নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এখন পর্যন্ত রাশিয়া বিশ্বকাপের সবচেয়ে উপভোগ্য ম্যাচ উপহার দিল বেলজিয়াম। ৭ গোলের ম্যাচে তিউনিশিয়াকে ৫-২ ব্যবধানে উড়িয়ে শেষ ষোলর শক্ত দাবি জানিয়ে রেখেছে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের তিন নম্বর দলটি। অপরদিকে দুই হারে বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেছে তিউনিশিয়ার।
‘জি’ গ্রæপের ম্যাচে আজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নামবে পানামা। মধ্য আমেরিকার দেশটি জয়বঞ্চিত হলেই শেষ ষোল নিশ্চিত হবে বেলজিয়ামের। প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে ২-১ গোলে হেরেছিল তিউনিশিয়া। পানামাকে ৩-০ গোলে হারিয়ে রাশিয়া মিশন শুরু করে বেলজিয়াম। কালিনিনগ্রাদে গ্রæপের শেষ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড।
ছিয়াশির বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড ও বেলজিয়ামের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে দুটি করে গোল করেছিলেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ডিয়াগো ম্যারাডেনা। প্রায় তিন যুগ পর এই ম্যাচ দিয়ে একই কির্তী গড়লেন বেলজিয়ান স্ট্রাইকার রোমেলু লুকাকু। আগের ম্যাচে পানামার বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয়ে দুই গোল করেছিলেন ২৫ বছর বয়সী স্ট্রাইকার। দুই ম্যাচে চার গোল করে আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পাশে বসলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড স্ট্রাইকার। মস্কোর স্পার্তাক স্টেডিয়ামে জোড়া গোল করেন অধিনায়ক এডেন হ্যাজার্ডও। রাশিয়াও পেয়ে যায় এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলের ম্যাচ।
ম্যাচের ১৬ মিনিটেই দুই গোল করে উড়ন্ত সূচনা করে বেলজিয়াম। শুরুটা করেছিলেন হ্যাজার্ড, সফল পেনাল্টি কিক নিয়ে। চেলসি ফরোয়ার্ডকেই ডি বক্সে ফাউল করেন বেন ইউসুফ। ভিডিও রিভিউয়ের সহায়তা নিয়ে পেনাল্টির ঘোষণা দেন রেফারি। ড্রিস মেটেন্সের পাস ধরে জেরালো কুনাকুনি শটে দ্বিতীয়া গোলটি করেন লুকাকু। দুই মিনিটের মাথায় ঘুরে দাঁড়ায় তিউনিশিয়া। ফ্রি-কিক থেকে উড়ে আসা বলে নিঁখুত হেড নিয়ে ব্যবধান কমান দাইলান ব্রন। বেলজিয়ামের জালে এটিই ছিল তিউনিশিয়ার প্রথম শট।
প্রথমার্ধে আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে অনেকগুলো সুযোগ তৈরী করে দুই দলই। ২২তম মিনিটে টবি টবি অল্ডারভাইরেল্ডকে রুখে তিউনিশিয়াকে ম্যাচে রাখেন গোলরক্ষক। কিন্তু যোগ করা সময়ে লুকাকুকে রুখতে পারেননি বেন মুস্তফা। ডি ব্রæইনের বাড়ানো বল কাছ থেকে গোলকিপারের মাথার উপর দিয়ে পাঠিয়ে ব্যবধান ৩-১ করে দেন লুকাকু। দেশের হয়ে শেষ ১১ ম্যাচে লুকাকুর এটি ১৭তম গোল।
বিরতি থেকে ফিরেই ব্যবধান আরো বাড়ান হ্যাজার্ড। বেলজিয়ামের জয় তখন ছিল সময়ের ব্যপার। ৯০তম মিনিটে গোলের দেখা পান এর আগে দিনবার গোলের সহজ সুযোগ হাতছাড়া করা বাতসুয়াই। যোগ করা সময়ে ব্যধান কমানো গোল করেন ওয়াহবি। ক্রসবার ও মুস্তফার সহায়তায় বেশ কয়েকটি গোলের হাত থেকে বেঁচে যায় তিউনিশিয়া। নইলে ব্যবধান আরো বাড়তে পারত।
বিশ্বকাপের গ্রæপ পর্বে এ নিয়ে টানা ৬ ম্যাচ জয় পেল বেলজিয়াম। নতুন কোচ রবার্তো মার্টিনেজের অধীনে ১২ ম্যাচে ১১তম জয় এটি, বাকিটা ড্র। পক্ষান্তরে, এ নিয়ে টানা ১৩টি বিশ্বকাপ ম্যাচে জয়হীন থাকলো তিউনিশিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।