নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সফল ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবীদ। সেখানেও সফলতার সর্বোচ্চ পর্যায়ে অধিষ্ঠিত হয়েছেন পাকিস্তানি সাবেক বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ও অল রাউন্ডার ইমরান খান। সবকিছু ঠিক থাকলে তিনিই হতে যাচ্ছেন পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী। এমন অর্জনে সাবেক সতীর্থ ও বন্ধুদের কাছ থেকে অভিনন্দন বার্তায় সিক্ত হচ্ছেন একসময় ব্যাটসম্যানদের ঘুম হারাম করা ইমরান খান। এই তালিকায় রয়েছেন ভারতীয় কিংবদন্তি কপিল দেবও।
পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে তার নতুন দায়িত্বের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব ভারতীয় এক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এটা একটা দারুণ কৃতিত্বের ব্যাপার। দেশের সামনে ক্রিকেট খেলাটা কিছুই নয়। তবে এটা বলব, বিশ্বকাপ জেতার সময় ইমরান যে রকম আবেগপ্রবণ ছিল, এখনও সে রকমই আছে। আশা করব, ওর এই সাফল্য দেশের উপকারে লাগবে।’ রাজনীতিতে ইমরান যে উচ্চতায় পৌঁছালেন, সেখানে আজ পর্যন্ত কোনও খেলোয়াড় পৌঁছতে পারেননি, তা মনে করিয়ে দিয়ে কপিল বলেন, ‘প্রথমে মাঠে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা। তারপর সেই দেশের সর্বময় নেতা হয়ে ওঠা একটা দারুণ ব্যাপার।’
ইমরানকে অভিনন্দন জানিয়ে একের পর এক টুইট করছেন তার প্রাক্তন সতীর্থরাও। বাইশ গজে বিশ্বজয়ের ক্ষেত্রে ইমরানের অন্যতম প্রধান অস্ত্র যিনি ছিলেন, সেই ওয়াসিম আকরামের মন্তব্য, ‘তোমার নেতৃত্বে আমরা ১৯৯২ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। তোমার নেতৃত্বেই আমরা আবার একটি মহান দেশ হয়ে উঠতে পারি।’ বৃহস্পতিবারই দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে তাকে অভিনন্দন জানিয়ে এসেছেন আকরাম। রাতে প্রাক্তন বাঁ-হাতি পেসার দু’জনের সবি সংবলিত একটি টুইট করেন। যার ক্যাপশনে লেখা ছিল, ‘দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানালাম। সব কিছুই সরকারি রীতি মনে হল। তবে আমি এখনও ইমরানকে অধিনায়কই বললাম।’
আরেক সতীর্থ ও বর্তমান আইসিসির কমেন্টেটর রামিজ রাজা লিখেছেন, ‘নেতা হিসেবে ইমরানের চেয়ে ভাল উদাহরণ আর কে হতে পারে? সুপারস্টার হিসেবে ওর তুলনা মেলা ভার। অথচ বাইশ বছর ধরে এই একটা লক্ষ্য এবং আদর্শের জন্য লড়াই করে গেছে। ও সব সময়ই বাকিদের চেয়ে আলাদা। ইমরানকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেয়ে আমরা গর্বিত।’
ইমরানকে অভিনন্দন জানিয়ে শাহিদ আফ্রিদির টুইট, ‘এই ঐতিহাসিক জয়ের জন্য অভিনন্দন। ২২ বছরের লড়াই এত দিনে সফল হল। এই সাফল্যটা ওর প্রাপ্য। তোমার কাছ থেকে পাকিস্তান অনেক কিছু প্রত্যাশা করে। আশা করব, তুমি আমাদের সামনে থেকেই
নেতৃত্ব দেবে।’
অভিনন্দনের পাশাপাশি অনেকে সুপরামর্শও দিচ্ছেন ইমরানকে। সেই তালিকায় রয়েছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক আজহার উদ্দিন। আজহারের স্পষ্ট স্বতর্কবার্তা, ‘ক্রিকেট আর দেশ চালানো কিন্তু এক নয়।’ ভারতীয় পত্রিকার নিজেস্ব কলামে আজহার বলেন, ‘ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন দেখে ক্রিকেট মহলে হয়তো অনেকে খুশি। আমিও অভিনন্দন জানাচ্ছি ওকে। পাশাপাশি, অনুজ ক্রিকেটার এবং রাজনীতিবিদ হিসেবে একটা কথা মাথায় রাখার পরামর্শ দেব। একটা ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন্সি করা আর দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া কিন্তু এক নয়।’
আজহার নিজেও ক্রিকেট ছাড়ার পর রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়েছেন। সবকিছু তাই ভালোই জানেন ভারতীয় এই কংগ্রেস সদস্য। তবে রাজনৈতিক নেতা হিসেবে ইমরান কেমন তা তিনি বলতে পারবেন না জানিয়ে আরো বলেন, ‘ ইমরান নিজে ক্রিকেট জীবনে খুব ভাল ক্যাপ্টেন তো ছিলেনই। দারুণ বোলারও ছিলেন। বিশেষ করে ওর ইনডিপারগুলো খেলতে ব্যাটসম্যানেরা সব চেয়ে সমস্যায় পড়ত। পায়ের দিকে যে বলগুলো গোত্তা খেয়ে এসে ঢুকত। প্রধানমন্ত্রী ইমরানের দিকে কিন্তু এ রকম অনেক মারণ ডেলিভারি ধেয়ে আসবে। সেগুলোকে কীভাবে উনি সামলান, সেটাই ঠিক করে দেবে ওর ভাগ্য।’
ইমরান নীর্বাচিত হওয়ার পর ঘুরেফিরে একটা বিষয় সামনে আসছেইÑ পাকিস্তান-ভারত ক্রিকেটীয় সম্পর্ক। দীর্ঘ দিন ধরেই যাদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ হয়ে রয়েছে। ইমরান ক্ষমতায় আসার পরে সম্পর্কটা কোন দিকে যেতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে কপিল বলেছেন, ‘ইমরান যেহেতু ক্রিকেটার ছিল, তাই মনে হয় ও পরিস্থিতির উন্নতির ওপরই জোর দেবে। ক্রিকেট মহলও সে ব্যাপারে একমত। তবে আমার মনে হয়, তার আগে মাঠের বাইরের পরিস্থিতি উন্নত করার ওপর নজর দিতে হবে।’ পাশাপাশি কপিল আরও বলেন, ‘ইমরান অনেক বারই ভারতে এসেছে। ও আমাদের ক্রিকেট প্রেম সম্পর্কে ভালই ওয়াকিবহাল। ও হয়তো দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নত করার ওপরে নজর দেবে। আর সেটা যদি ক্রিকেটের সাহায্যে করা যায়, তা হলে আমরা, ক্রিকেটারেরা খুব খুশি হব।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।