নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বাংলাদেশকে যে ক্যারিবীয় পেস উত্তাপ সইতে হবে তা অনুমিতই ছিল। কিন্তু সেই উত্তাপের আঁচ যে এত বেশি ছড়াবে তা নিশ্চয় ভাবেননি সাকিব-তামিমরা। প্রথম সেশন শেষ হওয়ার আগেই মাত্র ৪৩ রানে শেষ বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। টেস্ট ক্রিকেটে যা বাংলাদেশের সর্বনি¤œ ইনংসের লজ্জা।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই অধঃপতন অবশ্য হঠাৎ করে নয়। একটু পিছনে ফিরলেই তা স্পষ্ট হয়। সম্প্রতি আফগানস্তানের মত দলের কাছেও টি-২০ সিরিজে নাস্তানুবুধ হতে হয় বাংলাদেশকে। এর কারণ ঘাটতে গেলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের দুর্বলতাই চোখে পড়বে।
বাংলাদেশের ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট অনেকেরই অভিমত ও অভিযোগ রয়েছে যে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বর্তমান দুর্বল নেতৃত্বের কারণে বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশ ক্রিকেট খেলোয়াড়রা বোর্ডকে থোড়াই কেয়ার করছেন। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে নানা ধরণের অভিযোগ আসলেও বিসিবি আজ পর্যন্ত কোন খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে শক্ত অ্যাকশনে যেতে পারেনি। ফলে দিন দিনই খেলোয়াড়দের উপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে বিসিবি। ফলস্বরুপ ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। বিসিবির অদক্ষতা ও প্রশাসনিক দূর্বলতার কারণে ক্রিকেটে বাংলাদেশের সমস্ত অর্জন এখন ভূলুণ্ঠিত হওয়ার পথে।
সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলোয়াড়দের আর্থিক সুবিধাদি দিন দিন যত বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে ঠিক একই হারে খেলোয়ায়াড়রাও দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছেন এবং খেলার মানও অশঙ্কাজনক হারে কমে যাচ্ছে। ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট অনেকেই বাংলাদেশের ক্রিকেটের এই ভয়াবহ অবস্থার জন্য বিসিবি এবং খেলোয়াড়দের অতিমাত্রায় অর্থের ছড়াছড়িকেই দায়ী করছেন। সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডই একমাত্র বোর্ড যেখানে কোন কিছুর জন্যই খেলোয়াড়দেরকে কখনো কোন জবাবদিহি করতে হয় না।
গতকাল বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা যেমন ব্যাটিং করছিলেন, তাতে মনে হয়নি তারা কোন দায়ীত্ব নিয়ে খেলেছেন। দলের সিনিয়র চারজনের মিলিত সংগ্রহ ৪! ৪ রানই তামিমের। সাকিব, মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিক আউট হয়েছেন কোন রান না করেই। টেস্ট ইতিহাসেরই সর্বনিন্ম দলীয় সংগ্রহের লজ্জায় পড়ার শঙ্কা ভর করেছিল একসময়। তবে শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের সেই ২৬ রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ডটি এড়ানো গেলেও এড়ানো যায়নি দেশের সর্বনি¤œ দলীয় সংগ্রহের লজ্জা।
২০০৭ সালের ৩ জুলাই কলম্বোতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাত্র ৬২ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। এটিই ছিল এতদিন পর্যন্ত টেস্টে টাইগারদের সর্বনিন্ম দলীয় সংগ্রহ। এবার সেটাকে পেছনে ফেলল সাকিবের দল। ক্যারিবীয় পেসারদের বোলিং তোপে শুরু থেকেই হাস-ফাঁস করছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। কেমার রোচ প্রথম ঘণ্টাতেই পাঁচ উইকেট তুলে নেন। তাতে ১৮ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারায় টাইগাররা।
তামিম ইকবালকে দিয়ে শুরু। মাত্র ৪ রানেই কেমার রোচের শিকার হয়ে ফেরেন চার হাজারি ক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বাংলাদেশি ওপেনার। এরপর একে একে তার দেখানো পথ ধরেন মুমিনুল হক (১), মুশফিকুর রহিম (০), সাকিব আল হাসান (০) আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (০)। সব কটি উইকেটই নেন ক্যারিবীয় পেসার রোচ। এর মাঝে শেষোক্ত তিনজনকে নিয়েছেন চার বলের মধ্যে। ৬ রানেই রোচ তুলে নেন ৫ উইকেট।
সতীর্থদের এই আসা যাওয়ার মাঝে একপ্রান্ত ধরে ছিলেন লিটন দাস। খানিক বাদে তিনিও একই পথ ধরেন।। ২৫ রান করে মিগুয়েল কামিন্সকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউটের শিকার হন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান। এরপর নুরুল হাসান (৪) আর মেহেদী হাসান মিরাজের (১) উইকেটও নেন এই পেসার। রাব্বি আর আবু জায়েদকে ফেরান হোল্ডার। সবমিলিয়ে ১৮.৪ ওভারেই শেষ হয় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।
জবাবে রিপোর্টটি লেখা পর্যন্ত (রাত পৌনে ১টা) ৩০ ওভার শেষে বাংলাদেশের নির্বিষ বোলিংয়ে কোন উইকেট না হারিয়ে ৮৫ রান তুলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ইনিংসে ৪২ রানের লিড আরো বাড়াতে ৩৫ রানে অপরাজিত ক্রেগ ব্রাফেট, তাকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন ৪৮ রান করা যেভন স্মিথ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।