নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সেন্ট জর্জ’স পার্কে আজ যখন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসিস ও জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক গ্রায়েম ক্রেমার টস করতে নামবেন, সাথে সাথেই লেখা হয়ে যাবে ক্রিকেটের নতুন এক ইতিহাস। শুরু হবে ক্রিকেটের নতুন এক পথচলা। দুই দলের মধ্যকার এই ম্যাচ দিয়েই চার দিনে প্রবেশ করতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেট।
১৬’শ শতকে দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে জন্ম নেয়া ক্রিকেট সময়ের প্রয়োজনে বদলেছে বহুবার। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে আর্ন্তজাতিক রূপ নেয়ার পর থেকে জনপ্রিয় হতে থাকে ২২ গজে ব্যাটে বলের লড়াই। ছয় দিনের ক্রিকেট একসময় নেমে আসে পাঁচদিনে। একসময় আবির্ভাব হয় একদিনের ক্রিকেটের। এরপর একবিংশ শতাব্দির শুরুর দিকে সময় ও জনপ্রিয়াতার কথা মাথায় রেখে চালু হয় ২০ ওভারের খেলা। যাকে বলা হয়টি-২০ ক্রিকেট। এখন তা আরো ছোট হয়ে ১০ ওভারে রূপ নেয়ার পথে।
যদিও ৫ দিনের ক্রিকেট এখনো টিকে আছে বহাল তবিয়াতে। যদিও কালক্ষেপনের জন্য অনেকবারই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে ক্রিকেটের এই সংস্করণকে। আবার ক্রিকেটের ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখে একে টিকিয়ে রাখাটাও হয়ে পড়ে জরুরী। আর এজন্যই ৫ দিনের টেস্টকে চার দিনে নামিয়ে আনার এই চেষ্টা। দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের মথ্যকার এই নবসংস্করণের ম্যাচটি তাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা’র (আইসিসি) প্রাথমিক প্রায়াস। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীতে পাঁচ দিনের টেস্টকে চূড়ান্তভাবে নামিয়ে আনা হবে চার দিনে।
স্বাভাবিকভাবেই এজন্য প্রচলিত নিয়মে আসবে কিছু পরিবর্তন। যেমন, ৯০ ওভারের বদলে দিনের খেলা চলবে ৯৮ ওভার পর্যন্ত, ফলো-অনে পড়ার জন্য ২০০ রানের পরিবর্তে ধরা হবে ১৫০ রানের ব্যবধানকে। এছাড়া সময় বাঁচাতে আরো কিছু ছোট ছোট রদবদলও হবে। ইতিহাসের এই ম্যাচকে রাঙিয়ে রাখতে প্রস্তুতির কমতি নেই। স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে দুর্বল জিম্বাবুয়ে হয়তো তেমন একটা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারবেনা। তবে আগামী মাসে নিজ মাঠে শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের আগে নিজেদের সেরা একাদশ বাছাই করতে চাইবে র্যাঙ্কিংয়ের দুই নম্বরে থাকা প্রোটিয়ারা। দীর্ঘ অনুপুস্থিতির পর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরছেন দলটির অন্যতম দুই তারকা এবি ডি ভিলিয়ার্স ও ডেল স্টেইন। এক বছরের বেশি সময় পর তাই প্রথমবারের মত পূর্ণ শক্তির দল পাচ্ছেন দলটির কোচ ওটিস গিবসন। যেটাকে আবার তিনি অভিহিত করেছেন ‘সুখকর দুঃস্বপ্ন’ হিসাবে।
সমস্যাটা হলো নির্বাচকরা কাকে রেখে কাকে নেবেন এই জাতীয় আর কি। ব্যাটসম্যান ছয় নাকি সাত জন খেলবে, ফাস্ট বোলার তিন নাকি চার, এছাড়া স্পিনার ও অলরাউন্ডার নিয়েও নানান মধুর সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে জানান প্রোটিয়া কোচ। বিষয়টি আরো জটিল করে তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটের বর্ণবাদী নিয়ম। দেশটির বোর্ডের অঙ্গীকার অনুযায়ী সেরা একাদশে গড়ে ছয় জন কৃষ্ণাঙ্গ বর্ণেরর খেলোয়াড় থাকতে হবে। যাদের মধ্যে দু’জন হতে হবে আফ্রিকান কৃষ্ণাঙ্গ। কাঁধে অস্ত্রোপচারের পর ফিটনেস পরীক্ষায় পাশ করেছেন অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। এরপরও তাকে নিয়ে একটা শংশয় রয়েই গেছে। তবে সবকিছুই যে চলছে ভারতের কথা মাথায় রেখে সেটা লুকাননি গিবসন, ‘এই মুহূর্তে ভারত বিশ্বের এক নম্বর দল এবং আমরা জানি তাদের বিপক্ষে প্রতিদ্ব›দ্বীতা গড়তে ও হারাতে হলে আমাদের সেরা খেলাটা খেলতে হবে। যা আমাদের অনিবার্য লক্ষ্য।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।