে, তত বুঝতে পেরেছি কতটা অভদ্র ওরা।’
এদিকে মইনের এই বক্তব্য আমলে নিয়ে তদন্তে নামার ঘোষণা দিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। সিএর এক মুখপাত্র বলেন, ‘এই ধরনের আচরণ অগ্রহনযোগ্য এবং আমাদের খেলাধুলা অথবা সমাজে এর কোন স্থান নেই।’ তিনি বলেন, ‘আমরা এটাকে গুরুত্বের সাথে নিয়েছি এবং অভিযুক্ত ঘটনার স্পষ্টতা সন্ধান করতে ইসিবির (ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড) সঙ্গে যোগাযোগ করার দিকে এগুচ্ছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।