মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রতি দশ মিনিটে একটি নৃশংসতা
সরকারী তথ্য অনুযায়ী, প্রতি ১০ মিনিটে দলিতদের বিরুদ্ধে একটি নৃশংসতার ঘটনা ঘটছে। কিন্তু সম্মানিত বিচারকরা যখন এই আইনের কল্পিত অপব্যবহারের কারণে নিরপরাধ মানুষের কথিত হয়রানির কথা বিবেচনা করে এই আইনের বিরুদ্ধে খড়গ ধরছেন, তখন মনে হয়, এই তথ্য সম্পর্কে তারা একেবারেই অবগত নন
অ্যাট্রোসিটি অ্যাক্ট গঠনের একটা প্রেক্ষাপট রয়েছে। বিচারকরা তথাকথিত যে মিথ্যা মামলার কথা বলেছেন, সেগুলো এরই ফল। দলিত ভুক্তভোগী এবং অ-দলিত হামলাকারীদের মধ্যে যে বিশাল ক্ষমতার ব্যবধান, সেটার কারণেই এ ধরনের সমস্যা হয়। বিরল ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী নারী যদি সামাজিক সমর্থন পায়, তবেই কেবল সে পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে পারে। পুলিশ প্রায়ই অভিযোগ না করার জন্য ভুক্তভোগীদের বোঝানোর চেষ্টা করে, কারণ এর কারণে অভিযুক্ত শক্তিশালী জনতার ক্রোধ বেড়ে যাবে। সময়ের সাথে সাথে যখন ভুক্তভোগীর জন্য সামাজিক সমর্থন কমতে থাকে, অভিযুক্তের দিক থেকে তখন চাপ বাড়তে থাকে, যেখানে মধ্যস্থতা করে পুলিশ। একটা পর্যায়ে পরিস্থিতি এমন জায়গায় চলে যায় যে ভুক্তভোগী আর সেই চাপ সহ্য করতে পারে না। সে হার স্বীকার করে নেয় অপরাধীদের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয়। এরপর যখন সেটা বিচারের পর্যায়ে যায়, সেটা তখন মিথ্যা মামলা হিসেবে বিবেচিত হয়।
টেকনিক্যাল ত্রুটি
আহমেদাবাদ-ভিত্তিক কাউন্সিল ফর সোশাল জাস্টিস গুজরাটের ১৬টি জেলায় ১৯৯৫ সাল থেকে নিয়ে স্পেশাল অ্যাট্রোসিটি কোর্টের দেয়া ৪৫০টি রায়ের পর্যালোচনা করেছে। কেন এ আইনের অধীনে খালাস দেয়ার রায় এত বেশি, তা তারা পর্যালোচনা করেছে। দেখা গেছে ৯৫ শতাংশেরও বেশি ক্ষেত্রে খালাস দেয়া হয়েছে টেকনিক্যাল কারণে। হয়তো ডিএসপির নিম্ন র্যাঙ্কের কোন পুলিশ কর্মকর্তা তদন্ত করেছেন অথবা ভিকটিমের জাতের সার্টিফিকেট এফআইআরের সাথে দেয়া হয়নি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আদালত দোষী পুলিশ কর্মকর্তাদের সতর্ক করে দিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। আইনের সেকশন ৪ এর অধীনে এ ধরনের দোষের জন্য যে ৬ থেকে ১২ মাসের কারাদন্ডের বিধান রয়েছে, কাউকেই সেই সাজা দেয়া হয়নি।
পুরো বিচার ব্যবস্থা যেখানে দলিতদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্ট, সেখানে আরও শক্তি যুগিয়েছে বর্তমান সরকারের ধারাবাহিক দলিত-বিরোধী কর্মকান্ড। আইআইটি মাদ্রাজে আম্বেদকার পেরিয়ার স্টাডি সার্কেল নিষিদ্ধ করা, দলিতদের স্কলারশিপসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা কাটছাটের মাধ্যমে রোহিত ভেমুলাকে অনেকটা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে হত্যা করার মতো ঘটনাগুলো এর উদাহরণ। এর পরও কি দলিতদের তাদের ক্ষোভ প্রকাশের অধিকার থাকবে না?
দলিতদের হাতে অ্যাট্রোসিটি অ্যাক্টের অপব্যবহার নয়, আসলে পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র ও তাদের দাস মিডিয়া কর্তৃক দলিতদেরকে অপব্যবহারের বিষয়টিই ২ এপ্রিলে উঠে এসেছে। সূত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।