Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হওয়ার প্রত্যাশা জাতিসংঘের

| প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব রিপোর্ট : বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও অসহিংস হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপো এমনটি জানিয়েছেন। বৃহ¯পতিবার বার্তা সংস্থা ইউএনবি’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, জাতিসংঘ নিশ্চিতভাবেই আশা করে যে, আগামী নির্বাচন একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে। তিনি আরো বলেন, পূর্ববর্তী নির্বাচনগুলোতে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে আর তা একটি উদ্বেগের বিষয়। তবে আগামী নির্বাচনে কোন সহিংসতাও থাকবেনা। ইউএনবি’কে দেয়া সাক্ষাৎকারে বেশ কয়েকটি বিষয়ে কথা বলেছেন সেপো।
বাংলাদেশের চলতি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির প্রশংসা করেন তিনি। তবে এক্ষেত্রে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যেন পরিবেশগত স্থিতিশীলতা নষ্ট না করে সেদিকে জোর দিতে বলেন তিনি। সেপো বলেন, এটা গুরুত্বপূর্ণ যে প্রবৃদ্ধি সামুদয়িক হয়। পাশাপাশি এটাও গুরুত্বপূর্ণ যে, ওই প্রবৃদ্ধি পরিবেশগত স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব না ফেলে। এসময় তিনি, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে কর্মসংস্থান তৈরি হওয়ার প্রশংসা করেন। সেপো গত বছর থেকে বাংলাদেশে কাজ করা শুরু করেন। তার ভাষ্য, দেশের উন্নতির ধারা অব্যাহত রাখার জন্য নারী-পুরুষ সকলের কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ ৫০ বছরেরও কম সময়ে যে সংগ্রামশীল পথ পাড়ি দিয়েছে তা লক্ষণীয়। এটা গর্ব করতে পারার মতো বিষয়। বাংলাদেশের উচিত তা থেকে উৎসাহ নিয়ে আরো সামনে এগিয়ে যাওয়া। তিনি অবশ্য এটাও বলেন যে, এদেশের অর্থনীতির বহুমুখীকরণ একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আর এই চ্যালেঞ্জ হচ্ছে পরিবেশগত স্থিতিশীলতা ও জলবায়ু পরিবর্তনকে ঘিরে। পরিবেশগত দিক বিবেচনা করার দিকে জোর দিয়ে সেপো বলেন, কিছু জায়গার বাতাস শ্বাস নেয়ার জন্য নিরাপদ নয়। আমাদের সবারই সে বিষয়ে চিন্তা করা দরকার। ঢাকার বাতাস নিয়ে কথা বলার সময় তিনি জানান, এই শহরের বাতাস বিবেচনা করে সবার এ বিষয়ে সচেতন হয়ে ওঠা উচিৎ। সবার একটি পরিচ্ছন্ন, টেকসই ও পরিবেশ-বান্ধব শহর গড়ে তোলার বিষয়ে চিন্তা করা উচিৎ।
সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে আগামী নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন সেপো। আসন্ন নির্বাচনটি অংশগ্রহণমূলক ও অসহিংস হওয়ার আশা ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি বলেন, আমরা আশা করি সকল পক্ষ একটি অসহিংস নির্বাচনের প্রতিশ্রæতি নিয়ে কাজ করবে। তিনি জানান, নির্বাচন কমিশন পূর্বে নির্বাচন পরিচালনা করেছে। এবারও তারা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করতে পারবে। তিনি বলেন, এতে একটি বিশ্বাসযোগ্য ফলাফল আসবে। বাংলাদেশ গণতন্ত্র পোক্ত করার দিকে আরো একধাপ এগিয়ে যাবে। তবে সেপো এটাও বলেন, বাংলাদেশের নাগরিকরা কি চায় সেটা গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এটা তাদের নির্বাচন। তারাই ভোট দেয়। আর এটা তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের বিষয়। এসময় তিনি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের (এসিডিজি) লক্ষ্য-১৬ বাস্তবায়নের দিকে জোর দেন। লক্ষ্য-১৬, শান্তির প্রচারণা, টেকসই উন্নয়নের জন্য অন্তর্ভুক্তি সমাজ, সবার জন্য ন্যায় বিচার ও সকল পর্যায়ে কার্যকর, জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ার দিকে নিবেদিত। সেপো জানান, লক্ষ্য-১৬ সকল দেশের জন্যই সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ছোট বড় সব দেশের জন্য। তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রচুর ভাল আইন রয়েছে। সেগুলো যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে হবে। জাতিসংঘ প্রতিনিধি আরো বলেন, বাংলাদেশের বেশ বিস্তৃৃত পরিসরের স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এটা গুরুত্বপূর্ণ যে, এগুলো স্বাধীন। আর বাংলাদেশের জনগণ এগুলোকে বিশ্বাস করে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, তথ্য কমিশন, নির্বাচন কমিশন, দুনিতী দমন কমিশন- সবগুলো প্রতিষ্ঠানেরই গুরত্বপূর্ণ ভ’মিকা পালন করতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতিসংঘ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ