নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের একাদশ দেখে অনেকেই অবাক হয়েছেন। ম্যাচ শেষে সেই একাদশ নিয়েই বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ একাদশে কেন আট ব্যাটসম্যান? একজন বোলার কম কেন?
ম্যাচে দেখা গেছে বাড়তি ব্যাটসম্যান নিয়ে খেললেও শেষ দিকে দ্রæত রান তুলতে পারেনি টাইগাররা। আর ৩০৫ রান তুলেও বোলার কম নিয়ে লড়াই করতে পারেনি তারা। বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা জানান, বুঝে-শুনেই ঝুঁকিটা নিয়েছিল দল। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন,‘আমরা জানতাম, এরকম হতে পারে (বোলারের ঘাটতি)। তবে আমাদের ভাবনায় ছিল ব্যাটসম্যানদের আরেকটু স্বাধীনতা দেওয়া। যেন ব্যাটসম্যানরা নির্ভার থেকে ভালো খেলতে পারেন। বোলার অবশ্যই আরেকজন বেশি নিতে পারতাম। তবে ভাবনা এটাই ছিল।’ তিনি আরো বলেন,‘আমাদের ভাবনা ছিল, ইনিংসে কোনোভাবে যদি আমাদের ধস নামে, জেনুইন পাঁচ বোলার থাকলেও পরে ঘুরে দাঁড়াতে পারবো না। শেষ পর্যন্ত ২৭০-২৮০ রান করলেও এখানে লাভ হবে না। কিন্তু ৮ ব্যাটসম্যান নিয়ে যদি ৩২০-৩৩০ করতে পারি, তাহলে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলা যাবে। সেক্ষেত্রে হয়ত একটা বোলার কম নিয়েও পারতাম। ৮ ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলেও শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে আক্ষেপ করতে হচ্ছে আরো ২৫-৩০ রান বেশি না হওয়ায়। তিনশ’ রান তাড়া করা যে কোনো উইকেটেই একটু কঠিন কাজ। কিন্তু ইংল্যান্ডে যদি দেখেন, এখন ৩৩০-৩৪০ রান নিয়মিতই হচ্ছে। সেই রান তাড়া করে জিতেও যাচ্ছে। এজন্যই আমাদের এক দিকে যেতে হতো। আমরা ভেবেছি ব্যাটসম্যান বাড়িয়ে যদি ৩২০-৩৩০ করা যায়, তাহলে একটা পার্ট টাইম বোলার ৭০-৮০ রান দিলেও একটা-দুইটা উইকেট তুলে নিলেই জিততে পারব।’
বাংলাদেশ অধিনায়কের কথা,‘আমরা কিন্তু পরিকল্পনা মতোই এগোচ্ছিলাম। অন্তত ৩২০ রান হওয়ার কথা ছিল। তবে তামিম ও মুশফিক এক ওভারে আউট হওয়ার পর অন্যরা শেষ দিক বেশি রান করতে পারেননি।’ ব্যাটিং যাই হোক না কেন, বোলিংটা যে ভালো হয়নি, সেটাও মেনে নিচ্ছেন মাশরাফি। তবে এই উইকেটে বোলারদের বাস্তবতাও তুলে ধরলেন তিনি। ‘দ্রæত উইকেট পাওয়ার পর মাঝে উইকেট নিতে পারিনি। এটাও একটা কারণ। ওরাও খুব ভালো খেলেছে। মুস্তাফিজকে খুব ভালো মোকাবেলা করেছে ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। মাঝে উইকেট না পাওয়াতে জুটি বড় হয়ে গেছে। এরপর মর্গ্যানের আউটটা হলো না। ওখানে হলেও হয়ত কিছু সম্ভাবনা থাকত। কারণ রান রেট তখনও সাত করে লাগত। তবে এই উইকেটে অসাধারণ বোলিং করতে হবে, কিছুটা ভাগ্যের সহায়তাও লাগবে। এসব উইকেটে ৩২০-৩৩০ করেও নিরাপদ থাকা মুশকিল। ৫-৬ জন জেনুইন বোলার নিয়েও হারছে দলগুলো।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।